ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা জিএমএ রাজ্জাক পদক ২০২৩। 🌹🌹
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা, গত ৩ মে ২০২৩ ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ আয়োজিত যাদূঘর প্রতিষ্ঠাতা এটিএম মজিবর রহমান স্মরনে এবং জেলা শ্রমিক নেতা দেওয়ান মুজিবুদৌলা জকি স্মরণেবীরমুক্তিযোদ্ধা জিএমএ রাজ্জাক পদক ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।ফিরোজসাঁই স্মৃতি সংসদ প্রতিবছর এই কিছু গুণীজনকে এই সম্মাননা স্মারক দিয়ে থাকেন।ঠিক তেমনটি আমাকে দিয়েছিলেন 2015 সালে। আর 2023 সালে আমি আমার হাত দিয়ে প্রায় 9 গুনিজনকে সংবর্ধনা দিতে পারলাম।আসলে কিছু ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সেলিব্রেশন প্রোগ্রামগুলো অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেয় এবং আরো বেশী উজ্জীবিত করে সামনে এগুনোর ক্ষেত্রে।সেদিনের সেই অনুষ্ঠানে অনেক ছোট ছোট শিল্পীরা কেউ কবিতা আবৃত্তি করেছেন কেউ গান গেয়েছেন। এবং আমি ছোট ছোট সোনামণিদের জন্য কিছু চকলেট এর বক্স গিফট নিয়ে গিয়েছিলাম।যারা সেদিনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সকলকেই চকলেট দিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছি। এবং উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেছি।সকলেই বেশ আনন্দিত এবং অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।আসলে কাউকে উৎসাহ দিতে পারলে অনেক বেশি আনন্দ পাই আমি।
9 জন ধনী ব্যক্তির মধ্য থেকে নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির দুইজন অন্যতম সদস্য, একজন হলেন আজমা আহসান মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। আরেকজন হলেন শোভা হক,কোষাধক্ষ্য।নীলফামারী সাহিত্য একাডেমি।তাদের দু'জনকেই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আজমা আহসান খুবই চমৎকার কবিতা লিখেন তার লেখা এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।যে বইগুলো পাঠকসমাজে বেশ আলোচিত হয়েছে।আমি উনাকে আন্টি বলে ডাকি।আর আন্টি আমাকে ঠিক মায়ের মত স্নেহ এবং মমতায় জড়িয়ে রাখেন।এবং আমার প্রতিটি ভালো কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে থাকেন।ফিরোজসাঁই স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে আন্টিকে সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি ব্যক্তিগতভাবে।
শোভা হক খুবই চমৎকার কবিতা আবৃত্তি করেন।এবং খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন তিনি।তার সুন্দর কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি যেন মধুর মত লাগে।আমিতো মুগ্ধ হয়ে শোভা হকের কবিতা শুনি।শোভা এবং আমি একসাথে সাহিত্যচর্চা করতাম সেইআট থেকে দশ বছর আগে থেকে। আমাদের সম্পর্কটা বেশ মধুর।শোভা কে সংবর্ধনা দেয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি খুশি হয়েছি। এবং নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে শোভা হককে উষ্ণ অভিনন্দন।
এবং নীলফামারীর আর একজন মিউজিশিয়ান যিনি খুবই চমৎকার ম্যাজিক প্রদর্শন করেন তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়ে সম্মানিত করতে পারায় আমাকে অনেক বেশি ভালো লাগছে।একে একে এভাবে নয় জনকে সেলিব্রেশন করতে পেরেছে ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ।সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
আর নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে সকলের জন্য স্পেশল গিফট ছিল চকলেট বক্স।ছোট বড় সকলকে চকলেট খাওয়াতে পেরে আমার নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।সামান্য চকলেট পেয়ে মানুষ এত খুশি হয় তা সেদিন থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি।আমি যখন তাদের হাতে চকলেট দিচ্ছিলাম তখন তাদের ঠোঁটের কোণে অন্যরকম একটা হাসি ফুটে উঠেছিল যে হাসিটা আমার কাছে অনেক বেশি দামী মনে হয়েছে অনেক বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। অনেক বেশি উচ্ছল মনে হয়েছে।
সেই প্রগ্রামে যেহেতু আমি অতিথি হিসেবে ছিলাম তাই আমার সুন্দর সাবলীল গঠনমূলক বক্তব্য সবাইকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। সেই সাথে আমার স্বরচিত একটি কবিতা সকলের অনুরোধে পাঠ করে শুনিয়েছিলাম।দর্শকসারি থেকে মুহুর্মুহু করতালিতে বুঝে গিয়েছিলাম, কবিতাটি তাদের কত ভালো লেগেছিল।বন্ধুরা অন্য 9 জনের মতো আমিও 2015 সালে ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়েছিলাম।আর আজ 2023 সালে এসে নিজের হাতে অনেকগুলো জনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দিতে পেরে আমি আবারও নিজেকে ধন্য মনে করছি গর্বিত মনে করছি এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে।মজার বিষয় হচ্ছে ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ এর অনেকগুলো প্রোগ্রাম আমি নিজেই উপস্থাপনা করতাম অনেক আগে।আর আজ সেই অনুষ্ঠানের অতিথী হয়ে এসেছি।ভাবতে বেশ ভালো লাগছে। আসলে এই সমস্ত ভালোলাগার অনুভূতি গুলো অন্যরকম একটা উপলব্ধি তৈরি করে হৃদয়মাঝে। এই অনুষ্ঠানের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।কারন আমার bangla-blog কে আমি আমার পরিবারের একটি অংশ মনে করি।আর তাই ভালোলাগা-মন্দলাগা অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে মন চায় অবলীলায়।
বন্ধুরা, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবারও আসব নতুন নতুন আয়োজন নিয়ে, আপনাদের মাঝে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা সবার জন্য।♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু আপনার অনেক পোষ্ট এরকম দেখেছি যেখানে সমাজের গুণী ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা হয়। আর আপনি সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। আমার কাছে মনে হয় এটা সত্যি অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। লেখাগুলো পড়তে খুব ভালোলাগা কাজ করছিল। আর আপনি সবসময় অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলেন। তাই আপনার বক্তব্যে সবাই যে মুগ্ধ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক দূর এগিয়ে যান আপনি আপু। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি যে,,সমাজের মানুষ আমাকে অনুপ্রেরণাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।উনারা বেশি জোরালো কন্ঠে বলে অনুপ্রেরণার আরেক নাম সেলিনা সাথী। এটা আমার অর্জন হিসেবে আমি মনে করি।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।♥♥
এমন একজন গুণী মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে, তার সান্নিধ্যে থাকতে পেরে আমরাও অনেক লাকি আপু। ❤️❤️
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাই।।