লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 " হঠাৎ বৃষ্টি " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি।
আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
হঠাৎ বৃষ্টিঃ
বন্ধুরা,আজ আমি আমার লাইফের একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম।ঘটনাটি গত ১৬/৮/২৩ ইং পরশু দিনের।অর্থাৎ সেদিন ছিল বুধবার।আপনারা অনেকেই জানেন আমার ছেলেকে স্কুল থেকে আনা নেয়া আমি ই করি।আর আমার ছেলে ফুটবল খেলার জন্য বেশ পাগল।তাই ওর ছুটির পর ওকে কিছু সময় ফুটবল খেলার জন্য সময় আমি দেই।অনেক রোদ থাকা সত্ত্বেও সে ঘন্টাখানেক স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলে।অনেক সময় আধা ঘন্টা পরে গেলেও আমার দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ওর জন্য। তাইতো ১১.৩০ টায় স্কুল ছুটি হলেও আমি ১২ টার মধ্যে ই স্কুলে পৌঁছে যাই।
গত পরশু দিন আমি রেডি হচ্ছিলাম স্কুলে যাওয়ার জন্য। ঠিক এমন সময় আকাশ কালো করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।আমি বের হবো তেমন সুযোগ ছিল না। আমার ছেলেটি মোটামুটি ঘরের সবকিছুই ভেঙ্গে পরীক্ষা করে দেখে এসব জিনিসের ভেতরে আসলে কি আছে।তাইতো ছাতা আছে ছাতা ব্যবহার করবো তেমন সুযোগ নেই। ওর পাপা কে বলা হয়েছিল কিন্তু সেও ভুলে যাওয়াতে ছাতা আনা হয়নি।আর তাছাড়া বেশ অনেক দিন বৃষ্টির দেখা নেই তাই দরকারের কথা মাথায় ও ছিল না।
আমি বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে পথে নেমে ভিজতে ভিজতে মোড়ের দোকানে দাঁড়ালাম রিকশার জন্য।আর রিকশা পেয়েও গেলাম।স্কুলে চলে গেলাম খুব অল্প সময়ে।তখন ভিড় ছিল খুব স্কুল গেইটে।কারন ক্লাস ফাইভ থেকে টেন ছুটি হয়ে গেছে তখন।যাক আমি ভিতরে যাওয়ার পর ইংলিশ ভার্সনের গেইটে দাঁড়িয়ে দারোয়ান ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম।বাচ্চারা কেউ তো নেই।আমার ছেলেকে তো দেখছি না।দারোয়ান বলল বৃষ্টি তাই মাঠে আজ বাচ্চারা নেই।হয়তো ভেতরে খেলছে আপনি একটু অপেক্ষা করেন চলে আসবে।কিছুক্ষন দাঁড়ানোর পরেও যখন ছেলেকে দেখছি না। তখন ডে শিফটের ক্লাস ও শুরু হয়ে গেছে।আমি বললাম,ওর ক্লাস তিন তলাতে আমি একটু দেখে আসি।উনি আমাকে যেতে দিলেন।আমি গিয়ে ক্লাস রুম তালা দেয়া দেখলাম।সব ক্লাস খালারা ক্লিন করে তালা দিয়ে রাখছে।আমি ছেলেকে না পেয়ে নীচে চলে এলাম।
নীচে এসে সব জায়গাতে তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম রামিনকে কেউ দেখেছে কিনা,কিন্তু কেউ দেখেনি বলল।১২ টার আগে দেখেছে যখন বৃষ্টি শুরু হয়নি।এরপর আর দেখেনি।আমি স্থির কিন্তু আমার পা দুটো যেনো আরো বেশি সচল হয়ে উঠলো।আমি বাংলা ভার্সন এর গেইটে, মাঠে সব জায়গাতে খুঁজতে লাগলাম।আপনারা যারা জানেন পিলখানার ভেতরে কতটা বড় স্পেস তারা জানবেন আমি কতোটা সেদিন হেঁটেছি।
দারোয়ান ভাই ছেলের নাম আর আমার মোবাইল নাম্বার নিলো। আর বললো,ম্যাডাম আপনি ৪ নাম্বার গেইট থেকে ঘুরে আসুন।এর মধ্যে ছেলে বের হয়ে এলে আপনাকে কল দেবো।আমি একটি লেগুনা গাড়িতে উঠলাম।আসলে এখানে এই স্কুলের ভেতরে এতোটাই দূরত্ব যে এক গেইট থেকে অন্য গেইটে গেলে স্কুল বাস,লেগুনা,অটো রিকশায় যেতে হয়।আমি বললাম দারোয়ানকে আমার ছেলে কখনও ৪ নাম্বার দিয়ে যাবে না।আমি সব সময় এই ৫ নাম্বার দিয়েই তো আসা যাওয়া করি।তারপরেও মন মানছে না বলে গাড়িতে করে ৪ নাম্বার গেইটে গেলাম।৪ নাম্বার গেইটে গিয়ে গার্ডদের বললাম।তারা বলল অভিভাবক ছাড়া তো ছাড়া হয়না। এমন কাউকে আসলে দেখিনি।তখন মনের অবস্থা কেমন হয় বলেন।ক্লাস থ্রির একটি বাচ্চা ছেলে কোথায় যেতে পারে।আমি ভেতরে ভেতরে ভেঙে চূড়ে যাচ্ছিলাম।তবুও আমি কাউকে তখন ফোন দিচ্ছিলাম না।কারন আমার মনে হয়েছিল তখন এটা ই ফোন দিলে কেউ আমার হয়ে খু্ঁজতে যতটা সময়ে আসবে তার চাইতে আমার খোঁজ করাটা বেশি জরুরী। তাই ফোন দিয়ে সময় নষ্ট করতে চাইনি।
