আমার বাসার নতুন অতিথি।
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রথমে জানাই আসসালামু আলাইকুম/আদাব।আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
বন্ধুরা আমার বাসায় একজন নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। যা সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
আমি যার কথা বলতে যাচ্ছি সে আমার বাসায় নতুন অতিথি। হঠাৎ করে তার আগমন ঘটে আমার কাছে। আমি তাকে প্রথমে দেখতে পাই আমার বাড়ির উঠানে।
আমাদের বাসায় তার নতুন আবির্ভাব আমি তার নাম দিয়েছি পুসি। সে পোষা বিড়ালের মত আমার পিছে পিছে ঘুরে। আর মিউ মিউ করে ডাকে। আবার ওকে দেখে আমার অনেক মায়া হয়েছিল।
#আমি ওকে আমার কাছে রেখে দিলাম।সে সারাদিন আমার পিছে পিছে ঘুরে আমার গায়ে গা ঘেসে থাকে। আমার খুব ভালো লাগে ওর নরম গায়ে হাত বোলাতে।
আমি যখন কাজ করি ও আমার পিছে পিছে থাকে। আমি যখন রান্না করতে যাই ও তখন টুপ করে রান্নাঘরে তাকের উপর বসে চুপ করে থাকি।
মাঝে মাঝে আমার পায়ে এসে আলতো করে স্পর্শ করে। আমারও পুশির নরম গায়ের স্পর্শ ভালোই লাগতো।
পুসি আমাদের সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াত। আর যদি
অন্য কোন বিড়াল দেখতো সে তাকে কোনভাবেই বাড়িতে ঢুকতে দিত না
পুসিকে হঠাৎ খুঁজে পাচ্ছি না।পুসি পুসি করে ডাকছি যেন শুনতে পাচ্ছে না।পড়ে দেখি ও আমাদের গাড়ির উপরে বসে আছে।
তারপর যখন সে আমাকে দেখলো আর গাড়িতে বসে থাকতে পারলো না। লাভ দিয়ে আমার কাছে চলে আসলো। আমিও ওকে খাবার দিলাম ও সুন্দর করে খেলো। ও হ্যাঁ আর একটা কথা বলি আমার পুসি গরুর মাংস খায় না।
মুরগির হাড় হাড্ডি মাছ সবজি এসব খেতো। ওকে খাবার সুন্দর করে মেখে দিতে হতো। ওর খাবারের জন্য আমি সুন্দর একটা খাবারের পাত্র দিয়েছিলাম।
ও আমাদের সাথেই বিছানায় ঘুমাতো। পায়ের কাছে ওর একটা বিছানা করা ছিল। বিছানায় সে কখনো ও পায়খানা প্রস্রাব করতো না। বাইরে গিয়ে করে আসতো।
ওর জন্য আমি পাউরুটি ও কেক কিনে আনতাম। পুসির খুব পাউরুটি ও কেক পছন্দ ছিল।
ও সকালে উঠে এসব খেত।
আমাদের বাসায় আমার এক ফুফাতো ভাই বেড়াতে এসেছিল। পুসি এক অবাক করা কান্ড ঘটালো। সে বারবার ভাইয়ের কাছে যেতে লাগলো তার কারণ হলো ভাইয়াও বিড়াল খুব পছন্দ করত।
পুসি ভাইয়ার কোলে টুক করে উঠে বসলো। ভাইয়া ওকে আদর করতে লাগলো। ভাইয়া ওকে এমন ভাবে আদর করল ও ভাইয়ার কোল যেন ছাড়তে চাইছিল না। ভাইয়ার কোলে একবারে মিশে গিয়েছিল।
পুসি ভাইয়ার সাটের ভেতরে লুকিয়ে পড়ল। আমি ওকে দেখি আর অবাক হচ্ছি। পুসি যেন ভাইয়াকে ছাড়তে চাইছিল না।
ভাইয়া আর পুশির ভালোই বন্ধুত্ব হয়েছিল। পুসিকে ছেড়ে যেতে ভাইয়ার খুব কষ্ট হয়েছিল।
একদিন সকাল থেকে পুসিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে সারাদিন বাসায় ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু তাকে পেলাম না। আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল।
দিনশেষে রাত হয়ে গেল পুসি কে আর পেলাম না সারা দিনে। আমি খুব মন খারাপ করে বসে রইলাম। রাতের বেলা হঠাৎ দেখি আমাদের বাড়ির কুকুরটা খুব আওয়াজ করতেছে। তখন আমি বের হয়ে দেখলাম আমাদের বড়ই গাছে পুসি উঠে আছে।
তারপর সে আমাকে দেখে গাছ থেকে নামা শুরু করলো।
তারপর সে আমার কাছে চলে আসলো। আমি ওকে নিয়ে ঘরে আসলাম। পরের দিন শুনতে পেলাম আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ির একজন ওকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ওকে ছেড়ে দেয়াতে আবার আমার কাছে চলে আসে।
পরের দিন সকাল বেলা আমি রোদে বসে ছিলাম। পুশি আমার সামনে এসে বসলো। আমি পুশির দিকে তাকালাম ওকে দেখতে লাগলাম ওর চোখ দুটো এত সুন্দর লাগছিল। আমি যেন ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আর এভাবেই বিড়ালটি আমার কাছে পুসি হয়ে থাকলো। আর আমার সারাদিন ওকে নিয়েই কাটে। আমি ওর সাথে খেলাধুলা করি অনেক ভালো লাগে।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি।আবারোও অন্য কোনদিন অন্য কিছু ভালোলাগার বিষয় নিয়ে আপনাদের কাছে শেয়ার করব। আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহাফেজ।
Curated by - @ripon0630