লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💖 " পড়ায় মন বসাতে পছন্দের খাবার অর্ডার করলাম "
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
পড়ায় মন বসাতে পছন্দের খাবার অর্ডার করলামঃ
বন্ধুরা,আজ নতুন একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আমার আজকের পোস্টের টাইটেল পড়ে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরে গেছেন আমি আসলে আজ কোন বিষয়টা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।হে বন্ধুরা,আমি আজ আমার ছেলের পড়ার বিষয়ে আমি কি পদক্ষেপ নেই,তার কিছুটা তুলে ধরছি আপনাদের মাঝে।আজকাল বাচ্চারা একদম পড়তে চায় না।দু' একজন অবশ্য আছে ব্যতিক্রম।তবে একটা কথা খুব সত্যি মেয়ে বাচ্চারা একটু পড়ার দিকে ঝোঁক থাকলেও ছেলে বাচ্চাগুলো খুব বেশী দুষ্ট আর খেলার দিকে মন থাকে।তাই ছেলেদের পড়াশোনা করাতে গেলে মায়েদের খুব বেশী ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জানুয়ারিতে শুরু হলেও।বছরের প্রথম এক,দুই মাস খেলাধুলা,পিকনিক এটা সেটাতেই কেটে যায়।যদিও ক্লাস রীতিমতো হয়েছিল।কিন্তু বাচ্চাদের মনে খেলার আমেজ যেনো যেতেই চায়না।এ বছর সিলেবাস ও দিয়েছে ৩/৪ দিন আগে।তাই গোছানো পড়া এবার প্রথম থেকেই হয়ে উঠেনি।আমার ছেলে এবার ক্লাস ফোরে উঠেছে।যদিও ওকে ইংলিশ ভার্সনে দিয়েছি আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন।আর প্রথম থেকে সিলেবাস না পাওয়াতে পড়া গুলো শেষ আর হয়ে উঠেনি।এইতো আর একদিন পর মিড টার্ম এক্সাম শুরু হবে।তাইতো অতিরিক্ত একটু ব্যস্ততা নিয়ে আছি।
পড়াগুলো সব ঠিকঠাক মতো এখনো সে নিজে তুলে সব আনে না।ওর মন পরে থাকে কখন টিফিন হবে আর ও খেলতে চলে যাবে।টিফিন খাওয়ার প্রতিও তার কোন আগ্রহ নেই।কেন নেই জানতে চাওয়া হলে সে বলে, খাওয়ার সময়টুকু চলে গেলে খেলার সময় খুব কম পাওয়া যায়।তাই সে টিফিন ব্যাগে করে আবার বাসায় নিয়ে আসে।আর বেলা ১২ টা অব্দি সে না খেয়েই থাকে।সকালে আমি যতটুটু খাওয়াতে পারি ততোটুকুই তার খাবার।আর আপনারা তো জানেন আমরা বড়রাই খুব ভোরে কিছু খেতে পারিনা।তাই বাচ্চারা তো আরো খেতে চায় না।তবু ও আমি সকালে জোর করে কোনদিন কর্নফ্লেক্স দুধ দিয়ে খেতে দেই।কিংবা কোনদিন হরলিক্স আর বিস্কিট খেয়েই যায়।বুঝলেন তো কি নিয়ে আছি আমি।তার অসমাপ্ত লেখাগুলো গ্রুপ থেকে আমাকেই সব ম্যানেজ করতে হয়।আমি সব সময় গোছানো ছিলাম।আজও তেমনটাই আছি।তাই পড়াগুলো গুছিয়ে না নিলে তৃপ্তি মেলে না আমার।তাই ছেলের সব পড়াগুলো গুছিয়ে নোট করে দেয়ার চেষ্টা করি।কিন্তু আমি চাই এই বোধ টুকু ওর ভেতর জাগ্রত হোক।
এক্সাম চলে এসেছে। অথচ সিলেবাস বাকি অনেকটা। এই সবকিছু ম্যানেজ করতে ছেলেকে তার পছন্দসই খাবার খাওয়ানোর লোভ তো দেখাতেই হয়।কারন আজকালকার বাচ্চারা বাইরের খাবারে ভীষণ আসক্ত।যদিও আমি একদমই বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করিনা।তাই আমাদের বাইরে খুব একটা খাওয়া হয় না।তবে ছেলের জন্য মাঝে মাঝে অর্ডার করি অনলাইনে।সেদিন ছেলের পছন্দের সাব স্যান্ডুউইচ ও পিজ্জা অর্ডার করেছিলাম।
