নাটক রিভিউ -- 💕 " প্রয়োজন " || আমার বাংলা ব্লগ
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটকের নাম | প্রয়োজন |
---|---|
পরিচালক | মেহেদি হাসান হৃদয় |
অভিনয়ে | মুশফিক ফারহান ও শামিরা খান মাহি এবং আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
সময় | ৫৯ মিনিট |
কাহিনী সার সংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় নাটকের নায়ক ফারহান বিদেশ থেকে বাড়ি আসছে অনেক বছর পর। আর এজন্য পরিবারের সবাই বেশ খুশি।তার বোন জামাই ও তাদের বাড়িতে এসেছে ফারহান কে দেখার জন্য।তার পছন্দের খাবার রান্না করতে ব্যস্ত মা আর ভাবি।অন্য দিকে নায়িকা মাহি ওই গ্রামেই তার বসবাস।মাহির মা মাহিকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে আসে যদি বিদেশ ফেরত এই ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়া যায় তবে তো মেয়ের জন্য ও ভালো।এদিকে সবাই শুধু অপেক্ষা করছে তার বাড়ি আসা নিয়ে কখন সে আসবে।এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহান বাড়ি এসে পৌছায়। তার বাড়ি ফেরা দেখে সবাই খুব খুশি৷ তবে তার বোন জামাই ব্যস্ত শুধু কি এনেছে ফারহান বিদেশ থেকে তা দেখার জন্য।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এভাবেই আসলে নাটকের শুরুটা হয়।এরপর ফারহান এসে সবার সাথে সাক্ষাত করে মাকে জড়িয়ে ধরে।কুশলাদির পর রাতে খাওয়া দাওয়া করে।সেই সময় মাহির মা মাহিকে পায়েস দিয়ে পাঠায় মুশফিককে দিতে।মুশফিক ও মাহিকে চিনতে পারে।মাহি অনেক বড় হয়ে গেছে তাও সে বলে।এদিকে খাওয়া-দাওয়ার পর দুলাভাই ব্যস্ত হয়ে যায় সব প্যাকেট খোলার জন্য।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে মুশফিকের বাবা ইলেকশনে দাঁড়াবে তাই তার মাকে বলতে বলে ছেলে যাতে তাকে টাকা দেয়।কিন্তু মা ছেলেকে একথা বলবে না বলে মুশফিকের বাবাকে জানায়।এতে বাবা মুশফিকের মায়ের উপর রেগে যায়।এরপর মুশফিক সব প্যাকেট খুলে সবার গিফট দেয়।সবাই সব পেয়ে খুব খুশী।এরই মাঝে তার বড় ভাইয়ের শালা এসে পরে তারজন্য তো কিছু আনেনি।তাই নিজের হাতের ঘরিটাই খুলে দেয়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউ
দুলাভাই তার গিফট পেয়ে খুশী নয় তাই রাগ করে বাড়ি চলে যায়। এদিকে মাহির মা ঘটক পাঠায় মেয়ের বিয়ের জন্য মুশফিকের বাবা-মায়ের কাছে।মুশফিকের মা রাজি তাই মুশফিক আর কিছু বলে না।এদিকে তার ভাই তার শালাকে সেখানে মুশফিকের সাথে নিয়ে যেতে বলে।মুশফিক নিজেই অনেক কষ্টের কাজ করে। ভাইয়ের শালা তো কোন কাজই জানে না। সে গিয়ে কি করবে।আর এখন তার যেতে হলে অনেক টাকার দরকার এতো টাকা তো এখন তার কাছে নেই।এই কথা শুনে ভাই রেগে গিয়ে বাড়ির দিকে চলে যায়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
মুশফিকের বাবা নিজেই ছেলের কাছে ইলেকশনের জন্য টাকা চায়।কিন্তু ৮/৯ লাখ টাকা মুশফিক কোথায় পাবে।একথা শুনে তার বাবা রেগে যায়। পরে বাসায় এসে মুশফিকের বাবা তার মাকে বললো ছেলে তাকে মুখের উপর টাকা দিবে না বলে না করে দিয়েছে।এরপর মুশফিককে গালমন্দ করছিল তার বাবা। মুশফিক বাইরে থেকে সব শুনে ফেলে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
