গল্প -- 🥰 " মা " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে।প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু শেয়ার করতে তাইতো আজ একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম।আমার গল্পটির নাম " মা "।
মা
বন্ধুরা,অনেকদিন পর একটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম।আজকের গল্পের নাম মা। আসলে আমাদের সকলের জীবনে মায়ের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবেনা।সেই মা কে নিয়ে আমার আজকের এই গল্পটি বাস্তবিক একটি ঘটনা।আমি আপনাদের মাঝে গল্প আকারে প্রকাশ করছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আপনারা এটা জানতে পারবেন এই সমাজে মা কিভাবে অবহেলিত হয় সন্তানের কাছে।চলুন তবে শুরু করি বাস্তবে ঘটে যাওয়া গল্পটি।যেখানে মায়ের বিষয়টি খুব প্রাধান্য পেয়েছে।তাই এই গল্পটির নাম আমি মা দিয়েছি।
হামিদা বেগম আমার আজকের গল্পের মায়ের চরিত্রের নাম।তিনি তার হাসবেন্ড আনিসুর রহমানের সাথে মফস্বল শহরে বাস করতেন।তার হাসবেন্ড ভালো একটা জব করতেন।সুখেই তাদের দিন কাটছিলো। হামিদা বেগম খুব নরম স্বভাবের একজন মানুষ ছিলেন।তার হাসবেন্ড ও ছিল শান্ত স্বভাবের।তাদের পরিবারকে সুখী একটি পরিবার বলাই যায়। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল তাদের।হামিদা বেগমের কোল জুড়ে একটি ফুটফুটে মেয়ে আসে।মেয়েটিকে পেয়ে তারা দুজনে খুব খুশী।হামিদা বেগম আর তার হাসবেন্ড খুব খুশী হয়ে মেয়ের নাম আলো রাখেন।কারন মেয়েটি দেখতে আলোর মতোই জলজল করছিলো।হামিদা বেগমের সব আত্মীয় -স্বজন,ভাই-বোন ঢাকায় থাকেন।তিনি মাঝে মাঝে সকলের সাথে দেখা করে আসেন।সবাই বেড়াতে আসেন হামিদা বেগমের ছোট মফস্বল শহরের এই বাসাতে।খুব সুন্দর ছিমছাম সাজানো সংসার।
মেয়ে হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে হামিদা বেগমের একটি ছেলে ও হয়।ছেলেটি দেখতে ও ভারী মিষ্টি হয়।ছেলের নাম রাখেন হাবিব।এক ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে সুখেই সংসার কাটছিলো হামিদা বেগমের।মেয়ে দেখতে দেখতে এইচ এস সি পাশ করে। আর ছেলে সবেমাত্র ক্লাস টেন এ উঠেছিল।এরই মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে আনিসুর রহমান দুদিনের মধ্যে ই না ফেরার দেশে চলে যান।হামিদা বেগম তখন অসহায় হয়ে পরেন।তার শ্বশুর-শাশুড়ি কেউ ছিল না।মা -বাবা ও কেউ নেই।ভাই-বোন থাকতো সবাই ঢাকায়।তাদের অবস্থা সবারই খুব ভালো। কিন্তু তারপরেও হামিদা বেগম কারো কাছে যায়নি।সেই মফস্বল শহরেই তিনি তার ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করার দৃঢ় সংকল্প করেন।
সবকিছু ই ঠিকঠাক মতো চলে যাচ্ছিল।ছেলেমেয়ে দুটো ও মায়ের খুব আপন ছিল।ছেলেমেয়ে বাবাকে হারিয়ে মা কে আঁকড়ে ধরেছিল।হামিদা বেগম ও ছেলেমেয়ের ভালোবাসায় স্বামী হারানোর ব্যথা কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছিল।তার জগৎটাই ছিল এই ছেলেমেয়ে।এই ছেলেমেয়ে কখনওই মায়ের অবাধ্য হয়নি।মায়ের সাথে ছেলেমেয়ের এতো সুন্দর সম্পর্ক দেখে হামিদা বেগমের ভাই-বোন,আত্মীয় -স্বজন এমনকি গ্রামের সকলের মুখে মুখে প্রশংসা ছড়িয়ে পরতো।হামিদা বেগম স্বামীকে হারিয়ে ফেললেও তার কষ্ট নেই। এমন দুজন ছেলেমেয়ে তার ঘরে আল্লাহ দিয়েছেন। এমন কথা ও সবাই বলতো।
হামিদা বেগমের মেয়ে বড় হয়েছে তার বিয়ে দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরলেন।মেয়ে দেখতে সুন্দর।বাবা নেই তাই বিয়ে দিয়ে দেয়াই ভালো মনে করেন।এরপর ভাই-বোন, আত্মীয় -স্বজনকে মেয়ের বিয়ের কথা বলাতে চারিদিক থেকে মেয়ের জন্য বিয়ের ঘর আসতে লাগলো।হামিদা বেগম ভাই-বোনের সাথে বুঝে খুব ভালো একটি পরিবারে মেয়েকে পাত্রস্থ করলো।মেয়ের শ্বশুর বাড়ি ঢাকাতে।মেয়ে চলে যাওয়ার পর হামিদা বেগম যেনো একদম একা হয়ে গেলেন।কারন সুখ-দুঃখের সকল কথা তিনি মেয়ের সাথেই বলতেন।ছেলে বড় হয়েছে।স্কুলের খুব নামকরা একজন স্টুডেন্ট তিনি।তাই ছেলেকে সাংসারিক কোন কথাই হামিদা বেগম শেয়ার করতেন না।ছেলের পড়ায় বিঘ্ন ঘটে এটা তিনি চাননি।স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা আর কতোদিনই বা চলে।হামিদা বেগমের ভাই-বোন তাকে নীরবে সাহায্য করেন।যাতে ছেলে না বোঝে। ছেলে একদিন বড় হবে। তখন হামিদা বেগমের এই কষ্টের দিন লাঘব হবে।
