লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 "পুরোনো সেই ডায়েরি " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি।
আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
পুরোনো সেই ডায়েরিঃ
আমার আজকের ব্লগের টাইটেল পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমি আজ কোন বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি।হে বন্ধুরা,ঠিক ধরেছেন আমি আজ আমার পুরোনো একটি ডায়েরির গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।আসলে বুক শেলফে খুব ধুলা হয়েছিল।যদিও আমি ধুলার কাজ গুলো করিনা।কারন আমার খুব ডাস্ট এলার্জি আছে।যদিও এখন অনেকটাই কমেছে।ঢাকার অনেক ডাক্তারই দেখিয়েছি। আসলে সবার এক কথা আমাকে সেভ মতো চলতে হবে।যা কিছুতে হাঁচি হয় তা না করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা মেয়েরা কি এসব মানতে পারি।তাই যতটুকু পারি না করারই চেষ্টা করি।এজন্য ই ধুলার কাজ এড়িয়েই যাই সব কাজের মধ্যে। সেদিন খালা আসেনি ধুলা দেখে মুখে মাস্ক পরে শেলফ গোছাচ্ছিলাম।তখন এই পুরোনো ডায়েরিটা খুঁজে পাই।আসলে এটা অনেক আগের ডায়েরি।ডায়েরিটা হাতে নিয়ে বেশ খানিকটা সময় পেছনের সেই দিনগুলোতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
যখন থেকে নিজে নিজে বই পড়তে পারতাম তখন থেকেই আমি নানা রকমের বই পড়তাম।যখন যা পেতাম।বই এর প্রতি নেশা হয়ে গিয়েছিলো।বই এর প্রতি নেশা হওয়ার আর একটা বড় কারন হলো আমি খুব ঘরকুনো স্বভাবের ছিলাম।স্কুল আর বাসা। বাইরে কোন আত্মীয়ের বাসায় গেলে আম্মুর সাথে যাওয়া।আমার ছোট বোন ছিল আমার চেয়ে ৪ বছরের ছোট।আর ছোট ভাই আমার চেয়ে ২ বছরের ছোট।ছোট ভাই ফুটবল খেলা নিয়েই থাকতো।আর বড় ভাই ছিল ৩ বছরের বড়।কিন্তু ভাইয়া আমার আর অন্য দুই ভাই - বোনের পেছনে শুধু লেগেই থাকতো।আমি খুব শান্ত স্বভাবের ছিলাম।তাই কোন লাগালাগির মধ্যে না গিয়ে বইকে ই তখন ভালোবেসেছিলাম।
ডায়েরি আমার কখনও কেনা হয়নি। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আব্বু আমাকে বছরের প্রথম জানুয়ারি মাসেই ডায়েরি এনে দিতো।কখনও ডায়েরি লেখার ইচ্ছে হয়নি।প্রথম ১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই ডায়েরিতে আমার পড়া বিভিন্ন বই এর ভালো লাগা অংশ বিশেষ লেখা শুরু করেছিলাম।এমন অনেক বই আছে পড়েছি কিন্তু লেখার আর সুযোগ হয়নি।
এই কাজটি আমার ভালো লাগার একটি কাজ বলতে পারেন।আমার বিভিন্ন বইয়ের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।ডায়েরির উপরে শিমুল নামটি লেখা থাকলেও ভেতরে নির্ঝর নামটি ও কিন্তু আমার ই।অনেক বই পড়েছি কিন্তু ভালো লাগা কথা টুকু হয়তো লেখার সুযোগ হয়নি।আমি কোথাও গেলেও সেখানে বই খুঁজতাম। কতো মজার মজার কমিক্স যে পড়েছি তার হিসেব নেই।অ্যাডভেঞ্চার বইগুলো পড়তেও ভিষন ভালো লাগতো।আমার ভালো লাগা একটি বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।
পুরোনো ডায়েরিটা আমাকে রঙিন স্মৃতিতে কিছু সময়ের জন্য নিয়ে গিয়েছিল।কি সুন্দর ছিল সেই সব দিনগুলো।তখন নিজে টাকা জমিয়ে বই কিনে পড়তাম।আর আজ টাকা আছে বই ও কিনতে পারছি কিন্তু পড়ার সময় পাচ্ছি না।এটাই হয়তো বাস্তবতা।সব কাজের মাঝে বই পড়ার সময় বের করা খুব কঠিন হয়ে গেছে এখন।আগে পড়ালেখার পাশাপাশি নানা রকমের বই,উপন্যাস, গল্প পড়তে সময় পেয়েছি।আর আজ সময়ের বড্ড অভাব।আমি নিজে টাকা দিয়ে অনেক বই ও কিনেছি।আর পড়ে ও নিয়েছি সময় বের করে।সেই সব দিন আজ অতীত।অতীতের সেই ভালো লাগা অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
এই ছিলো আমার আজকের পুরোনো ডায়েরির গল্প।আশাকরি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার সার্থকতা।সবাই খুব ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
আপু আপনার ডাস্ট এলার্জি আছে এটা শুনে একটু খারাপ লাগলো অনেক ডাক্তার দেখেও সেটি ভালো হয়নি। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু মেয়েরা দেখে বসে থাকতে পারে না কারণ তারা নোংরা দেখতে পারে না নোংরা দেখলেই পরিষ্কার করতে শুরু করে দেয়। আপনার বই পড়ার অনেক শখ আছে এবং আপনার বড় ভাই আপনার দিকে অনেক নজর অথবা খেয়াল রাখেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে বই পড়তে আমি যেমন পছন্দ করতাম ঠিক তেমনি সেই বই এর বিশেষ কিছু লাইন এই ডায়েরিতে লিখে রাখতাম।
বেশ ভাল একটা অভ্যাস ছিলোতো আপনার পছন্দের বইয়ের পছন্দের কথাগুলো লিখে রাখা। যখন ইচ্ছে হত তখনই পরা যেত। আর আপনি ঠিক বলেছেন, এখন বই কেনার সামর্থ্য আছে কিন্তু সময়ের বড় অভাব। তাই বই পড়া হয়ে উঠে না। বেশ ভাল লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ডায়রিটি অনেক পুরনো দেখছি। আসলে পুরনো এই জিনিসগুলো যখন নতুন করে চোখে পড়ে তখন সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। আর আপনার যে বই পড়ার বেশ ভালই অভ্যাস আছে সেটা ডায়েরির লেখাগুলো দেখলেই বোঝা যায়। আমারও একটি ডায়েরী আছে যেখানে আমি আমার সুন্দর সুন্দর মেমোরিজ ও স্টিকার দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার ডাইরী দেখে তো আমার নিজের সেই ডাইরীর কথা মনে হয়ে গেল। আমার ও তো ডাইরী ছিল যেখানে আমি আপনার মত করে লিখে রাখতাম। বেশ ভালো লাগা কাজ করলো আজকে আপনার ডাইরী দেখে। অনেক সুন্দর করে আপনি লিখে রাখতেন সব কিছু। আবার বেশ যত্নেও রেখেছেন ডাইরীটি। তবে আমিও কিন্তু আগে প্রচুর বই পড়তাম। যত্নে রেখেন ডাইরীটি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মত আমিও দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগছি আপু। আমিও কোন ধুলাবালির কাজ করতে পারি না, কোন ধোয়া সহ্য করতে পারিনা।বই পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে তবে সময় না পাওয়ার কারণে পড়তে পারি না। আপনার পোস্ট টা পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ পুরোনো অনূভুতি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।