এরপর আমি আবার গাড়ি করে স্কুল গেইটে চলে এলাম।আমি স্কুলের এ গেইট থেকে সেই গেইট মোট ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট বৃষ্টিতে ভিজে ছেলেকে খুঁজলাম।এই প্রথম এতো সময় আমার বৃষ্টিতে ভেজা।আমার সম্পূর্ণ শরীর, কেডস পানিতে ভেজা।দারোয়ান বলল,ম্যাডাম আপনি বাসায় গিয়ে দেখেন বাসায় গেলো কিনা?? আমি বললাম, আপনি কি বলেন, একা এতোটুকু বাচ্চা এই গাড়ি,রিকশার রাস্তা দিয়ে কিভাবে যাবে? কখনো তো একা আসা যাওয়া করেনি।তখন সে বলল,আপনি বাসায় গিয়ে না পেলে আবার এখানে আসবেন আমরা ও আপনার সাথে খুঁজবো। তখন মনের অবস্থা কেমন হয় বলেন।আমার যে ভেতরে কি লাগছিলো আমি তা কাউকে বোঝাতে পারবো না।দারোয়ান ভাই তো আমাকে বলেই ফেললো, ম্যাডাম আপনার মতো ধৈর্যশীল মানুষ এই প্রথম দেখলাম। অন্য মায়েরা হলে কেঁদে বসে পরতো।আর আপনি দেড় ঘন্টা ধরে খুঁজছেন।একটু ও বসেননি।
বাইরে বের হয়ে রিকশা নিলাম।যতই বাসার দিকে এগুচ্ছি ততই যেনো খারাপ লাগা ভর করছে আমার মনে।কান্না যেনো গলায় আটকে আছে।বাসার দরজার কাছে মুখটি না দেখতে পেলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরবো আমি এমনটা মনে হচ্ছে।আমি বাসায় নামলাম।বাসা আমার ৪ তলাতে।একটা সিঁড়ি উঠেই উপরে কথা কিছু কানে আসছিলো আমার। আমি নীচ থেকেই বলে উঠলাম কে, কে?? উপর থেকে আমার ছেলে বলে উঠলো আমি রামিন। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আমার ভেতর তখন কি হয়েছিল আমি বোঝাতে পারবো না।আমি বাকি সিঁড়ি গুলো এক ঝটকায় মনে হয় পার হলাম।ঘরে তালা দেয়া তাই সে বাইরে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজিয়ে যাচ্ছিল।দিনটি আমার কিভাবে গেলো আমিই জানি।
আমি ওকে কিছুই তখন বলিনি।শুধু নিজের ভেতরে যে কষ্টটা হচ্ছিল তাকে চাপা দিতে আমি একাই কথা বলে যাচ্ছিলাম। আমি বলছিলাম ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে আমি কি এমন মা যে দায়িত্ব জ্ঞানহীন।তবে একা কেন আসতে হলো? আমার যত কাজ ই থাক না কেন আমি সময় মতো সবটা করার চেষ্টা করি, এটা কি কেউ জানে না?? আজ পথে কিছু হয়ে গেলে কি হতো??এসবই বলছিলাম।যাই হোক ছেলেকে গোসলে পাঠিয়ে আমি দারোয়ানকে ফোন দিলাম,বললাম বাসায় একাই চলে এসেছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা দুজন দারোয়ান থাকতে এই ছেলে একা কিভাবে বের হলো?? সে বলল,উপরের ক্লাসের বাচ্চাদের সাথে বের হয়ে গেছে। আমরা কি করে বুঝবো।
যাই হোক এখন ছুটি হওয়ার আগেই আমি চলে যাই।আর খেলতে হলে সপ্তাহে একদিন খেলবে বলেছি।আমি তখন বসে থাকবো।আসলে একটা বিষয় বুঝলাম।আমরা মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে যতোটা ভাবি তারা ছোট,কিছু বোঝেনা।আসলে তারা ততো ছোট নয়।এই ছোট ছেলেটি কিভাবে এতোটা পথ হেঁটে বাসায় চলে এলো এখনও আমার কাছে এটা একটা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।আমার আজকের এই লাইফ স্টাইল পোস্টটি অনেক লম্বা হয়ে গেলো।তবে আমার সেদিনের সেই অনুভূতি ততোটা হয়তো লিখে তুলে ধরতে পারিনি।তবে স্মৃতিতে ধরে রাখতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আশাকরি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার সার্থকতা।সবাই খুব ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Twitter link
