নাটক রিভিউ -- 💕 " শরবত " || আমার বাংলা ব্লগ
হ্যালো, প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা??
আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ন তথ্য সমুহঃ
নাম | শরবত |
---|---|
গল্প-চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | সেরনিয়াবাত শাওন |
দৈর্ঘ্য | ৫২.৩৪মিনিট |
অভিনয় | তানজিন তিশা, মানুনুর রশীদ,দীপ, শাওন |
মুক্তির তারিখ | ৯ ই জুলাই ২০২৩ ইং |
ধরন | নাটক |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সার সংক্ষেপ
নাটকটির নাম যেমন শরবত তেমনি এই নাটকের নায়িকা তানজিন তিশা শরবত বিক্রি করে।এই গরমে সবাই কম-বেশী শরবত খায়।আর যতো রোদ আর গরম ততো তার ব্যবসা চলে ভালো।এভাবেই সে কাজ করে যাচ্ছে।হঠাৎ একদিন এক আগন্তক যে কিনা পাঠাও চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে সে পেসেঞ্জার নিতে এসে সেখানে দাঁড়িয়ে এক গ্লাস শরবত খায়।আর অন্যদিকে দেখা যাবে এক ছিনতাইকারী এক ছেলের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ওই পথ দিয়েই দৌড়ে যাচ্ছিল।ধর ধর শুনে তিশা দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীর হাত থেকে ছেলেটির মোবাইল উদ্ধার করে। এরপর সেই আগন্তুক ছেলেটি শরবত খেয়ে ১ হাজার টাকার নোট দেয়।তিশা তখন রাগ হয়ে যায়। ১০ টাকার শরবত খেয়ে ১ হাজার নোট দিলে রাগ হওয়ারই কথা।তিশা তখন দোকানের ছোট ছেলেটিকে টাকা ভাংতি করতে পাঠায়।আর অন্যদিকে আগন্তকের পেসেঞ্জার এসে তাড়াহুরা করাতে তিশা বলে পরে এসে টাকা নিতে।আগন্তুক জানতে চাইলো কোথায় পাবে তাকে।তখন তিশা লোকটিকে বলে এই এলাকার সবাই তাকে আর তার বাবাকে চেনে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে তিশার বাবা মামুনুর রশীদ মেয়ের চুল আঁচড়ে দিচ্ছে আর কথা বলছে।মেয়েকে অনেক বোঝাচ্ছিল। মেয়ে যে ছিনতাইকারীকে পথে ধরেছিল তা সে জানে সেটা ও বলল।তিশা বলল ছিনতাইকারী, খারাপ মানুষ কেন থাকবে পথে। আরো বলল এখনকার মতো এমন গরম থাকলে তার শরবতের ব্যবসা খুব লাভজনকভাবে এগিয়ে যাবে।
এরপর দরজায় শব্দ শুনে দরজা খুলে তিশা দেখবে সেই আগন্তুক ছেলেটি এসেছে তার বাসায়।শরবতের খাওয়ার পর বাকি ৯৯০, টাকা নিতে সে বাসায় চলে এসেছে।তিশা বলল,সে দিনে কেন আসেনি দোকানে। সেই টাকা দিয়ে তিশা লেবু কিনে ফেলেছে।পরের দিন দোকান খুললে দিয়ে দেবে।
এরপর আগন্তুক লোকটিকে দেখা যাবে একজন ভদ্রলোকের সাথে কথা বলতে।এই ভদ্রলোকটি বিদেশ পাঠানোর নাম করে তার অনেক টাকা আটকে রেখেছে।বাইরে নিয়ে যাবে কিন্তু নানা ঝামেলার কারনে নিচ্ছে না।
এরপর দেখা যাবে খুব বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে । তিশা দোকান খুলতে পারলো না।এমন আবহাওয়া নাকি বেশ কিছুদিন থাকবে।তাই আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারনে তিশার মন খুব খারাপ।কি করে সে সংসার চালিয়ে নিবে।এই ভাবনাতে মন খারাপ করে বসে আছে।অন্য দিকে আগন্তুকের ও ব্যবসা এই বৃষ্টিতে সুবিধার হয়না।এই বৃষ্টিতে কেই বা বাইকে উঠবে?
