নাটক রিভিউ -- 💕 " ইঁদুর বিড়ালের গল্প " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো, প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ন তথ্য সমুহঃ
নাম | ইঁদুর বিড়ালের গল্প |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | বদরুল আনাম সৌদ |
দৈর্ঘ্য | ১.৪২মিনিট |
অভিনয় | ফজলুর রহমান বাবু,সুবর্ণা মুস্তফা, রুনা খান,সাজ্জাদ সোহান,নাজিবা বাশার,সাজু খাদেম |
মুক্তির তারিখ | ১১ ই আগষ্ট ২০২৩ ইং |
ধরন | নাটক |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সার সংক্ষেপ
এই নাটকটি রোমান্টিক নাটক হিসেবে বলা যায় না।পারিবারিক একটি নাটক।তবে তার মাঝে প্রেম-ভালোবাসা,মান-অভিমান,ঝগড়া এসব কিছুই নাটকের মধ্যে বিদ্যমান।নাটকটি মূলত সুবর্না মুস্তফা ও তার হাসবেন্ড ফজলুর রহমান বাবুর পরিবারকে ঘিরেই।সেই পরিবারে আছে তাদের একটি মেয়ে।আর আছে সুবর্ণা মুস্তফার একমাত্র বোন রুনা খান। আর এদেরকে নিয়েই নাটকটি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তবে চলুন নাটকটির সার সংক্ষেপ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
প্রথম দৃশ্যে দেখা যাবে সাজ্জাদ সোহান পথে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ করে ফোন বেজে উঠলে তিনি নিজের ফোন বের করে দেখতে গিয়ে দেখবে পথে ফোন একটি ফোন পরে আছে।আর সেই ফোনটাই থেকে শব্দ আসছে।
এরই মাঝে নাজিবা বাশার অর্থাৎ সুবর্ণা মুস্তফার মেয়ে ফোনের খোঁজে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসবে।এসে সাজ্জাদ সোহানের কাছ থেকে ফোনটি নেবে।আর তাকে রিকুয়েষ্ট করবে তার ফোনে তার এক্স বয়ফ্রেন্ড যে তাকে কল দিচ্ছে তিনি যেনো তাকে বলে দেয় উনি ই তার নতুন বয়ফ্রেন্ড। আর সাজ্জাদ সোহান তাই ই করে।আর এভাবেই দুজনের মাঝে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে। আর ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক ভালোবাসার দিকে এগিয়ে যায়।
এরপর দেখতে পাবো সুবর্ণা মুস্তফার একমাত্র বোন রুনা খান তার বাসায় আসে।কিন্তু কেন আসে তা জানতে তিনি তার হাসবেন্ড ফজলুর রহমান বাবুকে জানতে বলে।আর এই বোনকেও নিয়েও শুরু হয় ঘটনার আর এক মোড়।তার বোন তার হাসবেন্ডের সাথে ঝগড়া করে চলে আসে।আর কখনও সে ওই বাড়িতে ফিরে যাবে না বলে মনস্থির করে।কিন্তু তার বড় বোন সুবর্ণা মুস্তফা কে সে কিছুতেই তা বলতে সাহস পায় না।এভাবেই নাটকটি এগিয়ে চলে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
বড় বোনকে সব না বলতে পারলেও দুলাভাইকে সব বলে।আর ওই সংসার করবে না তিনি তাও জানায়।আর অন্যদিকে মেয়ে ওই ছেলেকে বিয়ে করবে কিন্তু মা কে জানাতে পারবে না।তাই সে বাবাকে বলে। বাবা যেনো তার মাকে রাজি করায়।পারিবারিক এসব খুটিনাটি নিয়ে নাটকটি তৈরি হয়েছে।আর ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় তো অসাধারণ। আর হাসির ও।আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালোই লেগেছে।আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
ফজলুর রহমান বাবু মেয়ের পছন্দের ছেলেটিকে বিয়ে করার জন্য সুবর্ণা মুস্তফাকে কি রাজি করাতে পেরেছিল?? আর রুনা খান অর্থাৎ সুবর্ণা মুস্তফার বোনের কি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল কিনা তা জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।পারিবারিক নাটক হিসেবে নাটকটি খুব ভালো লেগেছে আমার।
আমার মতামত
এই নাটকটি দেখে আমি আমার নিজের মতামত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।আসলে সত্যি কথা হলো পরিবারে বাস করতে হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করতে হয়।আর এই সদস্যদের মাঝে নানা রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।সেই সব অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোকে পরিবারের কেউ না কেউ খুব বুদ্ধি খাটিয়ে হ্যান্ডেল করে। তখন এই ঘটনাগুলোর অবসান ঘটে আর পরিবারে শান্তি ফিরে আসে।এই নাটকেও তাই হয়েছে।সুবর্ণা মুস্তাফা নিজে বুদ্ধি বের করে ফজলুর রহমান বাবু কে নিয়ে সবকিছুর সমাধান করার চেষ্টা করেন।আর সবকিছুর সমাধান ও হয়ে যায়। এই নাটকটিতে মূলত তাই তুলে ধরা হয়েছে। আশাকরি আমার নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমার কিন্তু খুব ভালো লেগেছে।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
বজলুর রহমান বাবুর রচিত নাটক গুলো আগে প্রচুর পরিমাণে দেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে সময়ে হাতে খুব একটা বেশি সময় না থাকার কারণে দেখা হয় না। যদিও এই নাটকটি এর আগে আমি দেখেছিলাম না কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ার পরে নাটকটি দেখতে ইচ্ছা করছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।দেখবেন ভালো ই লাগবে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে একটি নাটক রিভিউ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। আসলে কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তবে আমার মোবাইলে ডাউনলোড করা আছে ভেবেছি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দেখব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।