লাইফ স্টাইল -- 🥰 পরিবারের সাথে ইফতার | | আমার বাংলা ব্লগ
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ" এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।তার ই ধারাবাহিকতায় আজ আমি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার লেখার সার্থকতা।
Canva দিয়ে বানানো
পরিবারের সাথে ইফতারঃ
এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান।এই রমজানে ইফতার খুব ই গুরুত্বপূর্ণ।আর এই ইফতার যদি পরিবারের সকলের সাথে করা হয়,তবে অনেক বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।আমরা মেয়েরা বিয়ের পর হাসবেন্ডের বাড়িতে সকলের সাথে রোজা,ইফতার,ঈদ কাটিয়ে থাকি।বাবার বাড়িতে আমাদের যাওয়া খুব একটা হয় না।আপনারা অনেকেই জানেন আমার বাবার বাসা পুরনো ঢাকাতে।এই ঢাকাতে থেকেও নানান ব্যস্ততার কারনে নিজের পরিবার মা,বাবা ,ভাই ,বোন সেই যে একসাথে বসে ইফতার করার আনন্দ এখন আর হয়ে উঠে না।আমি ফ্রি হলে দেখা যায় আমার বোন ব্যস্ত হয়ে পরে।গত এক সপ্তাহ আগে আমরা চার ভাইবোন মিলে ঠিক করেছি এবার ১০০ জন মেহমানকে নিয়ে ইফতার করব। তাদের মাঝে প্যাকেট বিতরন করে দেব।যে ভাবনা সেই কাজ। এই উপলক্ষে আমরা দুবোন গত তিন দিন আগে বাবার বাসায় যাই। আমরা ভাবলাম আগে মা-বাবার সাথে ইফতার করে পরে সেই মেহমানদেরকে নিয়ে ইফতার করব।সেই মেহমানদের গল্প না হয় আর একদিন করব।
গত তিন দিন আগে দুবোন বাবার বাসায় যাই। আর সবার সাথে খুব সুন্দর সময় কাটাই।তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। আমাদের দুবোনকে একসাথে দেখে আমার আব্বু-আম্মু অনেক খুশি হয়ে যায়। কারন একসাথে সময় বের করা খুব কঠিন একটি কাজ।তাই আমরা শুক্রবার একসাথে হই।আর সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাই। আমাদের দুই ভাবী আমাদের জন্য অনেক খাবারের আয়োজন করেন।কারন আমরা তেমন কেউ ই বাইরের ইফতার খেতে পছন্দ করিনা।তাই তারা অনেক রকমের ইফতারের আয়োজন বাসায় করেন।প্রথমে আমরা দুই রকমের শরবত দিয়ে ইফতার শুরু করি। তারসাথে ভাজাভুজি তো আছেই।তবে ফল ও ছিল। একসাথে বসে ইফতার করার আনন্দ অনেক বেশি।আমি কিছু ইফতারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বন্ধুরা মাগরিবের আজান হওয়ার আগে মনে হয় অনেক কিছু খাব,কিন্তু শেষ-মেশ তেমন কিছুই খাওয়া যায় না আসলে। আর ইফতারে কোন খাবারটি না থাকলে অসম্পূর্ণ লাগে,বলতে পারবেন ? হে,ঠিক ধরেছেন জিলাপি।এই খাবারটি না হলে যেন ইফতার জমেই না।
এত এত খাবার দেখে ভেবে বসবেন না যেন সব আমি একাই খেয়েছি।না, আমি একা নই,সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছি। আমার আম্মু-আব্বু এতটাই খুশি হয়েছে আমাদের কে পেয়ে তা লিখে বোঝাতে আমি পারব না।সত্যি কথা বলতে মা-বাবা আমাদের কাছে খুব বেশি কিছু কিন্তু চায় না।তারা চায় সব ছেলে-মেয়ে নিয়ে একসাথে আনন্দ করতে।মা-বাবা চায় সন্তানদের কাছে একটু সময়। এদিক থেকে আমার মা-বাবা খুব লাকি,আমাদের মত ছেলেমেয়েকে পেয়ে।আমরা সব সময় যোগাযোগের মধ্যেই থাকি।হয়ত ব্যস্ত এই শহরে থেকে দেখা হয়না সব সময় কিন্তু যোগাযোগটা সব সময় অব্যাহত থাকে।
আসলে পরিবারের এই বন্ধন,বিনি সুতার বন্ধন।পরিবারের মাঝে থেকে সবাইকে আনন্দ দিতে পেরে অনেক বেশি ভাললাগা কাজ করছে আমার মাঝে।আমার ভাবী দুজন অনেক ভালো,যদিও আমরা দুবোন আরও বেশি ভালো।আসলে আমাদের দেখলে কেউ বলতেই পারে না আমরা ননদ-ভাবী।যে দেখে আমাদের কে,বোন ভেবে বসে।যাই হোক পরিবারের সাথে ইফতারের এই আয়োজন পড়ে আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে আশাকরি। ভালো লেগে থাকলেই আমার লেখাটা সার্থক হবে।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার এই ব্লগটি লেখা সার্থক হবে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
মেয়ে মানুষের জীবন দুই টা ৷ যেমন এক সময়ে বাবা মায়ের কাছে লালন পালন ৷ আর একটা সময়ে চলে যেতে আরেকটি নতু নতুন জীবনে ৷
তবে সর্বোপরি যেটা বললেন ৷
পরিবার বিহীন জীবনটা অন্ধকার৷ তাই জীবনে পরিবারের গুরুত্ব অনেক ৷ বাবা মা কত কষ্ট করে মানুষ করছে ৷ এই শেষ বয়সে যেন তাদের সন্তান পাশে থাকে ৷ আর এটাই জহৎতের নিয়ম ৷ যা হোক দুই বোন মিলে আপনার বাবার বাড়িতে ইফতার আয়োজন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আবার দাওয়াত করেছেন ৷ সর্বোপরি অনেক ভালো লাগলো আপু ৷ শুভকামনা
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে পরিবারের সাথে ইফতার করে শেয়ার করেছেন। আসলে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে বাবার বাড়িতে খুব কমে যাওয়া হয়। আপনার বাবার বাড়ি পুরাতন ঢাকাতে জানতে পারলাম। আসলে আপু পরিবারের সাথে ইফতারি করতে সকলের অনেক ভালো লাগে। মেসে থাকার কারণে এমন ইফতারি এই বছরে একদিন খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ইফতারি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
উৎসবের আমেজ সবসময়ই আকর্ষণীয় হয় । আর সবাই দূরে থাকলেও কাছে এনে দেয়। এত সুন্দর ইফতার পালন করেছেন বাড়ির সবাইকে নিয়ে দেখেও ভালো লাগছে।নিজেদের পুজোর সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ঠিক এভাবেই আত্মীয়-স্বজন সবাই এক হয়ে পূজোর কটা দিন আমরা আনন্দ করি। ইফতারের খাবার-দাবার দেখে তো জিভে জল চলে এলো। বিশেষ করে কাঠি কাবাব গুলো। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।উৎসবের কটা দিন খুব ভালো ভাবে সময় যাপন করুন।
ধন্যবাদ দিদি।সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন ।
পরিবারের সবার সাথে ইফতারের মজাই আলাদা।আপনি আপনার পরিবারের সাথে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন ইফতারি তে।আসলেই আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এটা বিনি সুতার বন্ধন।লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।