দেশ গড়া কিংবা রক্ষার কাজে,,সাথী পাঠাগার ও রাখবে অনন্য অবদান।এটা আমার স্বপ্ন
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদেরকে সাথী পাঠাগারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।আসুন জেনে নেই সাথে পাঠাগারের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা।সাথী পাঠাগার, বাজারপাড়া, নীলফামারী। পোস্ট কোড নং-৫৩০০। প্রতিষ্ঠার সাল ও তারিখ-১২/১২/২০১২ইং প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-সেলিনা সাথী।বর্তমানে গ্রন্থাগারের মোট বইয়ের সংখ্যা -২৫০০ গত এক বছরে গ্রন্থাগারের কার্যক্রম সমূহ-বই পাঠ প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, রচনা, তর্কবিতর্ক প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠানের আয়োজন।ও পুরস্কার বিতরণ।
গ্রন্থাগারের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন দিবস উদযাপন যেমন -১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। 15 ই আগস্ট , 5 ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন সহ,শিশু বিয়ের যৌতুক যৌতুক প্রথা বন্ধে এবং মাদকবিরোধী ইত্যাদি বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা।
সমাজের সার্বিক কল্যাণ, ক্রীড়া, শিক্ষা ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় সাথী পাঠাগার।পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য রেখে মর্যাদাপূর্ণ ও উন্নত জীবন গঠনের অনুপ্রেরণার ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সাথী পাঠাগার এর পথ চলা।।
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির কারণে এখনকার তরুণ-যুবকরা প্রায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত তাদের হাতে এখন বই তেমন আর দেখা যায় না দেখা যায়না পাঠাগারে আশা।এমনকি আমরা নারীরা গৃহিণীরা ওমোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে।অনেক অশ্লীল কাজ এর সাথে জড়িয়ে পড়ছি সমালোচনা করছি।একজন আরেকজনের সংসারে ক্লিক লাগাচ্ছি।সব কথা চিন্তা করেই মূলত স্বার্থেই পাঠাগারে সব ধরনের বই এর ব্যবস্থা রয়েছে।শিশুদের জন্য শিশুতোষ বই।মুক্তিযুদ্ধের বই।রান্নার বই।ছড়ায় ছড়ায় অংক শেখার বই সহ প্রায় সব ধরনের বই সাথে পাঠাগারে রয়েছে।এখানে একজন গৃহিণী চাইলে রান্নার বই দেখে দেখে রান্না শিখে নিতে পারে কিংবা কোন প্রশিক্ষণের জন্য সেলাই ব্লক বাটিক থেকে আদার্স প্রশিক্ষণের জন্য বই এখানে রাখা আছে তারা চাইলে এখান থেকে পড়ে নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারবে।
এছাড়াও প্রতিবছর সাথে পাঠাগারের আয়োজনে থাকছে ব্যাপক অনুষ্ঠানসূচি।2012 সালের 12 ডিসেম্বর ১২ তারিখে সাথী পাঠাগার এর যাত্রা শুরু হয়।এবং আজ অবধি সফলতার সাথে এগিয়ে চলছে।এবং আমার স্বপ্ন এই সাথী পাঠাগার একদিন বৃহৎ অবস্থান তৈরি করবে।সমাজ বিনির্মাণে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে সাথে পাঠাগার।তাই আসুন পরিশেষে সবাইকে বলি-বই পড়ি পাঠাগার গড়ি।এবং আমার ধারণা প্রতিটি পরিবারে অন্তত পারিবারিক পাঠাগার থাকা অত্যন্ত জরুরী।কারণ একটি শিশুর জন্য পরিবার হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর।তাই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ কিংবা আলোকিত মানুষ তৈরি করতে পাঠাগারের ভূমিকা অপরিসীম।
সাথী পাঠাগার মূলত আমার একটি স্বপ্ন।কারণ আমরা সকলেই জানি বইয়ের মত শ্রেষ্ঠ বন্ধু পৃথিবীতে আর কেহ হতে পারে না।তাছাড়া বই পড়তে লিখতে এবং পড়াতে আমার খুব ভালো লাগে।সেই ভাললাগা থেকেই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে শ্রেষ্ঠ একটি কাজের সফলতা দেখে যেতে চাই।আপনারা সকলেই দোয়া করবেন।সাথী পাঠাগার যেন সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে।আর সেই সাথে সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সাথী পাঠাগারে। ভালো থাকবেন সকলে।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
