খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা রেসিপি🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো খেজুরে গুড়ের রসগোল্লা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মিষ্টি খেতে ভালোবাসে না এরকম মানুষ পাওয়া মুসকিল। অতিথি অপ্যায়নে কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে, আত্নীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গেলে মিষ্টি লাগবেই।আজ আমি মজার রসগোল্লা বানিয়েছি খেজুরের গুড় দিয়ে। ভীষণ সুন্দর ও সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি খেতে।
মিষ্টির প্রধান উপকরণ হচ্ছে ছানা। ছানা তৈরি করতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।ছানা যদি শক্ত হয়ে যায় তাহলে মিষ্টি ফোলে না তাই ছানা তৈরির সময় দুধ একবার বলক দিয়ে নিয়েই ছানা কাটানোর উপকরণ দেয়া দরকার। তাহলে ছানা গুলো নরম ও মোলাইম হয়ে থাকে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
দুধ | দের লিটার |
---|---|
খেজুরের গুড় | পরিমাণ মতো |
লেবু | একটি |
ঘি | সামান্য পরিমাণ |
জল | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি পাত্রে দের লিটার দুধ ঢেলে নিয়েছি ও তা চুলায় বসিয়েছি।চুলায় বসানোর পর একটি বলক দিয়ে নিয়েছি।ছানা কাটানোর দুধ বেশি জ্বাল করা লাগে না।
দ্বিতীয় ধাপ
একটি লেবু কেটে নিয়েছি ও কাপে চিপে নিয়ে জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি। আপনারা চাইলে ভিনেগার দিয়েও ছানা বানাতে পারবেন। আমার কাছে ভিনেগার ছিলো না জন্য লেবু ব্যাবহার করেছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন বলকানো দুধে একটু একটু করে লেবু জল দিয়ে দিয়ে নারাচারা করে নিয়েছি। একটু পরেই ছানা কেটে গেছে খুব সুন্দর ভাবে।
চতুর্থ ধাপ
ছানা কেটে নেয়ার পর একটি গামলায় সাদা মার্কিন কাপড় বিছিয়ে নিয়েছি ও তাতে ছানা গুলো ডেলে নিয়েছি।এরপর ছানার জল ঝাড়ানোর জন্য রেখে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
ছানার জল ঝড়ে গেছে তাই একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি ও তাতে খুব অল্প পরিমানে ময়দা দিয়ে খুব ভালো করে হাতের গোড়ালির সাহায্যে মথে নিয়েছি।এতোটাই মিহি করে মথে নিতে হবে যাতে করে ছানায় কোন প্রকার শক্ত দানা না থাকে।এখন একটি ছানার ডো তৈরি করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
পুরাপুরি ভাবে ছানা মেখে নেয়া হয়ে গেছে তাই মিষ্টির জন্য লেচি কেটে নিয়েছি ও হাতে ঘি মেখে নিয়ে গোল গোল করে মিষ্টি বানিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন একটি হাড়িতে শিরা তৈরি করার জন্য পরিমাণ মতো জল নিয়েছি ও তাতে খেজুরের গুড় দিয়ে হাতার সাহায্যে মিশিয়ে নিয়েছি। মেশানো হয়ে গেলে ভালো করে জ্বাল করে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
মিষ্টির জন্য শিরা তৈরি হয়ে গেছে তাই মিষ্টি গুলো একে একে শিরার মাঝে দিয়েছি ও জ্বাল করে নিয়েছি মিষ্টি গুলো সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত।
নবম ধাপ
মিষ্টি গুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং ফুলে বড়ো হয়ে গেছে অনেকটা তাই একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য। দারুণ নরম তুলতুলে স্পঞ্জি মিষ্টি হয়েছে।খেতেও অসাধারণ।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার লোভনীয় খেজুরের গুড়ের মিষ্টি রেসিপি।ভীষণ সুস্বাদু ও নরম তুলতুলে রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাবেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোনো পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমি মিষ্টি খেতে অনেক ভালোবাসি। মিষ্টি তৈরি করতে ছানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ছানা যদি ভালো ভাবে তৈরি করা না হয় তাহলে মিষ্টি তৈরি করা কঠিন। তবে আপনি খুবই চমৎকার ভাবে ছানা তৈরি করেছেন। খেজুরের গুড়ের শিরা দিয়ে তৈরি তাই খেতেও বেশ সুসুদ্ধ হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
