পরিবারের সকলকে নিয়ে একান্তে ভিন্ন জগতে কিছুক্ষণ।
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রথমে জানাই সবাইকে আসসালামু আলাইকুম/আদাব।আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি
পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে একান্তে ভিন্ন জগতে
কিছু মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি । ভিন্ন জগত রংপুর শহরের কিছুটা দূরে।
আমার ঘুরে বেড়াতে ভালই লাগে। আমি মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাই।কখনোও বা আমরা দুজনে একান্তে।
আবার কখনোও বা পরিবারের সকলকে নিয়ে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়েই সবাই মিলে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিলাম। বড় আপু আমি ও আমার দুই ভাগ্নি আমার হাজব্যান্ড সবাই তৈরি হয়ে নিলাম।
তারপর আমাদের গাড়ির ড্রাইভারকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম।তার খাওয়া দাওয়া সেরে তাকে তৈরি হতে বললাম। এদিকে আমরাও তৈরি হলাম।
আমরা রওনা দিলাম ভিন্ন জগতের উদ্দেশ্যে। গাড়িতে উঠে সবাই মিলে একটা সেলফি তুললাম।
অনেক মজা করতে করতে আমরা চলতে লাগলাম। আমার দুই ভাগ্নির কন্ঠে গানও ছড়া শুনতে লাগলাম। তাদের আনন্দ দেখে অনেক ভালো লাগছিল।
রাস্তার দুপাশের গাছপালা ও মিঠি মিঠি রোদ অনেক ভালো লাগছিল দেখতে। আমরা সারা রাস্তায় অনেক মজা করতে করতে গেলাম।
আমরা যখন ভিন্ন জগতে পৌঁছে গেলাম তখন বেলা প্রায় দুপুর হয়ে গেল। আমরা ভিন্ন জগতের ভেতরে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিলাম। তারপর আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম।
ভিন্ন জগতের ভেতরে অনেক ধরনের ফুলের বাগান রয়েছে। ফুলের বাগান গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা বিভিন্ন ফুলের কাছে গিয়ে। ছবি তুলতে লাগলাম। ফুলগুলো অনেক প্রাণবন্ত ছিল যা দেখে আমার মনে অনেক ভালোলাগা কাজ করলো।
ওখানে গাঁদা ফুলের বাগানটাও আমার খুব ভালো লেগেছিল।
ভিন্ন জগতের ভেতরে খাওয়া-দাওয়ার জন্য অনেক রেস্তোরা রয়েছে আমরা সেখানেই দুপুরের খাওয়া দাওয়া ফিরে নিলাম।
তারপর আমরা আবারো ও ঘোরাঘুড়ি শুরু করলাম। ওখানে অনেক ধরনের মূর্তি রয়েছে কোথাও ডলফিনের মূর্তি কোথাও পশু পাখির মূর্তি মানুষের মূর্তি রয়েছে। ওদের দেখে মনে হচ্ছিল জীবন্ত।
ভিন্ন জগতের ভেতরে আমাদের প্রাচীনতম কিছু ঐতিহ্যর নিদর্শন রয়েছে যেগুলো এখন আর আমাদের চোখে পড়ে না খুব একটা।
যেগুলো ঐতিহ্য আমাদের মাঝে হারিয়ে গেছে। আমাদের চোখে তেমনটা আর পড়ে না এসব দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল।
এরপর ভিন্ন জগতের ভেতরে আরেকপাশে প্রাচীনতম অনেকগুলো নিদর্শন রয়েছে। সেখানে একটি তাজমহল রয়েছে।
এখানে একটি চীনের পিরামিডের নিদর্শন রয়েছে যা দেখতে ভালোই লেগেছে।
এখানে একটি আইফেলটা আরো ছিল যা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা সেখানকার ও কিছু ছবি তুললাম। মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের মধ্যে।
তারপর রয়েছে রাশিয়ার মস্কোর ঘন্টা যা দেখে মনে হচ্ছিল ঠিক যেন রাশিয়াতে রয়েছি।
তারপর রয়েছে অনেক ধরনের জীবজন্তুু রয়েছে বানর অনেক ধরনের পাখি। পাখিদের কলকলো ধনী
আমার খুব ভালো লেগেছে। টার্কিও দেখতে অনেক ভালো লাগছিল।
আমরা আরো অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করলাম অনেক কিছু দেখলাম। ওখানে বাচ্চাদের ও জন্য অনেক ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। খেলার জন্য অনেক কিছু রয়েছে।
ওখানে একটি দোলনাও রয়েছে।আমরা সবাই সেই দোলনাতে একটুখানি দোল খেতে উঠেছিলাম। অনেক
ভালো লাগছিল।
বাচ্চারাও সেই দোলনাতে উঠেছিল ওরা একটু একটু ভয় পাচ্ছিল আবার মজাও পাচ্ছিল দেখতে ভালই লাগছিল।
আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল তাজমহলের সামনের দিকে ফুলের বাগান গুলো।
ফুলগুলো যেন মন ছুঁয়ে যায় হাত দিয়ে না নেড়ে থাকাই যাচ্ছিল না।
সবাই আমরা একে একে ফুলের কাছে গিয়ে ছবি তুললাম ফুলের বাগান গুলো সবাইরেই মন ছুয়ে গেছিল।
আমার ভাগ্নিরা খুবই মজা করলো তারা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ালো অনেক কিছুর সাথে ছবি তুললো যা দেখতে ভালই লাগলো।
আমাদের ঘোরাঘুরি করতে করতে কখন যেন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তার টেরই পাইনি। আমরা তখন কিছু খেয়ে নিলাম।
সন্ধ্যার দিকে ভিন্ন জগতের ভেতরটা অনেক সুন্দর লাগছিল। চারিদিকে অনেক লাইট দেয়া হল লাইটগুলোর আলোতে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছিল।
সন্ধ্যার ভিন্ন জগৎ লাইটের আলোয় দেখতে অসাধারণ।
আমাদের প্রায় ঘোরাঘুরি শেষ আমরা বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য ভিন্ন জগতের ভেতর থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
আস্তে আস্তে আমরা বের হওয়ার জন্য হাঁটতে লাগলাম।ভিন্ন জগৎ থেকে বের হতে হতে আমরা সবাই মিলে একটা ছবি তুললাম। তারপর বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
আল্লাহ হাফেজ।
আসলে বাসায় বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যখন বাহিরে একটু ঘুরতে বের হওয়ায়। এবং সেখানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করে। সে আনন্দ করার মজাটাই অন্যরকম।
আপনার পোস্ট পড়ে এবং আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন আপনারা সবাই সবার জন্য শুভকামনা রইল।