নাটক রিভিউ -- 💕 " অনন্যা " || আমার বাংলা ব্লগ
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,শুভ রাত্রি। কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটক | অনন্যা |
---|---|
সহকারী পরিচালক | মেহেদি হাসান |
অভিনয়ে | মেহজাবিন চৌধুরী, শাশ্বত দত্ত, ডলি জহুর এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রচার | ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২৩ |
সময় | ৫২ মিনিট |
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
অনন্যা নাটকটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এই নাটকে একজন নারীর কতো যে বাঁধা ঘরে বাইরে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের প্রথমে দেখা যাবে মেহজাবিন তার বাচ্চা কোলে করে তার হাসবেন্ড শাশ্বতকে বলছে কাল থেকে তার জবে যেতে হবে।বাচ্চাকে রেখে এতোটা সময় কিভাবে থাকবে। তখন শাশ্বত মেহজাবিন কে বোঝায় তার মা ডলি জহুর তাদের বাচ্চাকে টেক কেয়ার করতে পারবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
অফিসে যাওয়ার আগে শ্বাশুড়ি ডলি জহুরকে মেহজাবিন সবকিছু বুঝিয়ে বলে যায়,কিভাবে তার ছেলেকে দেখাশুনা করতে হবে।এরপর মেহজাবিন অফিসে চলে যায়। অফিসে যাওয়ার পর অফিসের কলিগ তাকে মা হয়েছে বসে বসে স্যালারি পেয়েছে এসব কথা শুনায়।মেহজাবিন ও তাকে কঠিনভাবে কিছু কথা বলে বুঝিয়ে দেয়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যায় ডলি জহুর বিরক্ত হয়ে যায় একদিনেই। তিনি মেহজাবিনকে বলেই দেয় এভাবে তার পক্ষে বাচ্চাকে রাখা সম্ভব নয়।মেহজাবিন কি করবে বুঝতে পারছিল না।মেহজাবিনের হাসবেন্ড বাসায় এসে ও কোন একটা কাজ বা হেল্প করে না।উল্টো ডলি জহুর এটা সেটা নিয়ে শুধু তার ছেলেকে বলতে থাকে।
এরপর একদিন দেখা যায় মেহজাবিন কে তার অফিসের বস কথা শুনায়।মেহজাবিন ঠিকমতো অফিসে আসছে না।কাজ ও ঠিক মতো হচ্ছে না।মেহজাবিন তাকে বলে বাচ্চা ছোট তাই কিছুটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আর এমনটা হবে না।ঠিক সেদিনই ফোন আসে ডলি জহুরের। মেহজাবিনকে সে বলে বাচ্চার জ্বর তাই মেহজাবিন যেনো চলে আসে।কিন্তু মেহজাবিন সেদিন বসের কাছে কথা শুনেছে তাই ইচ্ছে হলেই অফিস থেকে যাওয়া যাবে না শ্বাশুড়িকে তাই বলে।ডলি জহুর মেহজাবিনকে কিছু কথা শুনিয়ে ফোন রেখে দেয়।এরপর মেহজাবিন হাসবেন্ডকে ফোন দেয়।হাসবেন্ডকে বলে বাসায় চলে যেতে।মেহজাবিনের হাসবেন্ড ও তাকে কথা শুনিয়ে দেয়।
এরপর মেহজাবিন তার হাসবেন্ডকে জানায় মেহজাবিনের পরিবারে তার মা বিছানায় পরে আছে।তার আর কোন ভাই-বোন নেই।তাই মায়ের ডাক্তারের খরচ এই বেতনের টাকাতেই করতে হয়।নয়ত এই চাকরি তার না করলে ও চলতো।এভাবে খুটিনাটি লাগা চলতেই থাকে।মেহজাবিন এরপর বাচ্চাকে নিয়ে অফিসে যায়।অফিসের টেবিলে বাচ্চাকে নিয়েই কাজ করে।কিন্তু তার কলিগরা তাকে অনেক কথা শোনায়।এরপর বসের কাছে গিয়ে অভিযোগ দেয়।এরপর বস থাকে ডাকে। বস মেহজাবিনকে বোঝায় বাচ্চা নিয়ে আসা যাবে না।মেহজাবিন বস কে অনেক কথা বলে এই চাকরি থেকে রিজাইন দেয়।মেহজাবিন জানায়,যেখানে আমার ছেলের জায়গা হবে না,সেখানে আমিও জব করব না।
এরপর মেহজাবিন বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় থাকে।বাসার কাজের মেয়ের কাছে জানতে চায় তার ছেলে মেয়ে কয়টি? মেয়েটি জানায় তার দু মেয়ে। দুইটি মেয়ে হওয়াতে জামাই তাকে রেখে চলে গেছে।তাই কাজ করে খেতে হয়।মেহজাবিন জানতে চায় বাচ্চা দুটো কে কার কাছে রেখে আসে।কাজের মেয়েটি তখন জানায় বড় মেয়ের ছয় বছর। বড় মেয়েই ছোট মেয়ের দেখাশুনা করে যার বয়স ছয় মাস।একথা শুনে মেহজাবিন অবাক হয়ে যায়।দুজনেই তো ছোট।এরপর কাজের মেয়েকে বলে মেয়ে দুটোকে এখানে নিয়ে এসে যেনো কাজ করে।তাতে মেয়েদের জন্য কোন টেনশন হবে না।এরপর মেহজাবিন একদিন জ্বর হলে শুয়ে থাকে। সেটা নিয়ে ও অনেক কথা শুনতে হয় তার।হাসবেন্ড আর শ্বাশুড়ি দুজনই কথা শুনায়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর মেহজাবিন তার হাসবেন্ডকে রেস্টুরেন্টে ডাকে কিছু কথা বলতে।তার হাসবেন্ড আসে,এসে বলে বাসায় তো কথা বলা যেতো। তখন মেহজাবিন জানায় তারা দুজন কিছুদিন আলাদা থাকবে।মেহজাবিনের মা যেহেতু বিছানায় তাই তার বাবা বাসায় ই থাকে।তাই সে বাচ্চাকে বাবার কাছে রেখে জব করবে।কারন তার মায়ের জন্য ও টাকার দরকার।আর মেহজাবিন মানসিক ও শারীরিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত।তার হাসবেন্ড তখন রাগ করে চলে যায়।
