♥মসুর ডালের মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি♥||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
সত্য কথা বলতে কি সিয়াম শিপু বাসা থেকে যাওয়ার পর থেকেই আমাকে আর ভালো মন্দ তেমন কিছু রান্না করতে ইচ্ছে করেনা। আর রান্না করলেও রেসিপি পোস্ট করার মত ধৈর্য মনের ভেতরে ধারণ করতে পারিনা।আমি যেন এক অন্য আমিতে রুপান্তরিত হয়েছি। খুব সাদামাটা জীবন যাপন করছি এখন।তবে আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেক দিন পর।হয়তো আপনাদের মাঝে অনেকের খুব ফেভারিট হতে পারে এটি।মসুর ডাল আমরা সব সময় কমবেশি মানুষ খেয়ে থাকি। আমার বাসায়ও প্রায় প্রতিদিন মসুর ডাল রান্না হতো।তবে ইদানিং মসুর ডাল আর তেমন রান্না করা হয়ে ওঠে না।আজ সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ।মনে হয় কালো মেঘে ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ।তাই শীতের প্রকোপ টি আর একটু বেড়েছে।দুই রাত টানা লং জার্নি করার পর শরীরটা কেমন যেন করছিল গতকাল। কেমন যেন জর জর লাগছিল। তাছাড়া ঢাকায় বেশ গরম ছিল। আর নীলফামারীতে এখনো প্রচন্ড শীত। ভাবলাম গরম ভাতের সাথে মসুর ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা বানিয়ে আজ খুব মজা করে খাব।আর তখনই মনে পড়ে গেল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার এর কথা। আর তাইতো চলে এলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। তো বন্ধুরা চলুন তাহলে দেখে আসি আজকের মুসুরডালের মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি।
♦মুসুর ডাল
♦পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, লবণ, সরিষার তেল,ও ধনিয়া পাতা।
♦প্রথমে কিছু মসুর ডাল একটি বাটিতে নিয়ে, পরিষ্কার করে ধুয়ে এরপর আরেকটি স্টিলের পাত্রে করে বসিয়ে দিলাম গ্যাসের চুলার উপর।
♦এরপর ডালের মধ্যে পরিমাণমতো একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
♦এরপর একটি রসুনের ছাল গুড়ো ছাড়িয়ে কোয়াগুলো ভালো করে ধুয়ে ডালের মধ্যে দিয়ে ঢেকে দিলাম সিদ্ধ হওয়ার জন্য,,,,
♦ দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যে ডালগুলো ঠিক এভাবেই সেদ্ধ হয়ে গেল।
♦এ পর্যায়ে একটি প্লেটের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, ধনেপাতা কুচি এবং সেইসাথে শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিয়ে,,,
♦খুব ভালো করে মেখে নেব এবং সরিষার তেল দিয়ে দেব পরিমাণমতো।
এবার সেদ্ধ ডালগুলো দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নেব।তৈরি হয়ে গেল মজাদার মসুর ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি।এই ভর্তা সত্যি খুব বেশি সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে।বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে।আর ওই যে ধনে পাতা গুলো দেখলেন। সেগুলো তো আমি আমার বাসার ছোট্ট একটি উঠোনে লাগিয়ে ছিলাম। সেখানকার ফরমালিনমুক্ত। যা টেস্ট বলে বোঝানো যাবে না।
তো বন্ধুরা আমার মসুর ডালের ভর্তা রেসিপি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আমার সার্থকতা।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানেই। আগামীতে আবারো হাজির হব নতুন কোন আয়োজন নিয়ে আপনাদের মাঝে। টা টা,,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
মসুর ডালের মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।পরিবেশন খুবই ভালো লেগেছে।
মসুর ডালের ঝাল ঝাল মজাদার ভর্তা দিয়ে খুবই চমৎকার করে তৃপ্তি সহকারে, গরম সাদা ভাত খাওয়া যায়। যা আমার খেতে দারুন লাগে।♥♥
আসলে গরম ভাতের সাথে মসুর ডালের ভর্তা খেতে সবসময়ই আমার খুব ভালো লাগে। তবে শর্ত একটাই, ভর্তায় ঝাল একটু বেশি হতে হবে। কারণ যেকোন মিষ্টি খাবারের চেয়ে ঝাল খাবার আমার একটু বেশিই পছন্দ। যাইহোক আপনার রেসিপিটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপু। কালারটাও খুব সুন্দর হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে। এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই মুসুর ডালের ভর্তা একটি চমৎকার লোভনীয় খাবার। যা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমারও তাই খুব বেশি খাওয়ার অরুচি হলে, এরকম মসুর ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা করে খেলে রুচি হয়।
