অভিনব প্রেমের "গল্প" কবিতায় কাব্য||~~♥~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সকলেই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।।আমার বাংলা ব্লগ বাংলা ভাষাভাষী ব্লগারদের জন্য একটি সুন্দরতম অন্যরকম ব্রান্ড।এই ব্রান্ড কে শ্রেষ্ঠ বাংলা ভাষার ব্লগ হিসেবে সর্বোচ্চতায় ছড়িয়ে দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকব আমরা সকলে। এটা সত্যি যে আমার বাংলা ব্লগ আমাকে একটি নতুনত্ব এনে দিয়েছে আমার জীবনে। আর তাই আমার বাংলা ব্লগের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা সবসময় অটুট থাকবে।
অভিমানী কবিতা। তার "কাব্যের" প্রতি অভিমান করে গাল ফুলিয়ে বসে আছে গতকাল থেকে।রাগ অনুরাগ আর অনুভূতির আলতো স্পর্শ যেন কবিতার বুকে, এমন ভাবে শিহরিত করল।সেই শিহরণেই সেই অস্থিরতায় এখন কবিতা প্রচন্ড রকমের অসুস্হ্যতা।
একপাশে প্রচন্ড মাথাব্যথা অন্যদিকে মানসিক চাপ।
আর এদিকে "কাব্য" এর কোন খোঁজখবর নেই।সব মিলিয়ে কবিতার এখন এলোমেলো অবস্থা।
আসুন এবার পরিচয় করিয়ে দেই কবিতার সাথে কাব্যে সম্পর্ক টা কিভাবে শুরু হল,, সে এক অন্য রকম ঘটনা।সেই গল্পটা না হয় অন্য কোন দিন আবার নতুন করে লিখব।আজ শুধু এতোটুকুই বলতে চাই কবিতা এবং কাব্য দুজন দুজনকে ভীষণ ভালোবাসে। এই ভালোবাসা যেন অন্যরকম এক প্রেমের ইতিহাস সৃষ্টি করবে। বেশ কিছুদিন হল তারা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে, ছন্দ তালে। তাদের কথা হয় ছন্দে ছন্দে অন্ত্যমিলে। কথা হয় কবিতায়, কথা হয় গানে।কথা হয় সফলতা কিংবা পরাজয়ের গল্পে। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে তারা দুজনেই সোচ্চার। দুজনের অনিচ্ছাকৃতভাবেই সুন্দর একটা নিপুন সম্পর্কের তৈরি হলো কীভাবে, তারা তারা নিজেরাই জানেনা।জানে শুধু একজন আরেক জনকে মিস করছে। তাদের মিস করাটা প্রকাশ পায় কাব্যে কাব্যে।এক দুর্দান্ত প্রেম কাহিনী।না তাদের আজও সেভাবে দেখা হয়নি।হয়নি চোখে চোখে চেয়ে থাকা।কিংবা খুব যত্নসহকারে হাতে হাত রেখে বলা হয়নি ভালোবাসি তোমায়।তার পরেও দুজন দুজনার প্রেমে এতটাই মুগ্ধ যে, চিরচেনা চির আপন মনে হয়, আর প্রচন্ড রকমের বিশ্বস্ত মনে হয়।সবচেয়ে মজার বিষয় দুজন দুজনকে বুঝতে পারে। কখনো ভিডিও কলে কথা হলে, কাব্য তার মনের কথাগুলো গানে গানে প্রকাশ করত। কবিতা তা উপলব্ধি করতো অনুভবে। ওদের আলাপচারিতার বিষয়বস্তু থাকে জ্ঞানচর্চা মুলক। এবং তাদের চিন্তা চেতনায় কাজ করে কিভাবে তরুণ প্রজন্মকে সভ্যতার ফুল ফোটানোর জন্য একটি উদ্যান তৈরি করবে। হাজারো মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে আত্মতৃপ্তি পাবে।কখনো নীরবে নিভৃতে আবেগে অনুভূতিতে অনুভবে একজন আরেকজনের গহীনে প্রবেশ করার মত, ভাষা কিংবা প্রেমালাপ কোনটাই উচ্চারণ করতে পারি নি আজ এখনো।অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,, তাহলে এটা প্রেম কি করে হয় কি করে ভালোবাসা হয়?? তাই তো?? সে প্রশ্নের উত্তর না হয় আর একটু পরেই দেই। "কবিতা এবং কাব্য " দুটি নাম একই ফ্রেমে। না তাদের প্রেমালাপে কোন অশ্লীলতা ছিল না।কিংবা অন্য প্রেমিক-প্রেমিকারা যেভাবে প্রপোজ করে ঠিক সে রকম কোনো বিষয় হয়ে ওঠেনি কোনদিন কখনো।পবিত্রতার প্রচ্ছদে , সুভাষিত উদ্যানে প্রস্ফুটিত হওয়া দুটি কাব্যিক হৃদয়। এ যেন কবিতায় কাব্য।
গতকাল রাতে শুধুমাত্র হালকা একটু চ্যাটিং হয়েছিল দুজনের মধ্যে।তারপর সারা রাত পেরিয়ে সকাল হলো।সকাল পেরিয়ে বেলা হল।বেলা পেরিয়ে দুপুর।ইতিমধ্যে কাব্যের কোন খোঁজখবর নেই।