দেখতে দেখতে ছেলের পড়াশোনা শেষ হলো।ছেলে দেশের বাইরে চলে গেলো স্কলারশিপ নিয়ে।হামিদা বেগম আরো বেশী একা হয়ে গেলেন।তিনি মফস্বল শহরেই থাকতেন।মেয়ের কাছে মাঝে মাঝেই যেতেন।মেয়েও আসতো মায়ের কাছে।বিয়ের পর মেয়ে ও মাকে আর্থিক সাহায্য করতো।এমনিতে খুব ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিল। ছেলে সব সময় মায়ের খোঁজ খবর নিতো।মাকে বলতো এবার তাদের কষ্টের দিন ঘুচবে।মা কে বলতো ছেলে মায়ের আর কষ্ট করতে হবে না।ছেলে একটি জব ও নিয়েছিল।মাকে প্রতিনিয়ত টাকা ও পাঠাচ্ছিল।হামিদা বেগম যেনো সুখের মুখ দেখতে পেলেন।আনন্দে তার চোখে পানি এসে গেলো। এখন তার সুখের দিন। এতো বছর পর আজ ছেলে মায়ের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে,এর চেয়ে খুশীর আর কি হতে পারে।মায়ের কষ্টের দিনগুলোর কথা ছেলে সব সময় মা কে বলে।মা তাদের দুই ভাই-বোনের জন্য আর্শীবাদ।আজ এতোদূর আসার পেছনে মায়ের অবদানের কথা ছেলে সব সময় মনে করেন।অনেক কষ্ট করে মা তাদের এতোটা দূর এনেছেন।তাইতো এই ছেলে বাইরে গেলেও একটা টাকা ও নষ্ট করে না।খুব হিসেব করে চলে।
অন্য দিকে মেয়ের ঘরে দুটো ছেলে হয়।মেয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিল। হঠাৎ একদিন মেয়ে হামিদা বেগমকে ফোন করে বলে তার হাসবেন্ডের চলাফেরা তার সুবিধা মনে হচ্ছে না।তখন হামিদা বেগম ঢাকায় গিয়ে বোনের বাসায় উঠে বোনকে সব জানায়।হামিদা বেগমের এই বোনের খুব প্রভাবশালী একটি পরিবারে বিয়ে হয়।তাই তিনিই হামিদা বেগমকে সব সময় আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছিল।সেই বোন কে মেয়ের জামাইয়ের কথা বলাতে তিনি খবর নেন হামিদা বেগমের মেয়ে জামাই আর একটি বিয়ে করেছেন।হামিদা বেগমের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরলো।এতো ভালো পরিবার দেখে পরীর মতো মেয়েটির বিয়ে দিল।তার কপালটা এমন হলো জেনে হামিদা বেগম নিজেকে দোষী ভাবতে লাগলো।মেয়ে মা কে বোঝালো এতে মায়ের কোন দোষ নেই।সম্পূর্ণটাই তার ভাগ্য। স্বচ্ছল পরিবারে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল তাই কোন রকম আর্থিক সমস্যা মেয়ের হয়নি।হামিদা বেগমের মেয়ে তা ছেলে দুটোকে মানুষ করার কাজে নিজেকে পরিচালিত করলো।আর হামিদা বেগমকে বার বার সান্ত্বনা দিলো মেয়ে মা যাতে তার এই ঘটনায় আর কষ্ট না পায়।কিন্তু হামিদা বেগম মনের মধ্যে খুব বড় রকমেরই আঘাত পান।কিন্তু মেয়েকে আর বুঝতে দেয় না।তিনি আবার নিজ বাড়িতে চলে আসেন।
এই পর্বে গল্পটি শেষ করা যাবে না। এরপরে আসলে কি হলো জানতে হলে অবশ্যই পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
বর্তমান সময়ে এখন প্রতিটি জায়গায় মা অবহেলিত হচ্ছে সন্তানের কাছে। আসলে একটা মা পাঁচটা সন্তানকে মানুষ করতে পারে কিন্তু পাঁচটা সন্তান একটা মাকে মানুষ করতে পারে না। আহারে সন্তান। দুনিয়াতে যদি নিজ স্বার্থহীনভাবে। কেউ ভালোবাসে তাহলে। সেটা মা। দিন শেষে আমরা সেই মাকেই ভুলে যাই। অনেক কষ্ট লাগতেছে যে হামিদা বেগম কষ্ট করে তার ছেলেমেয়েকে লেখা পড়া শিখিয়েছে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে। আসলে মায়ের কষ্ট তখনই দূর হয় যখন ছেলে মেয়ে মাকে দেখে এবং মার জন্য একটু কষ্ট করে টাকা পাঠায়। মার সেবা যত্ন করে। অনেক খারাপ লাগলো হামিদা বেগমের মেয়ের জন্য। সত্যিই বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হায়রে হামিদা বেগম যাও সুখের মুখ দেখলো তাও আবার দুঃখের ছায়া। বড়ই কষ্ট হচেছ হামিদা বেগমের জন্য। কত কষ্ট করেই না তার সন্তানদের কে মানুষের মত করে মানুষ করলো। মেয়েটাকে ভালো বিয়ে দিলো। কিন্তু মেয়ের কপালে এ এমন কি হলো বলেন তো আপু। আর আপনাকে এমন জায়গায় এসেই থামিয়ে দিতে হলো? আপনি কি ইমদাদুল হক মিলনের বোন নাকি?
