......দিনাজপুর জজকোর্ট ভ্রমণ....
আসলাম আলাইকুম..
আমি @shahin05
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়া ও আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। প্রথমে জানাই Steem For tradition এর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের জন্য আজকে আমি নিয়ে আসলাম দিনাজপুর জজকোর্ট ভ্রমণ। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক : |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় ৯ টা বেজে গেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম। রেডি হয়ে সোজা চলে আসলাম পার্বতীপুর রেলস্টেশনে। সেখানে আসার সাথে সাথে দেখলাম দিনাজপুর যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেন ইতিমধ্যে যাওয়ার জন্য হর্ণ দিতেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে গিয়ে চড়ে পড়লাম ট্রেন এর মধ্যে। সেখানে যাওয়ার পর প্রায় ৪৫ মিনিট এর মতো সময় কাটানোর পর
অবশেষে দিনাজপুর রেলস্টেশন এ পৌছে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর স্টেশন গেট দিয়ে না বেড়িয়ে আমরা সামনের ফাঁকা রাস্তাটি দিয়ে সরাসরি কোর্ট এর দিকে রওনা দিলাম। তাড়াহুড়া করে আসার কারণে টিকিট কাটা হয় নাই তাই বিকল্প রাস্তা নিয়েছি।
স্টেশন থেকে প্রায় ৪-৫ মিনিট হাটার পর আমরা কোর্ট এর ভিতরে প্রবেশ করলাম। সেখানে প্রবেশ করতেই দেখলাম একজন ব্যক্তি কচি ডাব এর পানি বিক্রি করতেছে। তাই আমরা সেখানে সেটা নিয়ে খেলাম।
খাওয়া শেষ এ সামনে দিকে গিয়ে দেখলাম একটি বট গাছ। যেটা ছিল অনেক দিন এর পুরনো। তবে সেই বটগাছ এর চারদিক অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেছে। কেউ শরীলের জামার ভিতরে অনেক পকেট তৈরি করে সেগুলোর মধ্যে মালামাল নিয়ে সেগুলোও আবার বিক্রি করে তার জীবিকা নির্বাহ করতেছে। এমনভাবে অনেকে বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়ে আছে।
সেখানে না থেকে আমরা চলে গেলাম। উকিল এর কাছে। কারণ আমরা আসছি একটা জমির দলিল এর বেপার এ। তবে এখনকার দিনে টাকা ছাড়া কেউ এ কেনো কাজ করে না। উকিল এর কাছে কথাবার্তা বলে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের কাজ দিয়ে দিলাম। কাগজ দেওয়ার পর কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমরা একটু বাইরে আসলাম।
বাইরে আসার সাথে দেখতে একটু ছেলেকে ধরে নিয়ে যাইতেছে। আর অন্য পাশে একটা মেয়ে নিজের অজান্তে কান্না করতেছে। তারপর সেখানে শুনলাম নারী ও শিশু নির্যাতন এর কারণে ছেলেটাকে নিয়ে যাইতেছে। কারণ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাতে কোনো রকম ছাড় নাই।
তাছাড়া জজকোর্ট এর মধ্যে যতসময় এ থাকবা ততও বিভিন্ন ধরনের আসামি বিভিন্ন ধরনের মামলা দেখতে পরবো। তাই আমরা ওইখানে না থেকে একটু সামনের দিকে চলে গেলাম। সেখানে দিয়ে কিছুটা ছবি তুললাম। ছবি তোলা শেষ এ যখন ট্রেন আসার শব্দ পেলাম তখন আমরা দেরি না করে স্টেশন এ চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রায় ৫-৭ মিনিট এর মধ্যে ট্রেন পার্বতীপুর এর উদ্দেশ্য রওনা দিলো। অবশেষে স্বপ্নের শহর পার্বতীপুর থেকে ভ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
Samsung | A03s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shahin05 |
লোকেশন | দিনাজপুর জজকোর্ট |
আশা করি আমার কাটানো জজকোর্ট এর সময় টুকু আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই সবার সুস্থতা দান করে আজকে মনে এখানেই শেষ করলাম। তবে লেখার মাঝে ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
|
---|
https://x.com/neha3332221/status/1701539272359321690?s=20
দিনাজপুর জেলার জজ কোর্ট আমি রাস্তা থেকে দেখেছি তবে এর ভিতরে কখনো যাওয়া হয়নি। কোর্টে অনেক লোকের সমাগম হয়। মানুষ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এবং কেসের জন্য কোর্টে এসে থাকেন। দিনাজপুর জজ কোর্টে চিরিরবন্দর এবং বিরল এলাকার লোক বেশি দেখা যায়। কারন এই এলাকার লোকজন বেশি কেস করতে পছন্দ করে। আমার কোনদিনও প্রয়োজন হয়নি এখানে যাওয়ার। তবে এর পাশে বিআরটিএ ভবনে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। ডিসি অফিসের ভিতরে বিআরটিএ ভবন অবস্থিত। ডিসি অফিসের পাশেই হচ্ছে জজ কোর্ট। এলাকাটি অনেক সুন্দর এখানে সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান। আশাকরি আপনার কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন হবে আপনার জমি নিয়ে ভেজাল থাকলে সেটি কোর্টের মাধ্যমে ভালোভাবে নিষ্পন্ন করে নেবেন। কোর্টে অনেক দালাল ঘোরাফেরা করে সেগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে। দালালের হাতে পড়লে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় তবে দালাল ছাড়া এ কাজগুলো সহজে হয় না। আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে জজ কোর্ট সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং ছবিগুলো দেখতে পারলাম। কারণ আমি এর ভিতরে কখনো ঢুকিনি বাহির থেকেই দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
দিনাজপুর জজকোর্ট নিয়ে দারুন উপস্থাপন করছেন ভাই, পার্বতীপুর থেকে লোকাল ট্রেনে করে আপনি দিনাজপুর গিয়েছেন, তাতে কি ভাড়া দিয়েছেন ভাই? আপনাদের জমির ঝামেলা মিটেছে কি? উকিলটা ভাই টাকা খায়, টাকা খাওয়াই তাদের কাজ। উকিল চায় সবাই ঝামেলায় পরুক। জজ কোর্টে গেলে নানা রকমের মামলা দেখা যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আপনি ঠিক কি কাজে দিনাজপুর জর্জ কোর্টে গিয়েছিলেন। আজকাল টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। এই জন্যই আমাদের দেশ এখনো এতো পিছিয়ে আছে। সেখান থেকে দিনাজপুর বাণিজ্য মেলাও ঘুরে আসতে পারতেন। কাছেই ছিলো মেলা। চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
সময় ছিল না ভাই। অন্য একদিন যাবো।
ধন্যবাদ
মাঝেমধ্যে যখন কোন কাজ থাকে তখন বড় মাঠে যাওয়া হয় তখন জজ কোর্টের ভিতরে ঘুরতে যাই। বড় মাঠের সামনেই রয়েছে দিনাজপুর জেলা জজ কোর্ট এবং জেলা প্রশাসনের অধিদপ্তর।সেখানে মাঝে মাঝে ঢুকি এবং পর্যবেক্ষণ করি যে কোথায় কি আছে না আছে।দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক কাজের অনেকগুলোই এখানে করা হয়।এছাড়াও দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী জজকোর্ট এখানেই অবস্থিত যেখানে সুপ্রিমকোর্ট আকারে জর্জ বসেন। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