গল্প -- 🥰 " ভালোবাসি তোমায় প্রিয় " || আমার বাংলা ব্লগ
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু শেয়ার করতে তাইতো আজ একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম।আমার আজকের গল্পটির নাম " ভালোবাসি তোমায় প্রিয়"।আজ এই গল্পটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে গল্পটি শুরু করি।
ভালোবাসি তোমায় প্রিয়ঃ
ছোট একটি শহরে বাঁধনের বেড়ে ওঠা।এই ছোট শহরের দশ জনের মধ্যে একজন হলো এই বাঁধন।বাঁধন দেখতে যেমন সুন্দর। তেমনি তার আচার আচরনে এই শহরের সবার চোখে খুব মিষ্টি মেয়ে এই বাঁধন।বাঁধন স্কুল পেড়িয়ে আজ কলেজের পথে।দুই ভাই বোনের মধ্যে বাঁধন ছোট,ভাই বড়।বাঁধনের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।তাই সে হলে থাকে।বাঁধন একা মা-বাবার সাথে থাকে।পড়ালেখায় খুব ভালো বাঁধন।ভাই এর ইচ্ছে বোন আই পাশ করলে ওকে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করবে।তখন ভাই-বোন হলে নয়,একটি বাসা নেবে।যেখানে তার মা-বাবা এসেও তাদের দুজনের সাথে থাকতে পারবে।
লেখাপড়ায় খুব ভালো বাঁধন। তার ইচ্ছে বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। বড় ভাই কে সে সব সময় ফলো করে।বাঁধনের বড় ভাই ও একজন ভালো স্টুডেন্ট। এই বড় হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে বাঁধন তার লেখাপড়ার দিকে খুব বেশী আগ্রহী।কলেজে যাওয়ার পর হাতে গোনা দুএকজনের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়েছে।ছেলেদের সাথে সে ভুলে ও কখনও কথা বলেনা।তার বান্ধবীরা সবার সাথেই খুব গল্প হায়, হ্যালো করে সব সময়।কিন্তু বাঁধন সারাক্ষন পড়া আর ক্লাস ছাড়া কোন রকম ভাবে সময় নষ্ট করে না।
একদিন ক্লাসের একটি ছেলে বাঁধনকে হ্যালো বললে বাঁধন কোন কথা না বলে বের হয়ে যায়। তখন ছেলেটি তার বান্ধবীর কাছে জানতে চায় বাঁধন কেন কথা বলল না।হয়তো বাঁধনের খুব অহংকার। তখন তার বান্ধবী ছেলেটিকে বলে,বাঁধনের কোন অহংকার নেই,ওর স্বপ্ন বড় হওয়ার। তাই সারাক্ষন পড়াশোনা করে।একটি মিনিট ও কারো সাথে গল্প করে কাটায় না।
এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল। বাঁধন দেখতে দেখতে দুই বছর পার করে ফেলে। অথচ কোন ছেলের সাথেই সে কথা বলে না।এমনকি কোন সাহায্য ও নেয় না।তাই সব ছেলেরাই তাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু ওই যে ছেলে সামির সেই ছেলে কিন্তু মনে মনে বাঁধনকে খুব পছন্দ করে চলে। কিন্তু কখনও মুখ ফুটে একটি কথা ও বলে না।কারন সামির জানে বাঁধনের স্বপ্নের কথা।তাই নিরবে তাকে ভালোবেসে যায়।বাঁধন কোন কিছুর হেল্প চাইলে তার বান্ধবীর কাছে তার সবটাই সামির করে দেয়।কিন্তু ভুল করেও তার বান্ধবী বাঁধনকে একথা জানায় না।সামির তাকে নিষেধ করে এজন্য।
ওরা সবাই খুব ভালো ভাবে আই এ পাশ করে।এরপর একেক জন একেক জায়গায় চলে যায়। বাঁধন ঢাকা গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসে।কিছুদিনের মধ্যে তার রেজাল্ট ও হয়।বাঁধন নিজের পছন্দের সাবজেক্টেই চান্স পেয়ে যায়। এরপর ওর ভাই একটি ছোট বাসা নেয়।মা-বাবাকে সহ বাঁধন কে নিয়ে ঢাকা আসে।অন্যদিকে সামির বাঁধনের বান্ধবীর কাছে জানতে পারে বাঁধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।একথা জেনে সামির খুব খুশি হয়।কিন্তু সামির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে সেখানে চলে যায়।এভাবেই পড়াশোনা নিয়ে কেটে যাচ্ছিল তাদের জীবন।
অনেক মেয়েই আসে সামিরের আশেপাশে। কিন্তু সামিরের মনের মাঝে ওই বাঁধন নামের মেয়েটি বসে আছে।তাই কোন মেয়ের সাথেই সামির আর সহজ হতে পারে না।আর অন্য দিকে বাঁধনকে নিয়ে ও ভার্সিটিতে সব ছেলেদের মাঝে নানা রকমের গুন্জন চলছিল।কারন তারা সবাই চাইছিল বাঁধন তাদের সাথে কথা বলুক।কিন্তু বাঁধন সেই লেখাপড়া।বাঁধন দু একজন মেয়ে ছাড়া কারো সাথেই তেমন কথা বলে না। তার চোখে মুখে কোন ভালোবাসা নেই।
বাঁধনের বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যায়।বিয়েতে বাঁধনকে আসতে বললেও বাঁধন আসতে পারেনি ক্লাসের জন্য। সামির এসেছিল অনেক আশা নিয়ে বাঁধনকে দেখবে বলে।কিন্তু তার সেই আশা ভঙ্গ হয়ে যায়। এক বুক আশা নিয়ে সামির আবার কুমিল্লা চলে যায়। সামির এটা বিশ্বাস করে বাঁধনের সাথে তার আবার দেখা হবে। সামির এই আশায় ই বেঁচে আছে। সামিরের দেখা প্রথম এই সেই মেয়ে বাঁধন,যাকে প্রথম বার দেখেই মনের মধ্যে ভালো লাগার তৈরি হয়।তাই সে বাঁধনকে কিছুতেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি।
এই পর্বে গল্পটি শেষ করা যাবে না। এরপরে আসলে কি হলো জানতে হলে অবশ্যই পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
অনেক সুন্দর একটা গল্প ছিল যেটা পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল। আপনি কেন যে এই গল্পটা শেষ করলেন বুঝলাম না। বাঁধন নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে আর কারো সাথে তেমন একটা মেলামেশা করতো না। সামির কিন্তু তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে, যার কারণে বাঁধনকে দেখার জন্য সে অপেক্ষায় রয়েছে এখনো। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্প পড়তে আর কেউ ভালোবাসুক বা না বাসুক আমার কিন্তু খুবই ভালো লাগে। তাই আমি কখনো গল্পকে এড়িয়ে চলি না। আজকে আপনি সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে গল্প পড়ে একটা বিষয় ভালোভাবে বুঝলাম আর এটা আমি জানি যার মনে যে মানুষটা ঠাই পেয়ে যায় তাকে ভুলে থাকা বেশ কঠিন আর তাকে না পেলে ভেতরটা সব সময় যেন উড়তে থাকে সামিরের এর ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে বাঁধনের জন্য।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।