পুঁথির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র
সোমবার
তারিখ - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে পুঁথির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
পুঁথির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র আমাদের ঘর বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর এই জন্য অনেক মানুষ তাদের নিজ বাসায় এই ধরনের পুঁথির জিনিসপত্র তৈরি করে থাকে। অবশ্য এই পুঁথির তৈরি সব কিছু আমাদের সৌন্দর্য বহন করে। বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস সব জায়গায় এখন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পুঁথির তৈরি এই সকল জিনিসপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এই পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। কেননা আমরা আমাদের আশে পাশে সব কিছুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী৷ সেই কারণে আমরা চাই যে আমাদের আশে পাশে যে সকল জিনিসপত্র আছে সব কিছু পরিবর্তন করতে। যাতে সেই গুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
এই সকল পুঁথি আমাদের দেশের লোকাল বাজারেও পাওয়া যায়। অনেক মানুষ আছে তারা অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এগুলো তৈরি করা শিখেছে। অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করেও এই ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা শিখেছে। বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজে নিজেকে জড়িত করছে। এটাও তৈরি করা একটা সৃজনশীল কাজ।
এই সকল জিনিসপত্র তৈরি করার পরে আমরা আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহার করি। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। কেননা অনেক গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁথি আমরা একত্রে করে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। আর সম্পূর্ণ তৈরি করার ফলে আপনার দেখতেই পাচ্ছেন বাসার সৌন্দর্য কেমন ফুটে উঠেছে। আর এই পুঁথির সাহায্যে আমরা বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারি। আর এই ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো পুঁথির সাহায্যে ডালিম তৈরি করা হয়েছে।
এবার আমরা পুঁথির সাহায্য নিয়ে অন্য একটি ফল তৈরি করেছি। আর এই ফলের আকৃতি দেওয়া হয়েছে কমলার মতো। কেননা কমলা দেখতে হলুদ। সেই জন্য আমরাও এই হলুদ পুঁথি ব্যবহার করেছি। আর এই সকল পুঁথির কাজ অনেক ঝামেলা এবং কষ্ট দায়ক। কেননা একটু ভুল হলেই বিপদ। কেননা এগুলো তৈরি করতে হলে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করতে হয়। একটি ধাপ যদি ভুল হয় তাহলে সম্পূর্ণ টি আবার পুনরায় খুলতে হবে এবং নতুন করে তৈরি করতে হবে।
সর্বশেষ যে ছবিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে জামরুল। আর এই সব কিছুই তৈরি করা করা হয়েছে পুঁথি দিয়ে। অবশ্য এই সকল জিনিসপত্র বিভিন্ন জায়গায় তে কিনতে পাওয়া যায়। আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনারা ক্রয় করতে পারেন। তবে এটার সঠিক দাম আমার জানা নাই।
আর এই সকল পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র আমার এক বড় বোন তৈরি করেছে। আমি তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে এই সকল জিনিসপত্রের ছবি তুলেছিলাম।
ডিভাইস | Xiaomi Mi A2. |
---|---|
লোকেশন | চট্টগ্রাম , বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @shamimhossain |
আমাদের এখানে অনেকেই এগুলো দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করে এবং বাজারে বিক্রি করে। এগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন নকশা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে বেশ ভালো টাকা পাওয়া যায়। পুঁথি দিয়ে চমৎকার কিছু কিছু জিনিস তৈরি করা যায়। সব থেকে বেশি ভালো তৈরি করা যায় বিভিন্ন রকমের ফুল। ফুল তৈরি করার জন্য পুঁথির জুড়ি নাই। পুঁথি দিয়ে অনেক ধরনের নঁকশা করা যায় এবং এগুলোর ব্যবহার করে ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা যায়। এগুলোর দোকান আমাদের বাজারে রয়েছে তবে এই পুঁথিগুলোর দাম তেমন বেশি নয়। এগুলো দিয়ে সহজে বিভিন্ন রকমের নকশা তৈরি করা যায় এবং ফুল তৈরি করা যায়। আপনি সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/mdshamim1252/status/1703630960590491984?t=v4cFDK67OHwbmq2Nho3xWA&s=19
