আসসালামু আলাইকুম

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে

হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা,খুব বেশী ব্যস্ত সময় পার করছি।তারপরেও আমার ভালোবাসার জায়গা এই আমার বাংলা ব্লগ এ আমি প্রতিদিনের এক্টিভিটিজ বজায় রেখে চলেছি।আশাকরি আমার শেয়ার করা ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।

চিংড়ি মাছের মুচমুচে ফ্রাইঃ

বন্ধুরা,আজ আমি আপনাদের মাঝে মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকের রেসিপি চিংড়ি মাছের মুচমুচে ফ্রাই রেসিপি।চিংড়ি মাছ পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো একজন ও পাওয়া যাবে না।তবে অনেকে পছন্দ করলে ও শরীরের কথা ভেবে চিংড়ি মাছ হয়তো খেতে চান না।নয়তো কম খেয়ে থাকেন।আজকের রেসিপিটি আমি করেছিলাম আমার স্পেশাল একজন মানুষের জন্য। সে আর কেউ নয় আমার আব্বুর জন্য। আব্বুর খুব পছন্দের একটি মাছ এই চিংড়ি মাছ।তবে এই চিংড়ি মাছ দোপেয়াজা কিংবা মালাইকারী করেই খাওয়া হয় বেশী।এমন মুচমুচে ভাজা করা হয় ই না বলতে গেলে।সেদিন আব্বু আর আম্মু এসেছিল আমার বাসায়।তাই ভাবলাম আব্বুর জন্য মজার এই রেসিপিটি করি।আব্বুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ফ্রাই করবো কিনা।আব্বু বললো করতে।কিন্তু আম্মু বলেছিল চিংড়ি মাছ খেতে পারবে তবে মাথা বাদ দিয়ে খেতে হবে।আব্বুর প্রেশার বেশী তাই চিংড়ি মাছ এখন খায়ই না বলতে গেলে।সত্যি কথা বলতে গেলে প্রিয় মানুষদেরকে তাদের পছন্দের খাবার খাওয়াতে পারলে মনটা ভীষণ ভালো লাগে।আপনারা কিন্তু ভেবে বসবেন না আম্মু আমার প্রিয় নয়।আম্মু ও কিন্তু সমানভাবেই প্রিয় আমার।আম্মুর জন্য ও সেদিন আম্মুর পছন্দের অন্য একটি মাছ দিয়ে রেসিপি করেছিলাম।তা অন্য একদিন শেয়ার করবো আশাকরি।চলুন,রেসিপি শেয়ার করার আগে এই রেসিপিটি করতে আমার যেসব উপকরণ লেগেছিল তা এক এক করে তুলে ধরিঃ

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ

১। চিংড়ি মাছ - ৫পিস
২। পেঁয়াজ পেস্ট -- ২/৩ টি
৩।রসুন পেস্ট -- ১ চামচ
৪।চালের গুড়া -১ চামচ
৫।মরিচের গুঁড়া -২ চামচ
৬।তেল -- পরিমান মতো
৭।লবন-- স্বাদ মতো
৮।ময়দা -২ চামচ
৯।ডিম - ১ টি
১০। গোল মরিচের গুঁড়া -- ২ চামচ

রান্নার ধাপ সমুহঃ

ধাপ -- ১

আমি প্রথমে চিংড়ি মাছগুলো ধুয়ে কেটে নিয়েছি।আর মাছগুলোর মাঝ বরাবর চিড়ে নিয়েছি।যাতে মসলা ভেতরে যেতে পারে।

ধাপ -- ২

এরপর আমি ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছের উপর পরিমান মতো লবন,গোল মরিচের গুঁড়া ও লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে বেশ কিছু সময় মাখিরে রেখে দিয়েছিলাম।

ধাপ -- ৩

এবার একটি মুরগির ডিম ভেঙ্গে নিলাম।এরপর ডিমটি ভালো মতো ফেটিয়ে নিলাম।

ধাপ -- ৪

এরপর সেই ডিমের মধ্যে লবন, চালের গুড়া, ময়দা, গোল মরিচ ও লাল মরিচের গুঁড়া পরিমান মতো দিয়ে দিলাম।

ধাপ -- ৫

এবার রসুন ও পেঁয়াজের পেস্ট দিয়ে ভালো মতো ফেটিয়ে নিয়েছি।

ধাপ -- ৬

এরপর ফ্রাই প্যানে তেল দিলাম।তেল গরম হয়ে এলে একটি একটি করে মাছ তুলে গুলিয়ে রাখা ওই ডো এর মধ্যে চুবিয়ে তেলের উপর ছেড়ে দিলাম।আর হালকা আঁচে মাছ গুলো মুচমুচে করে ভেজে নিলাম।এভাবে করেই মজার এই রেসিপিটি রান্না শেষ করেছিলাম।

পরিবেশন

পোস্ট বিবরন

শ্রেনি	রেসিপি
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস	Samsung A20
ফটোগ্রাফার	@shimulakter
স্থান	ঢাকা,বাংলাদেশ

আজ আর নয়।বলে রাখা ভালো চিংড়ি মাছের মুচনুচে ফ্রাইটি এতোটাই স্বাদের হয়েছিল যে আম্মু পাশে না থাকলে হয়তো আব্বু মাছটা পুরোই খেয়ে নিতো,হিহিহি।আশাকরি আমার রেসিপি আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।