অনেক ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপু।প্রত্যেকটি এলাকা তেই একটি করে লাইব্রেরি থাকা প্রয়োজন।আমিও এলাকায় চেষ্টা করে যাচ্ছি।কিন্তু কারো কোন উৎসাহ পাই না।তাও লেগে আছি।এই মহৎ উদ্যোগ এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রতিটি এলাকায় তো থাকা দরকার তার পরেও প্রতিটি বাড়িতে পারিবারিক পাঠাগার থাকা অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।♥♥
হুম।আমি ২০০ বই নিয়ে একটি গড়েছি। প্রতিমাসেই বই কেনার চেষ্টা করি।
অনেক অনেক শুভ কামনা♥
আপু আপনার উদ্যোগটি খুবই ভালো। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।যদি কখনো নীলফামারী যাই তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব সাথী পাঠাগার পরিদর্শন করার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই নীলফামারী আসলে সাথে পাঠাগার পরিদর্শন করে যাবেন।।আমার খুব ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
আপু আপনি অনেক ভালো একটা উদ্যাগ নিয়েছে। আপনি এভাবে দেশে সমাজে উন্নয়ন করে সামনে দিকে এগিয়ে যান। আপনার সাথী পাঠাগার থেকে মাুনষ জ্ঞান অর্জন হবে।আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর একটা উদ্যাগ নেয়ার জন্য আপনাকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হবে।
আপু আমরা চাইলে কিন্তু সবার পরিবারের ছোট্ট একটি পাঠাগার গড়ে তুলতে পারি অন্তত পারিবারিক পাঠাগারে নিজের বাচ্চাদেরকে,,বই পড়ার অভ্যাস করতে পারি নিজেরা বই পড়তে পারি আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসলে তাদের কেউ দু-একটি বই হাতে ধরিয়ে পড়াতে পারি♥♥
আপু ঠিক বলছেন। ইচ্ছা থাকলে অবশ্য করা যায়।
করা উচিত,,,,
আপনার নিজের এত বড় সেবামুলক প্রতিষ্ঠান আছে জেনে খুব ভাল লাগছে। এই ধরনের উদ্যোগ আজকাল চোখেই দেখা যায় না। আপনি মেম্বারদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এটা খুব ভাল বেপার। গৃহিণী রা এসে চাইলে রান্নার বই দেখতে পারবে এবং রান্না শিখতে পারবে এটা ইউনিক লেগেছে । ধন্যবাদ আপু আপনি নিজের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
তিল তিল করে গড়ে ওঠা আমার এই প্রতিষ্ঠান।।এখন গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখা যায় সাথী পাঠাগারের।যা আমার কাছে সত্যিই আনন্দের বিষয়♥♥
আপু কি বলে অভিনন্দন জানাবো সেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।সত্যি অসাধারণ আপু, আপনার এত সুন্দর মহৎ কাজের জন্য আমি মুগ্ধ!! আমি চাই আপনার এই সফলতা যেন পূর্ণ হউক।আপনার সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হউক।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
প্রিয় আপু মনি ছোটবেলা থেকেই অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখে আসছি। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে কিছু মানুষের মত কাজ করে যেতে চাই।তাই এরকম বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে সেই অনেক ছোটবেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করেছি।লেগে আছি এখনো।দোয়া করবেন আমার জন্য♥♥
আপু দোয়া সব সময় সাথে থাকবে। আমার জন্য ও দোয়া করবেন
আমিন
আপু সত্যি আপনি যে বড় মনের মানুষ তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না ৷
অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছেন৷যেটা আমাদের সমাজের মানুষের. হয়তো কিছু টা হলেও পরিবর্তন হবে ৷
তবে বর্তমান যুগে আধুনিতক প্রযুক্তি এসে যুব সমাজ সবাই ইন্টারনেট আসক্ত হয়েছে ৷
যাই হোক পরিশেষে বলবো সাথী পাঠাগার আরও অনেক দুর এগিয়ে যাক ৷এই কামনা
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। তাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন সবসময়। এটাই প্রত্যাশা।♥♥
সাথী পাঠাগার সফল হোক সেই প্রত্যাশাই করি। বর্তমান যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে গেছে আমার জানামতে বাংলাদেশের বেশিরভাগ যুবসমাজ ইন্টারনেট প্রযুক্তির এই মোবাইল ব্যবহারের ফলে তারা নষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আপনার এই উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতন বাবা-মার সন্তান এই পাঠাগারে এসে বই পড়লে সত্যিই জীবনের সফলতার ছোঁয়া পাবে অনেক ভালো উদ্যোগ।
সাথী পাঠাগারের সমর্থন, চাই সমাজের পরিবর্তন। আসলে সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাউকে-না-কাউকে কোনো না কোনো কাজের উদ্যোগ নিতে হবে এবং সেই উদ্যোগের কারণে ও যদি কিছু মানুষের জীবনেও পরিবর্তন আসে সেটাও বা কম কিসে।আপনার শ্রুতিমধুর মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করেছে ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
ইনফরমেশন এখন হাতের মুঠোয়।তাই বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে মানুষ।মানুষ যত প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে তত একা হয়ে যাচ্ছে।আপনার সাথী পাঠাগার মানুষকে বইমুখী করে বন্ধনে আবদ্ধ করুক এই প্রত্যাশা করি।
আপনার মত পাঠাগার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে।
বই হোক নিত্য সঙ্গী।
শুভ কামনা আপনার জন্য ও আপনার পাঠাগারের জন্য।
আপু এখনও কিছু শিশু কিছু বয়স্ক মানুষ কিংবা আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসলে তাদেরকে বই পড়তে লাগিয়ে দেই যে যেমনটা পছন্দ করে।যখন কেউ মনোযোগ সহকারে পাঠাগার বই পড়ে তখন যে কি তৃপ্তি পাই বলে বোঝানো যাবে না।♥♥
এই মহান উদ্যোগকে অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই। বর্তমান সমাজ মোবাইলের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে, একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনার সংগ্রহে বেশ কিছু বই রয়েছে দেখলাম, খুব ভালো লাগলো দেখে। এগিয়ে যান সগৌরবে, দোয়া রইল 🥀
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বর্তমান সময়ে মোবাইল এবং ইন্টারনেটে যুবসমাজ অনেকেই ধ্বংসের পথে।তাই ভালো ভালো বই পড়ার মাধ্যমে তাদের অভ্যাসটাকে পরিবর্তন করে হলেও ভালো করার চেষ্টা তো করতে পারি।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।♥♥
আপনার যে পাঠাগার রয়েছে এটি আমি জানতামই না, আমি তো প্রথমেই অবাক হয়ে গেলাম এত আগে থেকে আপনার একটি পাঠাগার রয়েছে অথচ আমরা জানতাম না। ঠিক বলেছেন ইন্টারনেট আসার ফলে আমরা বই থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছে, একটা সময় আমিও লাইব্রেরির সদস্য ছিলাম বেশ অনেকগুলো বই পড়াও হয়েছিল কিন্তু এখন লাইব্রেরীতে আর যাওয়া হয় না।
অনেক আগেই সাথী পাঠাগার নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছিলাম।হয়তো আপনার দৃষ্টিগোচর হয়নি।যাইহোক 2012 সাল থেকেই এই পাঠাগার আজ পর্যন্ত ধরে রেখেছি এবং এখানে প্রায় অনেক মানুষেরই এসে বই পড়ে।কখনো সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই সাথে পাঠাগারে এসে দু একটা বইয়ে চোখ বুলিয়ে যাবেন ভালো লাগবে।♥♥