লাইফ স্টাইলঃবঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘোরাঘুরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। মঙ্গলবার ১২ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা,ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর কবলে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল আজ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। উপকূলীয় অধিবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই লেখা যখন লিখছি, তখন রিমালের প্রভাবে ঢাকার তপ্ত আবহাওয়া শীতল হওয়া শুরু করে দিয়েছে।বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে। মাঝে মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। আশাকরি উপকূলের মানুষ প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি লাইফস্টাইল পোস্ট। এবারের লাইফস্টাইল পোস্টের বিষয় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘোরাঘুরি। গত মার্চ,২০২৪ এ চট্রগ্রাম থেকে আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা ঢাকায় আসলে তাদের নিয়ে সামরিক জাদুঘরে গিয়েছিলাম।আমার ঢাকার বাসা থেকে খুব দূরে নয়। মেট্রোরেলে ৬/৭ মিনিটের পথ। ভাইস্তা-ভাইস্তিকে নিয়ে বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত জাদুঘরটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। জাদুঘরটি ঢাকার বিজয় সরণিতে ১০ একর জায়গার উপর নির্মিত। জাদুঘর কমপ্লেক্স ঘিরে আছে আর্টগ্যালারি, মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, কফি শপ, রেস্টুরেন্ট আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা, ভার্চুয়াল অ্যাকুয়ারিয়াম সহ বাইরে অনিন্দ সুন্দর সুবিশাল পরিসর। পাশেই বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার,চন্দ্রিমা উদ্যান ও জাতীয় সংসদ ভবন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরির জন্য ঢাকার মধ্যে বেস্ট জায়গা মনে হয়েছে আমার কাছে। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর সপ্তাহে বুধবার বন্ধ। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা ও বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। ৫ বছরের নীচের বয়সের শিশুর প্রবেশ মূল্য ফ্রি।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী পরিচালিত। সামরিক বাহিনীর ইতিহাস,ঐতিহ্য,কর্মকান্ড ও সাফল্যগাঁথা মানুষের মাঝে তুলে ধরতেই জাদুঘরটি তৈরি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরটিতে সেনা,বিমান ও নৌ বাহিনীর ইতিহাস, কার্যক্রম চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, চার তলা বিশিষ্ট জাদুঘরটির প্রতিটি ফ্লোরে। এছাড়া প্রতি ফ্লোরে আছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। গতানুগতিক জাদুঘর নয়। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সর্বাধুনিক জাদুঘর এটি। পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা খুব এনজয় করেছে জাদুঘরটি ঘুরে।বিশেষ করে ভার্চুয়াল অ্যাকুরিয়াম ও অস্ত্রশস্ত্র ও তিন বাহিনীর পোশাক ছিল তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।এছাড়া গোলা-বারুদ,বন্দুক,রাইফেল,কামান,বোমা,যুদ্ধজাহাজ, বিমান প্রভৃতি দেখতে দেখতে ও ছবি তুলে এই ফ্লোর থেকে সেই ফ্লোর ছুটে বেড়িয়েছে। ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিকেলে গিয়েছিলাম। দেখতে দেখতে সময় শেষ। ৩ ঘন্টা সময় বাচ্চাদের নিয়ে পুরো জাদুঘরটি ঘোরাঘুরি সম্ভব হয়নি।জাদুঘর থেকে বের হয়ে তাদের নিয়ে নিহারিকা রেস্টুরেন্টে সান্ধ্যকালীন খাওয়া দাওয়া করে চলে আসি।যারা সেনাবাহিনীর ইতিহাস ও কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চান,তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ঘুরে আসা উচিত। বন্ধুরা,বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘোরাঘুরি আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। আজ নিরাপদ হোক উপকূলের মানুষ।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Samsung A10 |
তারিখ | ২৬ শে মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
https://x.com/selina_akh/status/1794729101548499048
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর সেখান থেকে অনেক কিছু ফটো ধারণ করে আমাদের দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে যেখানে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো আমার।
অনেক গোছানো জাদুঘরটি।তাই দেখতে বেশি সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই সামরিক যাদুঘর টি নতুনভাবে আধুনিক করে সাজানোর পর আমার যাওয়া হয় নি। আপনার পোষ্ট এর বিভিন্ন ছবি দেখে মনে হচ্ছে সবকিছুই যেন নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। আগে শুধুমাত্র বিভিন্ন সময়ের ছবি এবং সামরিক পোশাক দিয়ে সাজানো ছিলো। যাই হোক, পিচ্চিরা ৩ ঘন্টা ভালোই উপভোগ করেছে এই আধুনিক যাদুঘরে। তারপরে আবার খাওয়া-দাওয়াও হয়েছে! এখনকার বাচ্চারা এগুলো ভীষণ ইঞ্জয় করে।
জি আপু বেশ মজা করেছে পিচ্চিরা। অনেক গোছানো হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আগারগাও মেট্রো স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর একেবারে কাছে। আমি গিয়েছি এখানে। বেশ দারুণ জায়গা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্র বিভিন্ন তথ্য পাশাপাশি অনেক ভাস্কর্য অনেক থ্রিডি আর্ট সহ অনেক কিছু আছে। ঘুরে দেখার মতো একটা স্থান। যদিও আপনি খুব বেশি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন নি।
জ়ি ভাইয়া ঘুরে দেখার মতো সুন্দর একটি জায়গা। বেশ সুন্দর দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
চট্টগ্রাম থেকে ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা এসেছে তাই তাদের নিয়ে স্বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘোরাঘুরি করে বেশ আনন্দে সময় কাটলো। এখানে আমার ও যাওয়া হয়েছিল আপু।আমার কাছে ও খুব ভালো লেগেছিল।আপনারা ঘোরাঘুরি শেষ করে রেস্টুরেন্টে খেয়ে বাসায় চলে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু বেশ সুন্দর করেছে জাদুঘরটি । আর ওরাও বেশ আনন্দ করেছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দারুন কিছু সময় সেখানে কাটিয়েছিলেন। দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বেশ আনন্দ করেছি সবাই মিলে। অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।