সত্যি আপু বাচ্চাদের টাইম মতো না পাওয়া গেলে কেমন মনে হয়, শুধু একজন মা জানে।তবে বর্তমানের বাচ্চারা অনেক ট্যালেন্ট। আসলে বাসায় এসে যদি বাচ্চাকে না দেখা যেত তাহলে তো আরো খারাপ অবস্থা হতো।আর কিছু কিছু দারোয়ানরা তাদের দ্বায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারে না।আপু আর যাইহোক অবশেষে বাচ্চাকে পাওয়া গিয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাকে না পাওয়া গেলে মনের অবস্থা কেমন হয় তা কেবল মা-ই জানে। কথায় আছে বিপদে ধৈর্য্য ধরতে হয় । আপনি সেই কাজটিই করেছেন। ঠান্ডা মাথায় বাচ্চাকে খুঁজেছেন। অন্যকে ফোন করে অস্থির করেননি। তবে এটা ঠিক করেছেন বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে বকাঝকা করেননি বা মারধর করেননি। তবে পরে বুঝিয়ে বলা ,যাতে সে কখনও একা একা আর না আসে। সেই দিনের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
এখনকার বাচ্চারা সত্যিই অনেক ট্যালেন্ট। সবকিছু খুলে আবিষ্কার করতে চায়। তাই তো ছাতা খুলে দেখার চেষ্টা করেছে। তবে যাই হোক হঠাৎ করে ছেলেকে না পেলে যেকোন মা চিন্তায় পড়ে যাবে। তবে বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা অনেক ভালো একটি গুণ। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট পড়ে ভালো লাগল আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
কোন কিছু খুলে দেখার আগ্রহ থাকা বাচ্চাদের একটি ভালো দিক। যেসব বাচ্চাদের ভিতরে এসব গুণ পাওয়া যায় তার অনেক বুদ্ধিমান হয়। আর এমনিতে বাচ্চারা খেলা করতে অনেক পছন্দ করে। বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলা করা অনেক উপকারী। এতে বাচ্চাদের শারীরিক গঠন ভালো হয়। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আসলে খেলাধুলা করা ভালো এটা ঠিক। তবে আমার পোস্টটি ছিল মুলত হঠাৎ বৃষ্টির কারনে ছেলেকে হারিয়ে ফেলা।ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
জি আপু আমি জানতাম যে আপনার পোস্ট এর মূল কথা ছিলো হঠাৎ বৃষ্টি আর আপনার ছেলেকে হারিয়ে ফেলে নিয়ে। সবাই যখন একই কথা বলছে তখন আমি সেটাকে আর উল্লেখ করিনি। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
বর্তমান সময়ে কখন বৃষ্টি হচ্ছে আর কখন রোদ হচ্ছে বোঝায় মুশকিল। আপনার পোস্ট অনেক ভালো লাগলো আপু। তবে পোস্টের প্রথম দিকে যখন আপনি আপনার ছেলেকে ইস্কুলে খুঁজে পাচ্ছেন না তখন কেমন যেন একটা লাগছিল। তবে পরবর্তীতে যখন আপনার ছেলেকে পেয়ে গেলেন তখন বেশ ভালোই লাগছিল।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বাচ্চাদের যদি টাইম মতো খুঁজে না পাওয়া যায় সত্যি মা দের মনের অবস্থা অনেক খারাপ হয়। আমি মনে করি শুধু একজন মা জানে তার বাচ্চা যদি চোখের আড়াল হয় তাহলে কি অবস্থা হয়। আসলে এখনকার সময় দারোয়ানরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না। অবশেষে বাচ্চাকে খুঁজে পেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। বাচ্চাকে মারধর করেননি আসলে এই বয়সে বাচ্চার একটু এমন পাগলামি করবে তাদেরকে বোঝাতে হবে।
টাইটেল দিলেন হঠাৎ বৃষ্টি মূলত জড় বৃষ্টি তো হয়েছে ছেলের জন্য আপনার মনের ভিতরে। ছেলে মানুষ বুঝে নাই। তাই বন্ধুদের সাথে স্কুল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে এসেছে। ধন্যবাদ।