আমার নিজের ফটোগ্রাফি এবং আমার লেখা জীবনের গল্প | |২৫ অক্টোবর ২০২৩

গতকাল ডিউটি থেকে রাত ১১ টায় বাসায় ফিরেছি। ততোক্ষণে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সেহরিতে খাওয়ার কিছুই নেই। একজন পরিচিত বাংলাদেশী দোকানদার ভাইকে কল করে অনুরোধ করলাম দোকানে এসে আমাদেরকে হেল্প করতে।
অবশেষে ট্যাংরা মাছ আর টমেটো কিনে বাসায় ফিরলাম। সবকিছু কাটাকুটি করে চুলায় রান্না বসিয়ে গোসল সেরে নিলাম। রান্না শেষ হতে ১০/১৫ মিনিট লাগতে পারে। ক্লান্ত দেহ এটুকু সময় অপেক্ষা করতে চায়না।
রুমের যেয়ে শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর চুলা বন্ধ করে দিবো। মোবাইলের নেশা ততোক্ষণে আমাকে বোধশূন্য করে ফেলেছে। পোড়া গন্ধ সারা ফ্লাটে ছড়িয়ে পড়েছে। দৌড়ে যেয়ে চুলা বন্ধ করলাম। উপর থেকে কিছুটা তরকারি বাঁচিয়ে নিজেকে শান্তনা দিলাম, কিচ্ছু হবেনা খাওয়া যাবে!

অন্য দিনের চেয়ে গত রাতে একটু আগেই ঘুমিয়েছি। আবার সেহরিতে উঠতে হবে।
ঘুম ভাঙলো। ততোক্ষণে চারিদিকে সূর্যের কিরণে আলোকিত পৃথিবী। মনে করার চেষ্টা করলাম সেহরিতে খেয়েছি নাকি খাইনি! দ্বিধায় ভুগতে ভুগতে আবার ঘুম।
ঘুম ভেঙে দেখলাম নিউ মার্কেট পুড়ে শেষ! স্বপ্ন পোড়ে বঙ্গবাজার কিংবা নিউ মার্কেটে,
যেমনটা পোড়ে ট্যাংরা মাছের কড়াইয়ে।
রিজিকের ফায়সালা আসমানে হয়, জমিনে তো ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন, সুম্মা আমিন।