পরকালের জন্য আমাদের কিছু গুছানো উচিৎ।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য শুধু এই দুনিয়ার ভোগ-বিলাস নয়, বরং পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের প্রস্তুতি নেওয়া। ইসলাম ধর্ম আমাদের শেখায় যে, দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী ও পরীক্ষার ময়দান। এই জীবনেই নির্ধারিত হয় আমাদের পরকালীন সুখ বা দুঃখ। তাই একজন মুসলমানের উচিত এই স্বল্প সময়ের দুনিয়ার জীবনকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে তা পরকালের শান্তি ও মুক্তির কারণ হয়। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার সাজসজ্জা চায়, আমি তাদের আমলের পূর্ণ প্রতিদান দেই; কিন্তু পরকালে তাদের কোনো অংশ থাকবে না।” (সূরা হুদ: ১৫–১৬)। অর্থাৎ, শুধু দুনিয়ার চিন্তায় মগ্ন থেকে পরকালের কথা ভুলে যাওয়া এক ধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।
পরকাল বা আখিরাতে বিশ্বাস ইসলাম ধর্মের মৌলিক স্তম্ভগুলোর একটি। যে ব্যক্তি পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে জানে একদিন তাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে। এই বিশ্বাসই মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, সত্ এবং সৎকর্মে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমাদের উচিত নিজেদের জীবনকে পরকালের দৃষ্টিকোণ থেকে সাজানো। নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ—এগুলো শুধু আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ। এগুলোর মাধ্যমে মানুষ নিজের আত্মাকে পবিত্র করে এবং আল্লাহর কাছে নিকটবর্তী হয়।
একজন মুসলমানের দায়িত্ব শুধু নিজের পরকালের চিন্তা নয়, বরং সমাজে ন্যায় ও মানবিকতার প্রচার করাও তার কর্তব্য। ইসলাম শিক্ষা দেয়—যে ব্যক্তি অন্যের কল্যাণে কাজ করে, সে আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা পায়। তাই দরিদ্রের সহায়তা করা, অন্যায়ের বিরোধিতা করা, সত্য কথা বলা, এবং ক্ষমাশীল হওয়া—এসবই পরকালের প্রস্তুতির অংশ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “চতুর সে ব্যক্তি, যে নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করে।” এই হাদীস আমাদের শেখায় যে, জ্ঞানী ও সচেতন মানুষ কখনো অযথা জীবন নষ্ট করে না; বরং প্রতিটি দিনকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজে লাগায়।
পরকালের প্রস্তুতি মানে শুধু নামাজ বা দোয়া নয়, বরং পুরো জীবনকে ইসলামের নীতিতে সাজানো। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা, ধৈর্য, দয়া, ন্যায়বিচার ও ভালোবাসা চর্চা করা প্রয়োজন। দুনিয়ার সম্পদ, পদ-মর্যাদা বা খ্যাতি একদিন শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমাদের আমল—সৎকর্ম, ভালো আচরণ, এবং আল্লাহর ভয়—এইসবই আমাদের চিরস্থায়ী সম্পদ হবে। তাই এখনই আমাদের উচিত নিজের জীবন গোছানো, গুনাহ থেকে বিরত থাকা, এবং তওবার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা।
ইসলাম ধর্ম আমাদের শেখায়, পরকালই সত্যিকার জীবন। এই দুনিয়া শুধুমাত্র তার প্রস্তুতির ক্ষেত্র। যে ব্যক্তি পরকালের জন্য এখন থেকেই নিজেকে গুছিয়ে নেবে, সে-ই হবে প্রকৃত সফল মানুষ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পরকালের মুক্তি লাভই একজন মুমিনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথ আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1975186051942785400?t=k_gyNobUxBqjE68_-4CNJA&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1975186812600787261?t=Twj-SZLzzvdLM5jiWedQbg&s=19
X PROMOTION https://x.com/mdetshahidislam/status/1975186529359450233?t=mAzdc_oauieH7uJaaoJj5Q&s=19
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আসলে আমরা দুনিয়াতেই আমাদের জীবনটা সাজিয়ে রাখি কিন্তু পরকালের চিন্তা আমরা কখনোই করি না।তবে আমাদের সবার উচিত পরকালের জন্য জীবনটা গুছিয়ে রাখা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।