এরপর আসলে কি হয়েছিল?? মেহজাবিন কি বাবার বাসায় চলে গিয়েছিল?? বাচ্চাকে রেখে তিনি কি কোন জব পেয়েছিল ?? কাজ করে মায়ের পাশে দাঁড়াতে কি পেরেছিল?? এসব কিছু জানতে হলে নাটকটি আপনাদের দেখতে হবে।আমার কাছে তো নাটকটি ভীষণ ভালো লেগেছিল।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
আমার মতামত
এই নাটকটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই নাটকে মেয়েদেরকে অবহেলিত করে রাখা হয়েছে। একজন নারী তখন ই সফল হতে পারে যখন ঘরে-বাইরে সকলের সহযোগিতা পায়। এই বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে নিজের একার চেষ্টাতে মেহজাবিন একজন সফল মানুষ হতে পেরেছে দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।মেহজাবিনের একটা কথা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে যা তিনি শেষ দৃশ্যে বলেছেন --একজন মাকে যদি একটু স্পেস দেয়া যায়, একজন মা যদি তার বাচ্চাকে একটু সময়ের জন্য মাটিতে রাখতে পারে তবে একজন মা জব কিংবা বিজনেস নয়। সেই মা চন্দ্র অভিযানে ও যেতে পারবে।এই কথাটি খুব ভালো লেগেছে আমার। অনেক বেশি ভালো লেগেছে নাটকটি আমার।নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে নাটকটি দেখলে।আপনারা চাইলেও দেখে নিতে পারেন।আমি নীচে নাটকটির লিংক দিয়ে দিলাম।
রেটিং
পরিচালনা | ১০ |
---|---|
কাহিনী | ১০ |
অভিনয় | ১০ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার। আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা। আমি একজন গৃহিণী। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই। নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
অনন্যা এই নাটক টি আমি দেখেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নাটকের গল্প এবং দৃশ্যপট খুবই অসাধারণ ছিল। পরিবার গুছিয়ে কিভাবে একজন নারী সফল হতে পারে তার দৃষ্টান্ত নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে । মেহজাবিনের চরিত্র বেশ দারুন ছিল। এত সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। নাটকটি আপনি দেখেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।
আপু খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আমি গতকাল দেখেছি আর ভেবেছিলাম রিভিউ দেবো। এর মধ্যে আপনার রিভিউ পড়ে ফেললাম। মেহজেবিনের এই নাটক খুবই সুন্দর হয়েছে আর তার অভিনয় অসাধারণ হয়েছে। মেহজেবিনের শেষ কথাটা আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি নাটকটি দেখেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে। আপনার শেয়ার করা নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। এমনিতেই মেহজাবিন চৌধুরীর নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে এই নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। চেষ্টা করব খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার শেয়ার করা এই নাটকটি দেখার জন্য। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকের মাঝে মেহজাবিন নিখুঁত অভিনয় করে থাকে। তার বেশ অনেক নাটক আমি দেখেছি এবং তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে আমায়। সুন্দর একটি মেহজাবিনের নাটক আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহজাবিন এর নাটকগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আজকের এই নাটকটিও অনেক সুন্দর হয়েছে৷ আপনি যেভাবে এই নাটকের রিভিউটি তুলে ধরেছেন এই নাটকের সবগুলো বিষয়বস্তু খুবই ভালোভাবে ফুটে উঠেছে৷ এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে এই নাটকটি দেখার জন্য সেভ করে রেখেছি৷ অবশ্যই দেখে নিব৷
অনেক ভালো লাগলো সুন্দর এই নাটকটি দেখবেন বলে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মেহজাবিনের নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। গতকাল নাটকটি আমি দেখেছিলাম দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। একজন নারী আসলে কিভাবে সবকিছু গুছিয়ে সফল হতে পারে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু নাটকটি দেখেছেন তাই।
আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।নাটকটির কয়েকটি ক্লিপ দেখেছিলাম আমি ভালো লেগেছিল।আপনার রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।