মুশফিকের টাকা নেই জেনে মাহির মা বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।মাহি ফোন দিলেও মুশফিক ধরে না তাই মাহি রাতের অন্ধকারে তার সাথে দেখা করতে আসে।আর এসে মুশফিককে জানায়,মাহি মুশফিককে পছন্দ করে তার টাকাকে নয়।রাতে খাবারের টেবিলে খেতে বসে প্রথমদিনের মতো আনন্দ কারো চোখে মুখেই মুশফিক দেখেনি।মুশফিক তখন সিদ্ধান্ত জানায় মুশফিক কাল চলে যাবে।এ কথা শুনে বাবা, ভাই বলে কাজ করো এখানে থাকলে কি টাকা আসবে।ভাই বলে, টাকা নেই তাই বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। টাকা ইনকাম করো।শুধু মা বলল, ২ মাসের ছুটি নিয়ে এসে ১৫ দিনে কেন যাবি? মুশফিক বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে মাকে সান্ত্বনা দেয়।আসলে এরপর কি হয়েছিল?? মুশফিক কি চলে গিয়েছিল তখন? মাহির সাথে বিয়ে কি হয়েছিল? সবার চোখে প্রথমদিনের মতো ভালোবাসা সবার মধ্যে কি ফিরে এসেছিল?? এ সব জানতে হলে এই সুন্দর নাটকটি আপনাদের দেখতে হবে।
আমার মতামত
প্রয়োজন নাটকটি বাস্তবসম্মত একটি নাটক।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনটা এই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। একজন প্রবাসীর কাছে পরিবারের এতো চাওয়া - পাওয়া, আবদার থাকে যা কিনা বাস্তবতা।এমনটাই আসলে হয়।আমরা কজনাই বা বুঝি প্রবাসীর মনের কষ্ট।সবার প্রয়োজনের মেশিন এই প্রবাসীরা।মুশফিক সবার চোখে তার প্রয়োজনটা দেখেছে টাকার।শুধুমাত্র মায়ের চোখে ছিল ছেলের জন্য ভালোবাসা।ছেলের জন্য কষ্ট।মা যে নিরুপায় পরিবারের সবার সামনে।কিন্তু ছেলে মুশফিকের মনের কথা মা সবটাই বুঝে নিয়েছে।এই ছিল নাটকটির গল্প।নাটকে সবার অভিনয় বেশ ভালো ছিল।নাটকটি দেখতে দেখতে আমি যেনো নিজের মাঝে এই ঘটে যাওয়া ঘটনা উপলব্ধি করছিলাম।নাটকের শেষ দৃশ্যটি দেখে হঠাৎ আমার চোখ ভিজে গেলো চোখের জলে।আশাকরি নাটকটি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।চাইলে নাটকটি দেখে আসতে পারেন।আমি নীচে নাটকটির লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
এই নাটকটি আমার অনেক দিন আগে দেখা হয়েছিল। খুবই বাস্তবভিত্তিক একটা নাটক। এই নাটকটি দেখার পর প্রবাসীদের জন্য খুবই খারাপ লাগা কাজ করছিল।আপনার কাছ থেকে প্রয়োজন নাটকের রিভিউটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ বাস্তব ভিত্তিক একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হাহাহা! আপু শেষে তো আফসোস রেখে দিলেন! পরে কি হলো জানতে অবশ্যই নাটকটি দেখে নেবো। ঘুছিয়ে রিভিউটা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ☘️
দেখবেন বলেই তো আফসোস রেখে দিলাম।😂ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফারহান অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক করে থাকে, তার নাটকগুলো বেশ চমৎকার এবং আমিও তার নাটকগুলো পছন্দ করে থাকি। খুব সুন্দর ভাবে আজকে আপনি ফারহানের নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।