(এসো নিজে করি" সপ্তাহ- ৬ষ্ঠ দিন) চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা রেসিপি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। আজ ২৫ শে ফাল্গুণ। বসন্তকাল ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৯ মার্চ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি আমরা!ভুলে যাইনি সেই বিভিষিকাময় দিন গুলোর কথা!! করোনা ভাইরাস কিন্তু এখনো নির্মুল হয়নি। গতকাল একটা সংসাদ দেখলাম, এখনো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তের হার নাকি বাড়ছে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। সম্ভব হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করাই উত্তম। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগের DIY Event Week "এসো নিজে করি" সপ্তাহর প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করার জন্য আমার তৈরি চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা রেসিপি ব্লগটি উপস্থাপন করবো। ডিম সুপার ফুড সবাই জানেন। চিচিঙ্গা পুষ্টিগুণে ভরা একটি গরমকালীন সবজি।চিচিঙ্গা জ্বর,হজম সমস্যা,ফোঁড়া ও পেটের সমস্যায় বেশ কার্যকর। চিচিঙ্গায় ভিটামিন এ,,ই, পটাসিয়াম, ফসপরাস, জিঙ্ক,ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি আছে যা শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। গরমকালে শরীরকে আদ্র রাখতে চিচিঙ্গার জুরি মেলা ভার। পানির পরিমান বেশি থাকায় শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গরমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে যে পানি বের হয়, তা পূরন করতে চিচিঙ্গা বেশ বড় ভূমিকা পালন করে।তাই গরমকালে আমাদের খাদ্য তালিকায় চিচিঙ্গা থাকা বেশ জরুরি। আমার পছন্দের একটি ইউনিক রেসিপি। একদিন তৈরি করে খেলেই বুঝতে পারবেন কত মজার রেসিপিটি। অনেক কথা হলো, এখন চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা রেসিপিটি। আসুন তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চিচিঙ্গা | ২টি |
ডিম | ২টি |
কাঁচা মরিচ | স্বাদ মতো |
পিঁয়াজ | ২টি |
রসুন | ৫-৬কোয়া |
লবন | পরিমাণ মতো |
সরিষার তাল | ৪ টেঃ চামচ |
পিয়াজ কলি | ৬পিস |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে পিয়াজ ,কাঁচা মরিচ,পিয়াজ কলি ও রসুন কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
চিচঙ্গা ছিলে কুচি করে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
সামান্য লবন দিয়ে চিচিঙ্গা কুচি সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল দিয়ে। তেল গরম হয়ে এলে কাঁচা মরিচ,রসুন ও কিছুটা পিঁয়াজ ভেজে নিয়েছি.
ধাপ-৫
এবার একটি ব্লেন্ডার জারে সিদ্ধ চিচিঙ্গা,ভাজা কাঁচা মরিচ,রসুন পিয়াজ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ব্লেন্ড করা চিচিঙ্গার সাথে দু'টো ডিম,কিছুটা কাঁচা পিঁয়াজ ও পিয়াজ কলি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
পুনরায় চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ।তেল গরম হয়ে এলে তাতে চিচঙ্গার মিশ্রিণটি ঢেলে দিয়েছি। এবং পানি শুকিয়ে নিয়েছি। যখন মিশ্রণতি কড়াই থেকে ছেড়ে আসবে তখন বুঝতে হবে ভর্তাটি হয়ে এসেছে। তখন নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ৯ই মার্চ ,২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু এমন ভয়াবহ সময়ের কথা কি কখনো ভুলা যায়। সেই সময়টা কত মানুষ তাদের আপনজন হারিয়েছে আর কত মানুষ নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছে। এখনও তার কবল থেকে আমরা রক্ষা পাইনি। সত্যিই এটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। যাইহোক আপনি আজকে খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চিচিঙ্গা ও ডিম দিয়ে এভাবে ভর্তা বানানো যায় কখনো জানা ছিল না। ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি আর তা যা দিয়ে তৈরি করা হোক না কেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন। চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা বাহ্ দারুন। ডিমের ভর্তা খেয়েছি। তবে এভাবে কখনো খাইনি। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এভাবে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হবে। নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
এভাবে চিচিঙ্গা ডিম দিয়ে ভর্তা করলে খেতে বেশ মজা লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
চিচিঙ্গা ও ডিমের ভর্তা আগে কখনো খাওয়া হয়নি তবে মাঝে মাঝে চিচিঙ্গা ও ডিম ভাজি করে খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
জি আপু বেশ মজা এই ভর্তা খেতে। ধন্যবাদ আপু।
ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা রান্না করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপু।
যেকোনো ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। চিচিঙ্গা ডিম দিয়ে ভাজি করে খাওয়া হয়েছে। তবে এভাবে ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি । রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে ।দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব । মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু একদিন ট্রাই করবেন। আশাকরি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
নিউজটি সেদিন আমিও দেখেছিলাম। আসলে আমরা তো করোনা ভাইরাস এর কথা ভুলেই গিয়েছি। কেউ আর এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি না। এই ব্যাধি যেন আমাদের এর কাছে ভয়াবহ আকারে আবার ফেরত না আসে। যাই হোক আপু আপনার চিচিঙ্গা এবং ডিম দিয়ে ভর্তা রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল।আমি এই ভর্তা প্রায়ই করি।ধন্যবাদ আপু।
চিচিঙ্গা আমার বেশ পছন্দের সবজি। তবে এতদিন মিক্সড সবজিতে কিংবা ডিম-চিচিঙ্গা ভাজিই খেয়ে এসেছি৷ এভাবে ভর্তা করা শিখে নিলাম। এবছর বানানোর চেষ্টা করবো। আর চিচিঙ্গার যে এত গুণাবলি, তাও আজ আপনার পোষ্ট পড়ে যেন নতুন করে জানলাম আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি এই ভর্তা প্রায়ই করি।বেশ মজা লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপু।
আমিও এবার করবো অবশ্যই। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমরা করোনা মহামারীর কথা কখনোই ভুলবো না যেটা ভয়াবহ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে আছে। সেজন্য সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে । যাইহোক, আজকের চিচিঙ্গা ও ডিম দিয়ে দারুন ভর্তা রেসিপি করেছেন। আমার কাছে এই ধরনের ভর্তা রেসিপি পেতে খুবই ভালো লাগে। যেকোনো ধরনের ভর্তা আমার খুবই পছন্দের । আপনার ভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি অনেক পছন্দ হলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দারুন একটি ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আপু।আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন।আমি চিচিঙ্গা ভাজি ডিম দিয়ে করেছি।কিন্তু কখনো এভাবে ভর্তা খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম।আশাকরি একদিন করবো।ধন্যবাদ আপনাকে দারুন স্বাদের ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে করে একদিন খাবেন ।বেশ মজা লাগবে আশাকরি। ধন্যবাদ আপু।
ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। চিচিঙ্গা ভাজি এবং রান্না করে খাওয়া হয়নি অনেক। তবে আপনার মতো করে কখনো ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভর্তা খাওয়া হয়নি। তবে ভর্তা খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার তৈরি ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভর্তা খেতে নিশ্চয় অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই ভর্তা খেতে বেশ মজা।একদিন ট্রাই করবেন আশাকরি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।