যদিও কবিতা দুবার ফোন দিয়েছিল। কাব্য ব্যস্ততার ভিড়ে তা লক্ষই করেনি। কাব্য তার ব্যস্ততম সময় গুলো যখন অতিক্রম করে ফেলল,তখন হঠাৎ করে কবিতার কথা মনে হলো।এবং ম্যাসেঞ্জার চেক করে দেখলো কবিতা তাকে একটি ও এসএমএস করেনি।তার মনের ভেতর হঠাৎ করে অভিমানের সুর বেজে উঠল।এবং সেই অনুভূতি থেকে কবিতাকে কল দিলো কাব্য।এদিকে কবিতাও ভীষণ মন খারাপ মন মরা হয়ে বসে আছে কাব্যের জন্য।হঠাৎ কাব্যের কল দেখে কবিতা খুশিতে খুব তাড়াতাড়ি কল রিসিভ করল।কিন্তু কাব্যের কথাগুলো হঠাৎ খুব অচেনা এবং অপরিচিত লাগছিল কবিতার কাছে।কথাগুলো ছিল ঠিক এরকম। আচ্ছা কবিতা আপনি কি শুধু আমাকে রাত ১১টা, রাত ১২টা, রাত ০১টা, কিংবা রাত তিনটার সময় মনে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ?? তবে আমার খারাপ লাগে যে আপনার রাতের এই চাহিদাগুলো আমি মেটাতে পারি না।
এই কথাগুলো শোনার সাথে সাথে কবিতার চোখ দিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে পানি বেরিয়ে এলো।মনে হলো একটি বিষাক্ত তীর এসে কবিতার কলিজায় আঘাত করলো।আঘাতের যন্ত্রণা টা এতটাই তীব্রতর হলো যে, মুহূর্তেই কবিতার মনের উপর কালবৈশাখী টর্নেডো ঝড় বয়ে গেল। অপ্রত্যাশিত এরকম ভাষা কখনো কাব্যের মুখ থেকে কবিতা শুনবে এটা প্রত্যাশা করে নি।কারণ তাদের রিলেশনশিপে এইরকম কোন বিষয় ছিল না। কাব্যের অভিমানটা ছিল সারা দিন চলে যাচ্ছে, কেন তুমি একটা এসএমএস বা কল করোনি? তাহলে আমি কি ভেবে নেবো তুমি কি দিনে নয় শুধু রাতেই আমাকে মিস করো।কবিতা তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে ভেজা ভেজা চোখে বলতে লাগল আচ্ছা রাতে আমার কোন চাহিদাটা আপনি অপূর্ণ রেখেছেন যেটা আমার প্রয়োজন ছিল।আপনার ধারণাটা যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আজকের পর থেকে আর কোনোদিন কখনোই আপনার সাথে কথা বলবো না।কারণ আপনি নিজে থেকেই বলেছিলেন শুধুমাত্র আমি নক দিলে তুমি নক করবা।কারন আমার ব্যস্ততম সময়ে আমি তোমার নক দেখলে কাজে অমনোযোগী হয়ে পড়বো। কবিতা কেঁদে কেঁদেই সেই বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দিল কাব্যকে।এবার কাব্য বেশ আহত হল। এবং তার ভিতরে একটি অপরাধবোধ কাজ করতে লাগল। এবং কবিতার অভিমান ভাঙ্গাতে,ওর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, প্রায় 3 থেকে 4 ঘন্টা কখনো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কিংবা,কখনো ফার্নিচারের দোকানে, কখনো গাড়িতে কখনো রিকশায় কখনো বা নদীর পারে আবার নদীর ঘাট নৌকা সবকিছুই কবিতাকে দেখাচ্ছে এবং ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে। ঠিক একটি সময় কবিতার মন ভাল হয়ে গেল। এবং তৈরি হলো চমৎকার একটি রসায়ন,,,,,,
১৭ জানুয়ারি২০২৩
সময-রাত ০৯.২৭ মিনিট
কবিতা কুটির, নীলফামারী।
♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু বেশ দারুন লিখেছেন, কিন্তু আরেকা পর্ব করতেন এতটুকু পড়ে মন ভরছে না😉।আহা কি অভিমান দুইজনের । আসলে প্রথম প্রথম প্রেমের সময় এমন অভিমানই হয়।যাই হোক গল্পের নামটাও বেশ সুন্দর, গল্পটাও সুন্দর। আরো গল্প চাই সামনে থেকে কিন্তু। ❤️❤️❤️ধন্যবাদ
আপু আমার বাংলা ব্লগে এমনিতেই তেমন কেউ গল্প পড়ে না। আর সেটা যদি আরো বড় হয়, তাহলে তো আরো বেশি ভয় পাবে। সে কারণে গল্পটি ছোট করে লিখেছি।♥♥
পড়ে তবে খুব কম মানুষ। আমার গল্প পড়তে ভালোই লাগে। আপনি গল্প লেখার পর আমাকে বলবেন তাহলেই হবে।