পুথিঁ তৈরি যে কোন জিনিস দেখতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে। তবে পুথিঁ দিয়ে যে এত সুন্দর করে ফুল বানানো যায় সেটা আমি আগে দেখি নি। আজ আপনার পোস্ট পড়ে দেখতে পেলাম। অনেক সৃজনশীল একটি পোস্ট করেছেন আজ। দেখেই তো ভালো লাগছে। আর ঘর সাজাতে এমন জিনিস গুলোর কিন্তু কোন জুড়ি নেই। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপি
পুঁথির তৈরি এই কারুকার্যপূর্ণ জিনিস গুলো সত্যিই অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া এগুলো দিয়ে ঘর সাজালে দেখতেও বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া এই জিনিসগুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না বলে অনেকদিন যাবত ঘরের মধ্যে থাকে তার ফলে ঘরের সৌন্দর্য বেশিদিন থাকে। তাছাড়া কিছু মানুষ এই কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে নিজের সংসার চালায়। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ
পুঁথির তৈরি এই কারুকার্য সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আপনি ঠিক বলেছেন এই পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র গুলো এখন সবসময় দেখা যায় বিশেষ করে বাসা বাড়িতে অথবা অফিস আদালতে এগুলো ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এবং এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর বটে। আমার কাছে তো এগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে আমার বাসায় ও রয়েছে এরকম সুন্দর ফুল। এবং এগুলো বানাতে অনেক সময় লাগে কিন্তু জিনিসগুলো দেখতে এতটাই সুন্দর যে বলে বোঝানোর মত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন পুঁথির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র আমাদের ঘর বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।পুঁথির তৈরি জিনিস বাজারেও পাওয়া যায়।অনেকেই নিজে পুঁথির জিনিস বা ব্যাগ বানিয়ে থাকে।অনেক পরিশ্রম হয় এ কাজে।একটা একটা করে পুঁথি দিয়ে বিভিন্ন আকার দেয়া অনেক পরিশ্রম এবং অনেক সময়ের কাজ।এ কাজ করতে হলে অনেক ধৈর্য্য দরকার হয়।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপি
পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, গ্রামের মেয়েরা পুঁথি দিয়ে অনেক রকমের আসবাবপত্র, শোপিস এবং মালা তৈরি করে। বাজারেও কিনতে বাজার হরেক রকমের পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র। পুঁথি দিয়ে ব্যাগ ও তৈরি হয়, যেগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয়। অনেকেই এই পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করে আজ স্বাবলম্বী । কারণ এগুলো বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা পাওয়া যায়। অনেক মেয়েরা এগুলা বাড়ির কাজের পাশাপাশি তৈরি করে, সংসারের কাজে সহায়তা করছে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বস
পুঁথির তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। পুঁথির তৈরি কারুকাজ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়। আর আপনি ঠিকই বলেছেন এসব পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের ঘর বাড়ির সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে তোলে। আপনি ঠিকই বলেছেন সবাই তো আর পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করতে পারে না। তাই অনেকেই আছে যারা অন্যের কাছ থেকে এরকম পুঁথি দিয়ে ফুলদানি তৈরি করে নেন। এরকম পুঁথির তৈরি জিনিসপত্র গ্রাম এবং শহর সব জায়গাতেই দেখা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
পুঁথি শিল্প সেই প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে রয়েছে। পুঁথি দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র তৈরি করা হয় আমাদের দেশে এবং এগুলো সব থেকে বেশি তৈরি করে মহিলা মানুষ। পুথি দিয়ে বিভিন্ন রকম ফল ব্যাগ অন্যান্য জিনিস তৈরি করা হয়। আমার বাড়িতে বেশ কয়েকটি এরকম পুথির তৈরি জিনিস রয়েছে।এগুলো ঘরের সোভা বৃদ্ধি করতে ঘরে দেওয়া হয়।এতে ঘরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়।পুথির বিভিন্ন রকম জিনিস সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