💕 ভালোবাসার মিষ্টি গল্প 💕 --" শুধুই তুমি " | | আমার বাংলা ব্লগ [ 10 % @shy-fox ] | ২৯| ০১| ২৩ ইং | |
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? ?
হ্যালো,
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।" আমার বাংলা ব্লগ " এর আমি একজন অ্যাক্টিভ ও নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে। ভালো লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা।
Canva দিয়ে বানানো
শুধুই তুমি
আজ কাব্য তার বাবাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবে। কারন কাব্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির একজন ইংলিশ লেকচারার হয়ে জয়েন করবে এই খুশিতে বাবাকে নিয়ে খেতে এসেছে।কাব্যর মা কাব্য কে অনেক ছোট রেখেই মারা গেছেন। এই বাবাই তাকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন।নিজের সুখের কথা ভাবেননি। সারাদিন জব করে এসে রাতে রান্না করা ছেলের পড়াশুনা দেখা সবটাই নিজে করতেন।সেই বাবাকে নিয়ে আজ কাব্যর এই আনন্দঘন মুহূর্ত কে ভাগ করে নেয়া।এই বাবাই তার সব।আর বাবার কাছে তার এই ছেলে কাব্যই সবকিছু।
কাব্য খাবার অর্ডার করল তার বাবার পছন্দের আইটেম গুলো। আজ বাবার পছন্দের আইটেম গুলোই খাবে কাব্য ঠিক করেছিল,আর তাই সে করেছে।খাবার চলে এলো তারা দুজন খাবার খেতে শুরু করল। এর মধ্যে কাব্যর বাবা তাকে বলল, " জব তো হলো,এবার তোমার মায়ের মত একজন মায়াবতী মেয়েকে তোমার বউ করে ঘরে আনতে চাই বাবা।" কাব্য বলল ," বাবা আমার মায়ের মত এমন মায়াবতী মেয়ে তুমি পাবে না,তাই আমার বিয়েও হবে না।" এ কথা শুনে কাব্যর বাবা কামরুল হাসান বলল ছেলেকে, " কি যে বলো তুমি, অনেক মেয়েই আছে তুমি রাজি হলে হবে।আমাদের সময় ঘটক দিয়ে ছেলে-মেয়ের খোঁজ হতো,এখন তো ঘটক নেই,এখন নিজেরাই পছন্দ করে,তুমি ও তো পছন্দ করে আনতে পারো।" কাব্য এবার চুপ হয়ে গেলো,বলল বাবা এখন খেয়ে নাও তো। সারাদিন ই কি আমায় বিয়ে দেবে তুমি ?
দুজনেরই খাবার শেষের দিকে এরই মাঝে চেঁচামেচি শুনে দুজনের চোখ রেস্টুরেন্টের গেটের দিকে চলে গেলো।তারা দেখছে একটি মেয়ে এক বৃদ্ধ মহিলাকে নিয়ে আসাতে গেট ম্যান তাকে ঢুকতে দিচ্ছে না। মেয়েটি তখন তাকে বলছে ,উনি আমার সাথে এসেছেন কেন আটকাবেন আপনি ? তখন তাদের ভেতরে যেতে দেয়া হল। মেয়েটি তাকে নিয়ে একটি খালি টেবিল দেখে বসে গেলো। বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করছিল কি খাবেন বলেন। এরই মাঝে কাব্যর বাবা দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল আমি মেয়েটির সাথে একটু কথা বলে আসি। কাব্য তার বাবাকে কোনভাবেই আটকে রাখতে পারলো না।
কাব্যর বাবা মেয়েটির টেবিলে গিয়ে বলল,বসতে পারি,মেয়েটি বলল ,হে হে বসুন।কাব্যর বাবা এবার বলতে শুরু করলো বলল ,"মা তোমাকে ধন্যবাদ দিতে এলাম তুমি একজন ভিক্ষুক কে খাওয়াতে নিয়ে এলে দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক বড় মনের মানুষ তুমি।তোমার পরিবারের সবাই ও খুব বড় মনের ।" তখন মেয়েটি বলল," আংকেল আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছিল,আর ওনার ও ক্ষুধা পেয়েছে তাই বললাম চলেন একসাথে খেয়ে নেই। তখন কাব্যর বাবা তার ছেলের লেকচারার হিসেবে জব হয়েছে এখন বিয়ে দেবে এইসব মেয়েটিকে বলছিল। শুধু তাই নয় তিনি মেয়েটির বাসার ঠিকানা ও চাইছিল।মেয়েটি তখন বলে উঠল, "আমার অনেক স্বপ্ন আছে আংকেল তা পূরণ না করে আসলে বিয়ে করব না আমি।" বাবার এ ধরনের কথা শুনে দূর থেকে কাব্য অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছিল।তাই সহ্য করতে না পেরে উঠে এসে মেয়েটির কাছে দুঃখিত হয়ে বলল," বয়স হলে সবাই খুব বাচ্চা হয়ে যায়,আর বাচ্চাদের মত আচরন করে,আপনি কিছু মনে করবেন না আমার বাবার কথায়। এই বলে বাবাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেড়িয়ে গেলো কাব্য।
