কুড়িগ্রামে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় মাদক ধ্বংস করলো বিজিবি,,
হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি।আর আপনারা সকলেই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি ব্যাক ডেট এর একটি নিউজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। যে বিষয়টি নিয়ে আমি দীর্ঘদিন কাজ করে এসেছি।এবং নীলফামারীতে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এর সাথে মাদক বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম।নীলফামারীতে মাদক বিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে লাম।তরুণ যুবক বৃদ্ধ সবাইকে নিয়ে আমরা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই সাথে মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরেছিলাম।শুধু তাই নয় যেকোন তরুন-তরুনীর মা-বাবা অর্থাৎ অভিভাবকদেরকে আমরা নানান রকমের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।।তারই ধারাবাহিকতায় আমি একদিন কুড়িগ্রামে গিয়েছিলাম।এবং সেখানকার একটা প্রোগ্রামে এটেন্ড হতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল। যেখানে অনেক গুলো মাদক বিজিবি' উদ্ধার করেছিল,,এবং প্রকাশ্যে সেগুলো ধ্বংস করেছে।
দেরিতে হলেও সেই নিউজটি ভিডিও সসহ আজ আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
কুড়িগ্রামে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় মাদক ধ্বংস করলো বিজিবি,,
সেলিনা সাথী, আমার বাংলা ব্লগ প্রতিনিধিঃ
১৪জানুয়ারি২০২৩ (০৮.১১.২০২২) এর নিউজ।
কুড়িগ্রামে দুই কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ টাকার মাদক ধ্বংস করলো কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম বিজিবি প্রশিক্ষণ চত্ত¡রে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে ছিল- সাড়ে ৬ হাজার মদ, ২'শ ৪১ কেজি গাঁজা, ৫ হাজার পিস ইয়াবা, ফেন্সিডিল ৯৫ বোতল।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-রংপুর বিজিবি'র রিজিয়ন সদর দপ্তরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান (বিএসপি-পিএসসি) । অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-রংপুর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. ইয়াছির জাহান হোসেন (পিএসসি), কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সুমন আলি, কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ আব্দুল মোত্তাকিম (এসপিপি), কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, শুধু প্রশাসন দিয়ে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন পারিবারিক শাসন এবং সামাজিক সচেতনতা।
উত্তর জনপদের অন্যতম বিভাগ রংপুর, এই রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলার মধ্যে ভারতের সীমান্ত রয়েছে নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড় জেলার। এই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবৈধভাবেই ভারতীয় মাদক প্রবেশ করায় যুব সমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে জীবন ধ্বংস করছে।
ভিডিও ফুটেজ
তাই আসুন যুব সমাজকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এবং মাদকের মতো এই ভয়াবহ নেশা থেকে তাদেরকে মুক্ত করতে আহবান করি। আসুন আমরা সকলেই সৃষ্টিশীল হই। এবং তরুণ সমাজকে জাগ্রত করি।নতুন নেশা মুক্ত একটি যুবসমাজ তৈরি করতে আমরাও নিজের নিজের জায়গা থেকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করি
সেইসাথে জোরালো কন্ঠে বলতে চাই পরিবর্তন হোক নিজের থেকে। সুন্দর নেশামুক্ত সমাজ বিনির্মাণে আমরাও অবদান রাখি।এই হোক আজকের প্রত্যয়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
মাদক আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আসলে নেশাগ্রস্থ সমাজ মানে নেশাগ্রস্থ ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য মাদক থেকে দূরে থাকা উচিত এবং মাদক ধ্বংস করা উচিত। আপনার প্রতিবেদনটি পরে সত্যিই ভালো লাগলো। সেই সাথে ভিডিওগ্রাফিটি দেখে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মাদক আমাদের সমাজে ভাইরাস এর মত।মরণব্যাধি এই মাদক যদি নির্মূল করা যেতো তবে আমি আত্ম তৃপ্তি পেতাম।♥♥
আপু সবসময়ই ভাল কাজের সাথে যুক্ত থাকেন।আসলেই এই মাদকের কারনে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একটা সময় মাদক সবনের জন্য নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হয়ে যায়।ভালো লাগছে আড়াই কোটির মাদক ধ্বংস করার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে
আমার খুব ইচ্ছা যতদিন বেঁচে থাকব। সমাজের মঙ্গলের জন্য কিছু করে যাব। সমাজ সচেতনতার জন্য কিছু করে যাব। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে শ্রেষ্ঠ কিছু কাজ করে যেতে চাই,,,আমার জন্য দোয়া করবেন আপু♥♥
ও মাই গড!! এতো এতো টাকার মাদক জব্দ! এটা নিঃসন্দেহে ভালো একটি কাজ করেছে! আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত মাদক পাচার হয়ে থাকে! দেশের সবুজ সে মাদক সেবন করে হচ্ছে নেশাগ্রস্থ! আপনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা মূলক মনোভাব তৈরি করতে পারবেন আশা করি!
এই যে এতগুলো টাকার মাদক জব্দ করে, ধ্বংস করে দিয়েছে। এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। যদি মাদক নির্মূল করা যেত,, তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।।♥♥
মাদক আমাদের যুব সমাজের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই মাদক যুবসমাজ সম্পূর্ণ ধ্বংস করছে। আমরা সবাই সচেতন হলে আমাদের সামনে যুব সমাজের জন্য অনেক ভালো একটা কাজ। আপনি সত্যি বলেছেন মুক্ত একটি সমাজ গড়তে আমাদের সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টগুলো সবসময় শিক্ষনীয় বিষয়।
আসলে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে গেলে, সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রথমে সচেতন করতে হবে পরিবারগুলোকে। এবং অভিভাবকদের। এরপর আস্তে আস্তে আমরা প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সমাজ থেকে শুরু করে, রাষ্ট্রের পর্যন্ত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।পরিবর্তনটা শুরু করতে হবে সচেতনতা তৈরি করতে হবে নিজের থেকে,,,,,♥♥
মাদকদ্রব্য নেশা আমাদের যুব সমাজের ক্ষতির কারণ।এটি আমাদের সমাজের প্রজন্মকে অনেক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। আমরা সবাই যদি একটু সচেতন হই তাহলে দেশে মাদকমুক্ত একটি যুবসমাজ গড়ে তুলতে পারব।আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো আড়াই কোটি মাদক ধ্বংস হওয়ায় জন্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।