♥♥
মসুরের ডাল ভর্তা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। গরম গরম সাদা ভাতের সাথে এভাবে মসুর ডাল ভর্তা করলে খাওয়াটা একদম জমে যায়। বিশেষ করে শুকনো মরিচ ভাজা দিয়ে ভর্তা করলে আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি মসুর ডাল ভর্তার খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মসুর ডালের ভর্তা আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার। এবং অবশ্যই গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।♥♥
মসুর ডালের মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি। পারফেক্ট একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও কিছুদিন আগে খেয়েছিলাম। এভাবে ঝাল ঝাল করে খেতে ভীষণ মজাদার। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মসুর ডালের এই ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি আপনার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে বলে, আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসলেই সত্য কথা মুসুর ডালের ভর্তা একটি লোভনীয় খাবার।♥♥
আসলে আমার মনে হয় যখন সন্তানেরা বাসা থেকে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে হোক বা অন্য কোন কারণে বাসা ত্যাগ করে তখন প্রত্যেক মা-বাবার মনেই অনেক বেশি কষ্ট লাগে কোন কিছুই তাদের আর ভালো লাগেনা। আপনার ক্ষেত্রেও দেখছি সেটাই ঘটেছে হয়তো মা-বাবারা এমনই হয়। যাইহোক মজাদার একটি মুসুর ডালের ভর্তা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল।
আসলেই সন্তানদের ছেড়ে ভালোমন্দ খাওয়া টা অনেক সময় গলা দিয়ে নামতেই চায় না।আর রান্না করাটা আরও কষ্টদায়ক।♥♥
মসুর ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা দেখে লোভ লেগে গেল, আসলে আপু অনেক দিন হলো এভাবে ভর্তা করে খায়নি। প্রতি দিন শুধু পাতলা ডাল রান্না করি। সত্যি আপু বাসায় বাচ্চারা না থাকলে পছন্দের জিনিস রান্না করতে মন চায় না।আর ধনের পাতা দিলে তো টেস্ট অন্য রকম হয়ে থাকে,আপনার তো নিজের গাছের ধনের পাতা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
লোভ লাগলে সমস্যা হয়ে যাবে আপু। তাই বলছি দেরি না করে কালকেই মুসুরডালের এরকম মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলুন।হা হা হা,,হি হি হি,,,♥♥
গরম ভাতের সাথে যেকোনো ভর্তা খেতে দারুন লাগে। মসুর ডালের ভর্তা আমার খুবই পছন্দের একটি ভর্তা। মাঝে মাঝে করে খাওয়া হয় এই ভর্তা। আপনার ভর্তার কালার টা সুন্দর এসেছে। খেতে নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। গরম ভাতের সাথে যেকোনো ভর্তা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। হ্যা মুসুর ডালের ভর্তা টি যেমন দেখতে লোভনীয় হয়েছে। ঠিক তেমনি সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে খেতে।♥♥
সিয়াম ভাইয়া এবং শিপু এখন বাহিরে থাকে। তাই তো আপনার বেশ খারাপ লাগে। আসলে সন্তানদের রেখে মায়েরা ভালো মন্দ খাবার খেতেই পারে না। হয়তো কিছু খেতে গেলেই সন্তানদের কথা মনে হয়। তবে যাই হোক আপু ডাল ভর্তা আমার ভীষণ প্রিয়। ঝাল ঝাল ডাল ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। ঝাল ঝাল ডালের ভর্তা গরম ভাত দিয়ে খেতে আসলেই দারুন লাগে। ♥♥
আপনি সিয়াম ভাই আর শিপু ভাই কে দেখতে ঢাকা এসেছেন তা আমি হ্যাং আউট এর দিন জানতে পেরেছি । তবে এত লং জার্নি করে অসুস্থ হয়েছেন শুনে খারাপ লাগছে। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আপনি আজ খুব সিম্পল বাট আমার খুব পছন্দের এবং মজার একটি মসুর ডালের ঝাল ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার ভর্তা তৈরির প্রণালী আমার ভাল লেগেছে। পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আমার তৈরী মুসুর ডালের ভর্তা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে মুসুর ডালের ভর্তা আমি বাসায় ঠিক এভাবেই তৈরি করি। যা খেতে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু।।♥♥