গাড়িতে বসে কাব্য তার বাবাকে বলছিল,"বাবা তুমি এমন ছেলে মানুষী কেন করলে ?তুমি জানো ঘটনাটা কত দিকে যেতে পারতো। অজানা অচেনা একটি মেয়ে তাকে তুমি কি বলতে গেলে ? "তখন কাব্যর বাবা বলল," দেখো তোমার মা ও কিন্তু অচেনাই ছিল।বিয়ের পর চেনাজানা হয়েছে না। তখন কাব্য বলল, " বাবা মেয়েটি আমাদের দুজনকে অপমান করতে পারতো।লোকজন জরো করে ছোট করতে পারতো। পুলিশে দিতে পারতো। শুধু মেয়েটি ভালো বলে আমরা বেঁচে গেলাম। তখন কাব্যর বাবা কাব্যকে বলল, " এইতো ঠিক ধরেছ,মেয়েটি ভালো।আর ভালো বলেই তো বিয়ের কথা বলেছি।মেয়েটিকে কি তোমার পছন্দ হয়েছে ? "কাব্য তখন বলল, " বাবা পথে - ঘাটে,রেস্টুরেন্টে অনেক মেয়েই দেখি পছন্দ হয় তাতে কি হয়েছে ? বিয়ের ভুতটা তুমি এবার মাথা থেকে নামাও তো।"
পরের দিন সকালে কাব্যর ভার্সিটিতে জয়েন করার প্রথম দিন। তার বাবা তার জন্য ৩/৪ টি আয়রন করা শার্ট নিয়ে উপস্থিত হয়ে বলল ,"কাল কোনটা পরে যাবে ? " কাব্য বলল ,"বাবা রেখে যাও আমি দেখি কোনটা পরি।"কাব্যর মাথা থেকে কোন ভাবেই মেয়েটিকে সরাতে পারছিল না। প্রথম দেখায় ভালো লাগা হয়, কাব্যর ঠিক তাই হয়েছে। পরেরদিন রেডি হয়ে কাব্য ভার্সিটিতে গেলো। ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের হেড স্যার কাব্যকে ক্লাসে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে চলে এলো। কাব্য স্টুডেন্টদের উদ্দ্যেশে বলল, আজ প্রথম দিন,আজ কোন পড়া নয় ।আজ সবার সাথে পরিচিত হব। ডান পাশ থেকে তোমরা তোমাদের পরিচয় দাও। এরই মধ্যে হঠাৎ করে একটি মেয়ে গেট থেকে বলে উঠল, "স্যার আসতে পারি ? " কাব্য গেটের দিকে তাকিয়ে পুরাই ধাক্কা খেলো এইতো দেখছি সেই রেস্টুরেন্টের মেয়েটি। কাব্য মেয়েটিকে আসতে বলল।
ভেবেছিলাম শেষ করতে পারব,কিন্তু বড় হয়ে যাবে তাই পরবর্তী পর্বের দিকে চোখ রাখুন। আশাকরি আমার ভালোবাসার মিষ্টি গল্প " শুধুই তুমি " আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে আমি পরবর্তী পর্বটি লেখার উৎসাহ পাব।আজ এ পর্যন্তই আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
🎀 আমার লেখা এই ভালোবাসার মিষ্টি গল্পটি "শুধুই তুমি"পড়ার জন্য সবাইকে অনেক শুভেচ্ছাও অভিনন্দন।🎀
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
দারুণ লিখেছেন আপু।আসলে এইরকম গল্পগুলো পড়লে মনে হয় যেন বাস্তবে হারিয়ে যাই।আমি গল্পটি পড়ছি আর ভাবছি কিভাবে এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে গল্প লিখেন আপনারা।তবে বেশ ভালোই লাগছিল,কিন্তু পুরোটা পড়তে পারলাম না।কাব্য আর এই মেয়েটির ২য় বার দেখা হয়েই গেল তাহলে।আশা করি তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব পাবলিশ করবেন।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর ও চমৎকার ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। অনেকদিন ধরে এত সুন্দর গল্প কখনো পড়া হয়নি। যে কোন গল্পকে খুব গুছিয়ে সুন্দরভাবে লেখা এবং কারো সামনে উপস্থাপন করাটা কিন্তু অনেক কঠিন ব্যাপার। যে বিষয়টা আপনি খুব সহজেই ফুটে তুলেছেন। আপনি প্রথম পর্বটি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটা পড়েই আমার বেশ ভালো লেগেছে দ্বিতীয় পর্বটি ঠিক এর থেকেও বেশি চমৎকার হবে। সে আশা ব্যক্ত করেই পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন রোমান্টিক গল্প লেখেন তো আপু। আপনার ক্লামেক্স রেখে দিলেন আজকের পর্বে। আসলে কি কাব্য আর মেয়েটির সাথে প্রেম হয়ে যাবে? ভাবছি কি হবে আগামী পর্বে? গল্পটির প্রতিটি স্কীপ্ট আপনি খুব সাজিয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবে লেখেছেন। আগামী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।