হিহিহি, মজা পেলাম কমেন্টটি পড়ে। আপু খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবো আশাকরি।ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আসলে মেয়ের অশান্তিতে মায়ের মাথায় দুশ্চিন্তার ভাজ সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে ছেলে-মেয়ে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যার সাথে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার স্বভাব চরিত্রটা ভালো হবে জেনে নেওয়াটাই উত্তম। যাহোক হালিমা বেগম তার মনের মধ্যে আঘাত পাওয়ার পর কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সবকিছু জেনে বুঝে দেয়ার পরেও এমনটা হলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এখানে হামিদা বেগমের কোন দোষ নেই। সবই তার মেয়ের ভাগ্য। তা না হলে তার সাথে এমন কেন হবে। শুধু স্বচ্ছলতা না দেখে ছেলে কেমন তাও দেখা উচিত। আমাদের সমাজে অনেকেই এ বিষয়টি না দেখে শুধু ছেলের আর্থিক অবস্থা দেখে মেয়েদেরকে বিয়ে দেন। তাদেরকেই এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সবকিছু জেনে শুনেই দেয়া হয়েছিল আপু।ভাগ্য বলে কথা।ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবতা সমৃদ্ধ গল্পটি পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
গল্পটা পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। হামিদা বেগম নিজের চেষ্টায় এবং নিজের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছে, ছেলে মেয়ে দুটোকে ভালো একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। আর তার ছেলেমেয়ে দুটো ও বেশ ভালো একটা পর্যায়ে গিয়েছিল। তার মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর তার সন্তান হয়েছিল, কিন্তু এখন তো দেখছি তার মেয়ের হাজবেন্ড আরও একটা বিয়ে করেছে অন্য একটা জায়গায়। আর ছেলে মায়ের সব কষ্ট দূর করছে এটা দেখে ভালো লেগেছে। মেয়েকে ভালো একটা ফ্যামিলিতে বিয়ে দিয়েছিল, যেন মেয়েটা ভালো থাকে। কিন্তু মেয়েটার হাজবেন্ড দেখছি একেবারে অন্যরকম। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে একজন মাকে নিয়ে এই পোস্টটা লিখেছেন এটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। হামিদা বেগম নিজের সবকিছু দিয়ে সন্তানদেরকে মানুষ করেছে। আর ওনার হাজবেন্ডও মারা গিয়েছিল অনেক আগে। ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছে ভালোভাবে এবং ছেলে পরবর্তীতে চাকরি পেয়ে আমাকে দেখাশোনা করছে এটা একটা মায়ের জন্য অনেক আনন্দের। তবে ওনার মেয়ের সংসার দেখছি এখনো নতুন করে কষ্ট নেমেছে এটার জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো পড়ে গল্পটা আপু। হামিদা বেগম স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই সংসারটাকে আগলে রাখলেন। ছেলেও মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করলেন। মেয়েটাকে ভালো একটা পরিবারেও বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মেয়ের জামাই আরেকটা বিয়ে করে ফেললো! দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু কার কপালে যে কি লেখা আছে সেটা তো আগে থেকে বোঝা যায় না। এখানে আমি হামিদা বেগমের কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তার সন্তানদের যতটা কষ্ট করে মানুষ করেছেন এবং দেখে শুনে বিয়ে দেওয়ার পরেও এরকম পরিণতি, এটা আসলে অনেকটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বে দেখা যাক কি হয়, অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দুঃখের পর সুখের মুখ দেখে ঠিকই, কিন্তু সেই সুখ কপালে বেশি দিন সহ্য হয় না। হামিদা বেগমের মেয়ে জামাই এমন একটা বাজে কাজ করলো,এতে করে হামিদা বেগমের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেল। হামিদা বেগমের মেয়ের তো কোনো দোষ ছিলো না, তবে কেনো তার স্বামী এমন জঘন্য একটা কাজ করলো। আসলে ভাগ্য খারাপ হলে কিছুই করার থাকে না। গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।