꧁:" কক্সবাজার ঘুরে আসার অনুভূতি পর্ব -২" ꧂☆
꧁:" কক্সবাজার ঘুরে আসার অনুভূতি পর্ব -২" ꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনাদের সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সদ্য ঘুরে আসা কক্সবাজারের অনুভূতি **প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। বন্ধুরা আজ প্রায় অনেকদিন ধরেই আমি আমার বাংলা ব্লগ প্রিয় কমিউনিটিতে ঠিক সেভাবে সময় দিতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব প্যারার মধ্যে দিন যাপন করছি।যা কথা কিংবা আবেগ অনুভূতি কোনটা দিয়েই বোঝানো সম্ভব নয়।কঠিন এক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমি।তাই অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।হয়তো এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবো খুব দ্রুত।শিপুকে এখন প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি করাতে হবে।আপনার নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াতে কি পরিমাণ ব্যায়-বহুল। আরো যদি ভালো কোন ভার্সিটিতে পড়াতে চাই তবে তো খরচের সংখ্যাটা আরো বেশি হয়ে যাবে।আর তাই অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছি এখন।আমার চোখে মুখে অনেক স্বপ্ন।আমি সব সময় চেয়েছি আমার ছেলে দুটো যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।শিক্ষা দীক্ষা কাজে কর্মে আচার-আচরণে, সবদিক থেকে প্রতিষ্ঠিত ভালো মানুষ যেন হতে পারে,লক্ষ্যেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু গত করোনার পর থেকে আমি একদম বাড়িতে বসে আছি সকল ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে।পুরো তিন বছর বাসায় বসে বসে খেতে কি পরিমান অর্থ লাগে, যারা আমার মতো ছিলেন একমাত্র তারাই বুঝবেন। যাই হোক ডিপ্রেশন থেকে একটু বেরিয়ে আসার জন্যই কক্সবাজার ট্যুরে গিয়েছিলাম।
কক্সবাজারে এর আগেও বহুবার গিয়েছিলাম।কিন্তু এবারের ভ্রমণটা ছিল একটু অন্যরকম।এই ট্যুরে আমরা অনেক বেশি মজা করেছিলাম।কারণ ট্যুরের মধ্যে একটা বিজনেস ভাব ছিল। মূলত এই বিজনেস প্ল্যানিং দেখার জন্য আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম।কাজটি ভালোভাবে করার জন্য মনে প্রাণে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।কারণ এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই আমার।এই তিন বছরে বহু ক্ষতি হয়ে গেছে আমার।তবে শিবপুর লেখাপড়া শেষ করার জন্য আমাকে আবারো যুদ্ধে নামতে হচ্ছে।যদিও এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করা অনেক কঠিন একটি বিষয়।আর এই মার্কেটিং আমাকে করতেই হবে।আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি আমার মেধা সময় এবং শ্রম দিয়ে।সততার সাথে স্বচ্ছতার সাথে।সিয়াম কে নিয়ে ইদানিং ভাবনাটা একটু কমেছে।কারণ ও আমার বাংলা ব্লগে কাজ করে তার লেখা পড়ার সার্বিক খরচ নিজেই পরিচালনা করছে।সেদিক থেকে আমি অনেকটা নিশ্চিন্ত।কিন্তু তারপরেও অনেক কথা দথেকে যায়।যখন একটি পরিবারের কর্তা হয় একজন নারী।এ টু জেড খরচ করতে হয় সেই নারীটিকে।তাহলে বুঝুন কি প্যারার মধ্যে আছি আমি।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সীমাহীন আনন্দে নিজে যেমন মুখরিত হয়েছে ঠিক তেমনি,অন্য সবাইকে মুখরিত করার চেষ্টা করেছি।আসলে যে কোন জায়গায় ট্যুর বলতেই অন্যরকম একটা আনন্দ অনুভূত হয়।
আমরা ট্রেনিং সেশন শেষ করে এরপর যখন রুমে প্রবেশ করি তখন অনেক বেশি মজা আর হৈ-হুল্লোড় করেছিলাম।নতুন নতুন পরিচিত মুখ দের সাথে।সব মিলিয়ে দারুন একটি সময় পার করেছি আমরা।আশা করছি এই ট্যুরের বিনোদনের মাধ্যমে,আমি জীবনে আর একটি পদক্ষেপ নিতে অগ্রগামী হব।আমার সিয়াম শিপুর জন্য সকলেই দোয়া করবেন।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানেই,,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিলো। আজকে আবারো কক্সবাজারের পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। আপু আপনাদের সাথে আমাদের গ্রামের কয়েকজন বড় ভাই ছিলো। এবং আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান ও ছিলো। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
আপনাদের গ্রামের কয়েকজন আমাদের সাথে গিয়েছিল। সেখানে সবাই মিলে অনেক মজা করেছিলাম।♥♥
আপনি অনেক ব্যস্ততা এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন আপু। একদিকে আপনার ছেলে অসুস্থ এবং তাকে ঢাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিয়ে দিতে হবে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার খরচ অনেক বেশি। যাইহোক ডিপ্রেশন কাটাতে কক্সবাজার গিয়ে খুব ভালো করেছেন। এমন জায়গায় গেলে মনের মধ্যে প্রশান্তি চলে আসে এমনিতেই। সবকিছু ভালোভাবে হোক সেই কামনা করছি। আপনার পুরো পরিবারের প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।