রেসিপিঃ কাউনের চালের মজাদার পায়েস।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

সবাইকে শুভেচ্ছা।

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ ১৯ই ভাদ্র, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৩ সেপ্টেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে কাউনের চালের মজাদার পায়েস। মজাদার এই রেসিপিটি আমার বেশ পছন্দের। তাই প্রতি বছর এই পায়েসটি আমি তৈরি করি।কাউন দেশের চরাঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। কাউনের চাল কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। আর তাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে । রেসিপিঃসেই সাথে কাউনের চালে থাকে ফাইবার কোস্টকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি।তার মানে শরীরের জন্য বেশ উপকারি কাউনের চাল। আজ কাউনের পায়েস তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি দুধ ও কাউনের চাল।এছাড়া অন্যান্য উপকরণতো আছেই। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের কাউনের চালের মজাদার পায়েস রেসিপিটি।আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

r15.jpg

রান্নার উপকরণ

r1.jpg

r2.jpg

r3.jpg

r4.jpg

r5.jpg

উপকরণপরিমাণ
দুধ১লিটার
গুড় দুধআধা কাপ
চিনিস্বাদ মতো
কাউনের চাল১০০ গ্রাম
এলাচ২টি
দারুচিনি২ টুকরো
পেস্তা বাদাম৪-৫টি
কাঠ বাদাম৭-৮টি
কিসমিস৭-৮টি
লবনস্বাদ মতো

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

r6.jpg

প্রথমে একটি হাড়িতে দুধ নিয়ে নিয়েছি। এরপর সেই দুধে দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। এতে একটা সুন্দর ঘ্রান হয়।কেউ চাইলে তেজপাতাও দিতে পারে ।কিন্তু আমার ভালো লাগে না তাই দেইনি।

ধাপ-২

r18.jpg

দুধটা দুই তিনবার ফুটে আসলে তাতে আগে থেকে ধুয়ে রাখা কাউন এর চাল দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৩

r8.jpg

এরপর স্বাদ মতো লবন দিয়ে দিয়েছি। মিষ্টি কোন নাস্তায় লবন দিলে স্বাদটা বেশ ভালো আসে। তাই সামান্য লবন দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৪

r12.jpg

এরপর স্বাদ মতো চিনি দিয়ে দিয়েছি। এবং কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৫

r7.jpg

r11.jpg

r14.jpg

r15.jpg

দুধ কিছুটা ঘন হয়ে আসলে তাতে গুড়া দুধ গুলে দিয়ে দিয়েছি। এতে করে নাস্তাটা খেতে বেশ মজা হয়। এরপর দুধ আরও কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। দুধ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি। একটি বাটিতে বেড়ে নিয়ে বাদাম ,কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।

পরিবেষণ

r16.jpg

r17.jpg

এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।

আশাকরি আজকের কাউনের চালের মজাদার পায়েস তৈরির রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে।আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে খেতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ক্যামেরাRedmi Note A5
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ৩ সেপ্টম্বর, ২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
 last year 

কাউনের চালে তো অনেক উপকারী উপাদান থাকে। কাউনের চাল দিয়ে মজাদার পায়েসের রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আপনি তুলে ধরেছেন এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটা ধাপ শেয়ার করেছেন। পরিশেষে ঘন হয়ে আসার পরে গুড়া দুধ দিয়ে যখন পরিবেশন করলেন তখন বেশি লোভনীয় লাগছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

গুড়ো দুধ পায়েসে ব্যবহার করলে খেতে বেশ মজা হয়। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়ে।

 last year 

কাউনের চালের মজাদার পায়েস দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে আপু । আসলে পায়েস আমার খুব পছন্দের। আপনার পায়েস তৈরি করা খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

যে কোন ধরনের পায়েস আমারও বেশ পছন্দ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপু অনেক অনেক দিন পর আপনার পোস্টে কাউনের চালের মজাদার পায়েস দেখে খুবই ভালো লাগলো। কেননা আমার মা সেই ছোটবেলায় খুব সুস্বাদু করে এই কাউনের চালের পায়েস রান্না করে আমাদেরকে খাওয়াতো। তবে বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই কাউনের চালের পায়েস আর খাওয়া হয়নি। তাই এতদিন পরে আপনার তৈরি কাউনের পায়েস দেখে লোভে পড়ে গেলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 last year 

আসলেই কাউনের চালের পায়েস খেতে বেশ মজা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপু আপনার কাউনের চালের পায়েস দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। কাউনের চালের নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। এই চাল দিয়ে এত মজাদার পায়েসের রেসিপি তৈরি করা যায় জানা ছিল না। আমিও একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনার উপস্থাপনা খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

কাউন চাল আমার খুবই ভালো লাগে আপু। আমি যখন গ্রামে ছিলাম তখন গ্রামের মধ্যে চালগুলো বিক্রি করতে যেত। তখন নিয়ে খুব ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া হত। কিন্তু শহরে আসার পর থেকে তেমন একটা খাওয়া হয় না বললেই চলে। অনেক দিন পরে আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। দুধ দিয়ে পায়েস রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়।

 last year 

জি আপু কাউনের চালের পায়েস খেতে বেশ মজা।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

পায়েস খেতে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু কখনো কাউনের চাল দিয়ে পায়েস তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার তৈরি কাউনের চাল দিয়ে তৈরি করা পায়েস দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার প্রায়েসের রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

পায়েশ আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তবে কাউনের চাউল দিয়ে পায়েস তৈরি করে কখন খাওয়া হয়নি। আপনার পায়েস গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুন্দর হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপু পায়েস অনেক মজার একটা খাবার।পায়েস অনেক রান্না করি তবে আপনার মতো কখনো কাউনের চালের পায়েস রান্না করি নি।আসলে আমাদের এদিকে কাউনের চাল তেমন পাওয়া যায় না। যাইহোক আপু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65725.56
ETH 2673.18
USDT 1.00
SBD 2.90