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
কয়টা দিন দোকান না খোলাতে আগন্তুক লোকটি বাড়িতে চলে আসে।তিশা বলে তার দোকান না খুললে টাকা দিতে পারবে না।তিশার বাবা তখন তাকে রাতের খাবার খেয়ে যেতে বলল।লোকটি খেতে বসে রান্নার অনেক প্রশংসা করলো। তখন লোকটি বলল তিশাকে সে চাইলে বিদেশ গিয়ে হোটেলের কাজ করতে পারে।তিশা চাইলে ভদ্রলোকের সাথে কথা বলতে পারে। তিশা না না করছিলো।সে লোকটিকে বলছিলো, তার বাবাকে কোথায় সে রেখে যাবে।
এরপর রোদ উঠতে দেখে তিশা শরবতের দোকান ও খুললো কিন্তু দুজন লোক এসে শরবত খাওয়ার নাম করে সব ভাঙ্চুর করলো সবাই তখন বললো এটা সেই ছিনতাইকারী। তিশা খুব ভেঙ্গে পরলো।তার অনেক কষ্ট হচ্ছিল।
এরপর তিশা মন খারাপ করে তার বাবাকে বাইরে চলে যাওয়ার কথা বলবে।তার বাবা ও তাকে বলবে বাইরে গেলে তার আপত্তি নেই।আর তাকে নিয়ে ভাবার দরকার ও নেই।সে নিজে ভালো থাকবে।এরপর দেখা যাবে সেই আগন্তুকের সাথে বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে আলাপ করতে তিশা সেই ভদ্রলোকের কাছে গেলো।ঠিক হলো সে পার্লারের কাজ করতে বাইরে চলে যাবে।আর তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখবে।
এরপর দেখা যাবে আগন্তুক আর সেই ভদ্রলোকটি গাড়িতে করে যাচ্ছে।ভদ্রলোকটি ফোনে কথা বলছিল।তাতে বোঝা গেলো উনি তিশাকে কারো কাছে বিক্রি করে দেবে।এদিকে তিশা বাইরে চলে যাওয়ার আগে তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিতে গেলো।তার খুব কষ্ট হচ্ছে তার বাবার জন্য। তারপরেও তো যেতে হবে।বাবাকে সেখানে রেখে তিশা বিদায় নিলো।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
আসলে এর পরে কি ঘটেছিল?? তিশা কি বিক্রি হয়েছিল?? নাকি নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিল?? তার বাবার ই বা কি হয়েছিল?? এতো সব জানতে হলে আপনাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে।আশাকরি সব উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন।তবে আর দেরি কেন,চলুন নাটকটি দেখে সবকিছুর সমাধান পেয়ে যাই।
আমার মতামত
নাটকটি দেখে আমার মতামত আমি ব্যক্ত করছি নিজের ভাষায়।দেখুন আমাদের সমাজে তিশার মতো অনেক মেয়ে কিংবা ছেলে আছে যারা নানা রকমের সমস্যায় পরে এই রকম ভদ্রলোকবেশী মানুষের কারনে নিজের জীবন শেষ করে দেয়।বিক্রি হয়ে যায়।এই সময়ে এসে আসলে কাউকে এতোটা বিশ্বাস করা ঠিক নয়। মানুষ আজকাল দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক বড় ক্ষতি করে বসে।তিশার বাবার ও উচিত হয়নি সেই লোক দুটোকে বিশ্বাস করা।মানুষকে বিশ্বাস করা বিশেষ করে মেয়েরা নিজেদেরকে সচেতন রেখে কাজ করবেন।কখনো কোন অবস্থাতে অপরিচিত কাউকে এতো বিশ্বাস করা ঠিক নয়।আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ভদ্রলোক আছেন যারা ভদ্রলোক সেজে মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলে।নাটকটি যেনো আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।যাক তিশা যে নিজেই সব বুঝতে পারলো এটা খুব ভালো লেগেছে আমার। আশাকরি আমার নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমার কিন্তু খুব ভালো লেগেছে।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে নাটকটি কয়েকদিন আগে বের হয়েছে নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নাটকটি দেখে বুঝতে পারলাম নাটকটি বেশ রোমান্টিক। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
Twitter link
অনেককে দেখছি খুব চমৎকার চমৎকার নাটকের রিভিউ দিচ্ছি। আপনারটাও খুব চমৎকার ছিল এবং রিভিউ টি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।
যদিও এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে দেখে ভালো লেগেছে। কিন্তু নাটকের শেষে কি হয়েছিল তা তো জানতেই পারলাম না। শরবত নাটকটা আমি সময় পেলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। আজ শেষে কি হয়েছিল তা তো জানার অবশেষে চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ শেয়ার করার জন্য। অনেক সুন্দর করে আপনি লিখেছেন নিজের ভাষায় যার কারণে বুঝতে সুবিধা হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
বাহ খুব সুন্দর করে শরবত নাটকটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। নাটকের গল্প বেশ অসাধারণ। আসলে সত্যি সমাজে অনেকে ই আছে যারা বড়দের কারণে নিজের জীবন তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়। অনেকে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক কিছু করে থাকে। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আসলে এখন মানুষ খুব সহজে অন্যজনকে বিশ্বাস করে ফেলে। কিন্তু সেই মানুষগুলো বিশ্বাসের মূল্য রাখতে পারে না তাদের সাথে বেইমানি করে। অন্যজনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা সেই মানুষটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চিন্তা করে। শরবত নাটকটার কাহিনী আমার কাছে ভালো লেগেছে তবে শেষে কি হলো তা জানার অধীর আগ্রহ হচ্ছে। তাই আমি ভাবছি নাটকটা দেখে নেব সময় পেলে।
অনেক ভালো লাগলো আপু মন্তব্য পেয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে। অবশ্যই নাটকটি দেখবেন,ভালো লাগবে।
বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। সময় পেলেই নাটক দেখা হয়। আপনার এই নাটকের রিভিউটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।