রেসিপিঃ বেগুনের টক,ঝাল,মিস্টি আচার।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ১৭ই ফাল্গুন। বসন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৯ শে ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চেস্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ হাজির হয়েছি আচারের রেসিপি ব্লগ নিয়ে। সাধারনত আমরা বিভিন্ন ফলের আচার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি সব্জির আচার নিয়ে হাজির হয়েছি। আর তাহল বেগুনের আচার। টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদর এই আচারটি খেতে দারুন লাগে। পোলাউ,বিরিয়ানী,সাদা ভাত অথবা খিচুড়ি সব কিছুর সাথেই খেতে বেশ লাগে বেগুনের এই আচার। বেগুনের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার বেগুন, সিরকা,চিনি,মসলাসহ অন্যান্য উপকরণ। অনেক কথা হলো বন্ধুরা, আর কথা নয় ,চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের বেগুনের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপিটি। আসুন তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি, ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বেগুন | ১ পিস |
রসুন বাটা | ১ চাঃ চামচ |
সরিষা বাটা | ১ চা; চামচ |
চিনি | স্বাদ মতো |
হলুদ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
ধনে গুড় | ১/২ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
মরিচ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
সরিষার তেল | ১ কাপ |
সিরকা | ৩ টেঃ চামচ |
পাচ ফোড়ন | ১ টে; চাঃ |
তেজপাতা | ১-২টি |
তেতুলের কাদ | স্বাদ মতো |
সয়াবিন তেল | ১/২ কাপ |
এলাচ | দুটি |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে বেগুন কেটে ধুয়ে নিয়েছি বোটা সহ।এরপর সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-২
পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে নুন হলুদ দিয়ে মেখে রাখা বেগুনটি ভেজে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার পুনরায় চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে পরিমান মতো সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দিয়েছি। এরপর এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য সামান্য সিরকা ও তেতুলের কাদ দিয়ে দিয়েছি। এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর চিনি দিয়ে দিয়েছি ।এবং মশলার সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এরপর মশলায় আগে ভেজে নেয়া বেগুন দিয়ে দিয়ে।এবং মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ঢাকনা দিয়ে ৩-৪ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে নিয়েছি। সম্পূর্ন রান্নাটি আমি লো আচেঁ করেছি। তা না হলে বেগুনে মশলা ভালোভাবে ঢুকবে না। এবং বেগুনের আচারটি খেতেও ভালো লাগবে না।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
আশাকরি আজকের বেগুনের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে।পোলাউ,বিরিয়ানী,খিচুড়ী, গরম ভাতের সাথে খেতে আসাধারন লাগে। আমারতো বেশ লাগে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/selina_akh/status/1763184717669744701
আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটি ভিন্ন রকম রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেগুনের টক,ঝাল,মিস্টি আচারের রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আমি এর আগে কোনদিন বেগুনের এবং দেখিনি, তবে আমি আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেগুনের খুবই সুন্দর একটি আচার দেখতে পারলাম।
বেশ মজা খেতে এই বেগুনের আচার।একদিন ট্রাই করবেন। আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন আপু। বেগুন দিয়েছে এমন টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বিষয়টা প্রথমবারের মতো জানতে পারলাম।
বেগুনের এই আচার খেতে অসাধারন লাগে। একদিন বানিয়ে খাবেন । ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
এ জাতীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে কারণ এখানে টক ঝালের স্বাদ পাওয়া যায়। আপনি তো বেশি চমৎকারভাবে রান্নার কার্যক্রম করেছেন দেখছি। পাশাপাশে আপনার এই রেসিপির উপস্থাপনাটাও বেশি ভালো ছিল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
যে কোন ধরনের আচার আমার খুব পছন্দের। আসলে আচার খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে বেগুনের টক,ঝাল,মিস্টি আচার তৈরি করেছেন। আপনার আচার দেখে খেতে লোভ লেগে গেলো। আচার তৈরি প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে ধনে গুড়, জিরা গুড়া দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমিও বেশ পছন্দ করি আচার খেতে। তাই সব ধরনের আচার বানানোর চেস্টা করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আচারি বেগুন খেলেও কখনো বেগুনের আচার খাওয়া হয়নি আজ বেশ ইউনিক রেসিপি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। খিচুড়ির সাথে আচার খেলেও বাকি পোলাও বিরিয়ানি কিংবা সাদা ভাতের সাথে খাওয়া হয়না তবে আপনার তৈরি বেগুনের আচার দিয়ে নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজার হবে খেতে
বেগুনের এই আচারটি সব কিছুর সাথে বেশ লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু।
বেগুনের টক,ঝাল,মিস্টি আচার রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আমি কখনো বেগুনের আচার তৈরি খাই নাই। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে বেগুনের টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। তবে আচার দিয়ে বিরিয়ানি ,পোলাও এবং সাদা ভাত খেতে খুব মজা লাগে। রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদিন ট্রাই করবেন। আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।