রেসিপিঃকদবেল ভর্তা।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ১৫ই মাঘ,শীতকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

r1.jpg

r12.jpg

সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল ঝলমলে আকাশ। গ্রামীণ পরিবেশে রৌদ্রোজ্জ্বল সকালটা বেশ উপভোগ্য। নগর জীবনে যেটা উপভোগ করা সম্ভব হয় না। শীত বা বর্ষা গামে উপভোগের মজাই আলাদা। তবে বন্ধুরা, দিনে রোদ থাকলেও রাতে কিন্তু কনকনে শীত। যারা শীত উপভোগ করতে চান তাদের জন্য এখন গ্রাম বেস্ট জায়গা। তবে সেটা দেশের সর্ব উত্তরের জেলা গুলোর গ্রামীণ জনপদ হলে ভালো হয়। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে কদবেলের ভর্তা। বেশ অনেকদিন পর কদবেল ভর্তা খেলাম। ঢাকায় পাঁকা কত বেল পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা কাঁচা কদবেল , জোর করে পাকানো। আবার অনেক কদবেল ভিতরে ফাঙ্গাস পরা। তাই এখন আর কদবেল খাই না। রামসাগর ঘুরতে গিয়ে পাকা কদবেল পেলাম। বিক্রেতাকে বললাম ভেঙ্গে দিলে নিবো। বিক্রেতা রাজি হওয়াতে কিনে নিলাম কয়েক পিস। বাড়িতে এসে সেই কদবেলের ভর্তা করলাম। খেতে বেশ মজা লেগেছে পাঁকা ছিল বলে। কদবেল শরীরের জন্য বেশ উপকারি। কদবেলে যে খনিজ উপাদান আছে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবেই উপকারি। এছাড়া যকৃত ও হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারি। কদবেল রক্ত পরিস্কার করে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।কদবেলের ভর্তা তৈরি করতে কদবেল ও লবন সহ সামান্য উপকরণ ব্যবহার করেছি।আশাকরি, আমার উপস্থাপিত কদবেলের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

r9.jpg

r10.jpg

কদবেল-১পিস
লবন-পরিমাণ মতো
বিট লবন-পরিমাণ মতো
চিনি-পরিমাণ মতো
চিলিফ্লেক্স-প্রয়োজন অনুযায়ী
মরিচ গুড়াপরিমাণ মতো

ভর্তা তৈরির প্রনালী

ধাপ-১

r8.jpg

প্রথমে কদবেল খোসা থেকে চামচ দিয়ে বের করে একটি প্লেটে নিয়ে নিলাম।

ধাপ-২

r7.jpg

এবার তাতে পরিমান মতো লবন দিয়ে দিলাম।

ধাপ-৩

r6.jpg

এরপর দিয়ে দিলেম চিলি ফ্লেক্স ও মরিচ গুড়া। যার ছবি তোলা হয়নি।

ধাপ - ৪

r5.jpg

এরপর দিয়ে দিলেম পরিমাণ মতো বিট লবন। বিট লবন ব্যবহার করলে ভর্তার স্বাদ ভালো হয়।

ধাপ -৫

r4.jpg

পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে সকল কিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম, কদবেল এর শাস এর সাথে। কেউ চাইলে সরিষার তেল দিতে পারেন। কিন্তু কোন ফলের ভর্তায় সরিষার তেল দিলে আমার ভালো লাগে না। তাই দেইনি। আর এভাবেই বেশ সহজে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নিলাম কদবেলের মজাদার ভর্তা।

পরিবেশন

r11.jpg

r12.jpg

এবার একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।

আশাকরি, আজকের কদবেল ভর্তা তৈরির পদ্ধতিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণিরেসিপি
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৪ ইং
লোকেশনপার্বতীপুর,দিনাজপুর

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 3 months ago 

আসলে এমন লোভনীয় খাবার দেখলে খেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনার কদবেল ভর্তা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। খুবই অসাধারণ হয়েছে কদবেল ভর্তা। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। কদবেল ভর্তা আমার খুব পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আমারও বেশ পছন্দ কদবেল ভর্তা। তাই অনেকদিন পর পাঁকা কদবেল পেয়ে কিনে নিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Congratulations, your post was upvoted by @supportive.

 3 months ago 

আজ আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছেন। দেখে অনেক লোভ লাগছে কিন্তু খেতে পারছি না। এত লোভনীয় ভর্তা এভাবে দিলে হয়? বানিয়ে দাওয়াত দিবেন বাসায় চলে আসব। এবার এতটা কদবেল খাওয়া হয়নি। কি করে খাই বলুনতো? কিনে খেলে ঠকে যাই। অরিজিনাল পাকা না। তাই খেয়েও শান্তি পাই না। আপনার কদবেল ভর্তাটি দেখেই মনে হচ্ছে একদম অরজিনাল গাছপাকা।

 2 months ago 

অনেকদিন পর পাঁকা কদবেল খেলাম। বেশ মজা ছিল খেতে। ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

আপনার কদবেল ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আমাদের ও কদবেল গাছ রয়েছে তবে এখন শেষ হয়েছে। সত্যি বলেছেন আপু বর্তমান সব গুলো কাঁচা কদবেল পাকিয়ে বিক্রি করে। তবে আমাদের গাছের কদবেল গুলো অনেক মজা।আপনি নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

এবার যখন আপনাদের গাছে কদবেল হবে বলবেন। খেতে যাবো। পাকা কদবেল পাওয়া বেশ কঠিন। জি আপু অনেক মজা করে খেয়েছি।ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

ইস, আপু আপনার শেয়ার করা কদবেল ভর্তার রেসিপি দেখে আমার তো এখন ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে কদবেল মাখানো খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কদবেল মাখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু এরকম মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

অনেক মজা হয়েছিল আপু কদবেল ভর্তা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন কদবেল ভর্তা রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কদবেল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ভর্তা রেসিপি টি দেখে জিহ্বায় জল চলে এসেছে আপু। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে কদবেল ভর্তা রেসিপি টি তৈরি করেছেন।

 2 months ago 

একবার খেয়ে দেখবেন। খেতে বেশ মজা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 months ago 

কদবেল ভর্তা কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার এমন লোভনীয় রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে যত্ন সহকারে কদবেল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

অনেকদিন পর খেলাম। বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

Daily task

dt1.png

dt2.png

 3 months ago 

কদবেল আমার পছন্দের একটি খাবার। কদবেল ভর্তা দেখে তো জিভে জল চলে এলো আপু। কদবেল ভর্তার প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনি। মজাদার এই কদবেল ভর্তার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু দিনে রোদ রাতে কনকনে ঠান্ডা আর ঠান্ডা উপভোগ করার উত্তম জায়গা গ্রাম তবে আমার মনে হয় কেউ ঠান্ডা উপভোগ করতে চায় না।গ্রামে কদবেল পাকা মানে একদমই গাছপাকা পাওয়া যায় যা অনেক সুস্বাদু হয়।ফ্যাংগাস পড়া কদনেল কেন হয় জানেন কারণ ওগুলো অপরিপক্ক। আপনি যাকে কদবেল ভর্তা বলছেন আমরা মাখা বলি। আপনার কাদবেল মাখাটি খুবই লোভনীয় হয়েছে।দেখেই লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে কাদবে মাখানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

অনেক মজার ছিল কদবেলটি। অনেকদিন পর এমন মজার কদবেল খেলাম। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.24
JST 0.031
BTC 84648.55
ETH 1593.07
USDT 1.00
SBD 0.84