পছন্দের কিছু খাবার এনে দিলে বাচ্চাদের মনে কিছুটা আনন্দ কাজ করে।সেই আনন্দের ফাঁকে সিলেবাসটা যদি শেষ করানো যায়,তবে মন্দ কি।আর এজন্য ই ওর পছন্দের খাবার সেদিন এনে দিয়েছিলাম।এখন মোটামুটি পড়া সব গুছিয়ে নিয়ে এসেছি।৫ তারিখ এক্সাম শুরু।আর বাচ্চাদের এক্সাম মানেই মায়েদের এক্সাম,কি বলেন আপনারা??আমার কিন্তু তেমনটাই মনে হয়।সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে বর্তমানে ছেলে মেয়েরা খুবই দুষ্টু আর এই বাচ্চাদেরকে পড়াশুনা করানোর জন্য নানা রকমের বায়না করতে হয়। ফোন দিয়ে তাদেরকে বায়না মেটাতে হয় আবার পছন্দের খাবার দিয়েও। আপনি খুবই ভালো একটি পরিকল্পনা করেছেন। খাবারের দিয়ে যদি তাদের একটু পড়াশোনা করে সিলেবাসটা কভার করানো হয় তাহলে খারাপ হয় না।
আপনার ছেলের এক্সাম চলে এসেছে কিন্তু ছেলে বাস এখনো শেষ হয়নি ।তাকে পড়ায় মোন বসাতে তার পছন্দের খাবার এনে লোক দেখিয়ে তাকে পড়া শেষ করাচ্ছেন ।অনেক ইউনিক একটি বুদ্ধি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মেয়ে বাচ্চারা পড়ালেখায় আগ্রহী হলেও ছেলে বাচ্চারা একেবারেই ব্যতিক্রম। আমার ছেলেরও একই অবস্থা। আর তাছাড়া জানুয়ারি মাসটা স্পোর্টসের আয়োজনে শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ওদেরও পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সে ক্লাসের লেখাগুলো লিখে নিয়ে আসে। আপনার মত এত কষ্ট করতে হয় না। তারপরও আপনার আইডিয়াটি বেশ ভালো লেগেছে। বাচ্চাদের খুশি করে যদি পড়ার প্রতি আগ্রহী করা যায় তাও ভালো।
আসলে আপু বর্তমান হাতেগুনা দুই একজন বাদে সব বাচ্চারা পড়তে চাই না। তবে অনেক বলে পছন্দের জিনিস দিয়ে পড়াতে হয়। তবে তাদের খাবার পড়ার থেকে খেলার প্রতি বেশি মনযোগ থাকে।আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়েদের অনেকটাই মিল রয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
Twitter link
বেশ ইন্টারেস্টিং বিষয় ছেলেকে পড়াতে মন বসানোর জন্য খাবার আর্ডার ৷ সত্যি ছেলে মানুষ গুলো একটু দুষ্টুমি বেশি করে থাকে ৷ যা হোক বর্তমান প্রেক্ষাপট পড়াশুনা বাইরের চেয়ে বাড়িতে বাচ্চাকে ভীষন প্রয়োজন ৷ কারন একটা এখন সপ্তাহে দুদিন বন্ধ আবার প্রথম ২/৩মাস তেমন পড়াশুনা নেই ৷ যা হোক অনেক ভালো করেছেন আপু ছেলেকে পড়াতে মন বসানোর জন্য খাবার অর্ডার করে খাওয়ানোর জন্য৷ দিনশেষে আপনার ছেলের জন্য অনেক শুভকামনা সে অনেক বড় হোক ৷
খুব ভালো আইডিয়া বের করেছেন। আপনি আপনার ছেলের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছেন পড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য কিন্তু আমার ছেলের জন্য মনে হয় তার উল্টো করতে হবে। মানে খেলনা অর্ডার করতে হবে তাহলে তাকে দিয়ে সব করানো যাবে। তার খেলনা হলে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। আপনার ছেলে তো এখনো ছোট বড় হলে দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে আর গোছালোও হবে। ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের এক্সাম মানেই মায়েদের এক্সাম। তাই আপনার ও আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল যেন ভালো এক্সাম দিতে পারেন🤭।
সেই আমার বাবা -মার মতো আগে রেজাল্ট দেখি তারপর ফোন , সাইকেল কিনে দেওয়া যাবে। আর আমরাও এগুলোর লোভে সেই ভাবে পড়ি। যদিও তারা আমাদের ভালোর জন্যই কাজটা করে।আপনার এবং আপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা রইল আপু। ধন্যবাদ আপু।