খেজুরের গুরের রসোগল্লা নামটা প্রথম শুনলাম।আমাদের আশে পাশে এটা দেখিনি খেজির এর গুরের অনেক কিছু খেয়েছি তবে এই রেসিপিটা একদমই নতুন লাগলো আমার কাছে।মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর হয়েছিলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা খেতে অসাধারণ সুন্দর ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি এমনিতে রসগোল্লা তৈরি করেছি, কিন্তু কখনো খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা তৈরি করা হয়নি এমনকি খাওয়া হয়নি। আপনি আজকে খেজুরের গুড়ের খুবই মজাদার রসগোল্লা তৈরি করেছেন। দেখেই তো আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার তৈরি করা এই রসগোল্লার রেসিপি কিন্তু অনেক বেশি ইউনিক ছিল। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে একেবারে অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে ভালো লাগে না। আপনার তৈরি করা খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা মনে হচ্ছে মজা করে খেয়েছেন।
ঠিক বলেছেন আপু মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে ভালো লাগে তবে অতিরিক্ত নয়।হ্যাঁ অনেক মজা করে খেয়েছি।
খেঁজুরের গুড়ের রসগোল্লা দেখেই তো লোভ লেগে গেল আপু। চমৎকার ভাবে রসগোল্লা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও কখনো খেঁজুরের গুড়ের রসগোল্লা খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্টি হয়েছে খেতে। অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লোভ লাগার মতোই রেসিপি আপু।অনেক সুস্বাদু এই রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আমি তো মিষ্টি জাতীয় সবকিছুই একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করি। এখন সবকিছু কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় এই খাবারগুলো। তবে রসগোল্লা আমার অনেক বেশি ফেভারিট। রসগোল্লা খাওয়া হলে অনেক বেশি ভালো লাগে। খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা আজ আমি প্রথমবার দেখলাম। যার কারণে এটা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। রসগোল্লা গুলোকে দেখে তো মনে হচ্ছে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আর বলছে আমাকে আপনি খাবেন না??😁 মজাদার রসগোল্লা গুলো তৈরি করে আমার জন্য পাঠিয়ে দেননি কেন। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার তৈরি করার রসগোল্লা।
হাহাহাহা সত্যি আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।খেজুর গুড়ের রসগোল্লা একবার খেলে বার বার খেতে মন চাইবে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
খুবই দুর্দান্ত একটি মিষ্টির রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এমন কেউ নেই যে মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
দিদিভাই, এটা কেমন কথা হলো, এত সুন্দর করে খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা রেসিপি তৈরি করলেন, অথচ দাওয়াত দিলেন না। আমার তো মনে হচ্ছে, এক দৌড়ে আপনার বাড়িতে গিয়ে খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা খেয়ে আসি। কি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন দিদি, দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। যাইহোক দিদি, খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা না হয় নাই দিলেন, রেসিপি তো শেয়ার করেছেন, তাই এই রেসিপি দেখে একদিন অবশ্যই তৈরি করে খাব। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাওয়াত দিতে হবে না দৌড় দিয়ে চলে আসেন।রেসিপি দিয়েছি তা ফলো করে চাইলে বানিয়ে খেতে পারবেন।
সম্পূর্ণ একটি ইউনিক রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই চমৎকার রেসিপি তৈরি করা দেখে সত্যি আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। কখনো খেজুরের গুড় দিয়ে এভাবে রসগোল্লা কাউকে তৈরি করতে দেখি নাই। তাই বেশি ভালো লাগলো আমার।
এই তো দেখলেন আমাকে তৈরি করা। এবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে।
বেশ ইউনিক লাগলো আপনার রেসিপিটা। এরকম রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে খেতে। নতুন একটা রেসিপি শিখতে পারলাম আপু আপনার কাছ থেকে। দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপু।
খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা জীবনে প্রথমবারের মতো দেখলাম। এই রকম চিন্তা-ভাবনা কখনো মাথায়ও আসেনি যেটি আপনি আজকে রেসিপি সহকারে দেখিয়েছেন। সত্যি বলতে রসগোল্লা আমার খুব প্রিয়। আর আপনার রসগোল্লা গুলো দেখেই লোভ হচ্ছে। কি আর করার খেতে তো পারবো না তাই রিস্টিম করে রেখে দিলাম যেকোনো সময় রেসিপি ঘরে বানাতে বলবো।
আমার খেজুর গুড়ের মিষ্টি রেসিপি টি রিস্টিম করে রেখেছেন জেনে রেসিপি টি করা সার্থক মনে হচ্ছে। বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া ভীষণ ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
জি আপু অবশ্যই বানিয়ে খেয়ে দেখবো।আর তাইতো রিস্টিম করে রাখলাম।, 🌿