রেসিপিঃগোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার।
শুভেচ্ছা সবাইকে ।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় সবাই ভালো থাকেন। আজ ৮ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। নতুন নতুন রেসিপি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝেই নতুন রেসিপি তৈরি করি। আজ আমি একটি আচারের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।এখন বাজারে প্রচুর আমRa পাওয়া যাচ্ছে। আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সি ভিটামিন যা আমদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমরা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরনে সহায়তা করে। আমড়া কাঁচা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই আমড়ার আচার খেতেও বেশ মজা। আজ আমি সেই আমড়ার আচার তৈরি করেছি। সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। টক,ঝাল,মিষ্টি স্বাদের আমড়ার এই আচারটি খেতে বেশ মজা ।আমার কাছেতো বেশ মজা লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। আমড়ার এই সিজনে একদিন বানিয়ে দেখতে পারেন এই আচারটি। এই রেসিপিটি তৈরি করতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি আমড়া ও বিভিন্ন ধরনের মশলা সহ আরও কিছু উপকরণ। যা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। বন্ধুরা, আশাকরি গোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিষ্টি আচার এর রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আমড়া | ৬পিস |
আদা বাটা | আধা চাঃ চামচ |
রসুন | ৩-৫ কোয়া |
হলুদ গুড়া | ১/২চাঃ চামচ |
মরিচ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
সরিষা বাটা | ১/২ চাঃ চামচ |
পাচ ফোড়ন | ১/২ চাঃ চামচ |
গোটা শুকনা মরিচ | ৩পিস |
সিরকা | ১/২ কাপ |
বিট লবন | ১/২ চাঃ চামচ |
দারুচিনি | ১ইঞ্চি |
তেজপাতা | ২টি |
লবন | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | ৪ টেঃ চামচ |
চিনি | স্বাদ মতো |
আমড়ার গোটা আচার তৈরির প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে আমড়াগুলো ছিলে নিয়েছি।এবং ছুড়ি দিয়ে কয়েকটি করে দাগ টেনে নিয়েছি। যাতে আমড়ার মধ্যে সকল মশলা ভালোভাবে ঢুকতে পারে।
ধাপ-২
এবার কেটে নেয়া আমড়ায় সামান্য মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে মেখে নিয়েছি। এভাবে ১ ঘন্টা রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার আমড়ার আচার বানানোর জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পাঁচ ফোড়ন ও শুকনা মরিচ চিরে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর তাতে দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এবং রসুন কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছি। কিছুটা ভেজে নিয়ে লবন ও মরিচ মাখা আমড়া গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার আমড়ায় হলুদ গুড়া, আদা বাটা,সরিষা বাটা,বিট লবন দিয়ে সব কিছু ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
আমড়াগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সকল কিছু আবারও ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবন কড়াই এ ঢাকনা দিয়ে ১০ -১২ মিনিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
আমড়াগুলো কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে পরিমান মতো চিনি ওসিরকা দিয়ে আরও ৫-৬ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। যখন আমড়াগুলো পানি শুকিয়ে আঠালো ভাব চলে আসবে তখন সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই বানিয়ে নিলাম গোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার।
উপস্থাপন
এবার একটি বাটিয়ে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।আমড়ার এই আচারটি ফ্রিজ ছাড়াও বাহিরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে এয়ার টাইড বোয়ামে রাখতে হবে।
আশাকরি,আজকের গোটা আমড়ার টক-ঝাল মিস্টি আচারের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ব্লগ এখনেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার ও আকর্ষণীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।রেসিপির পরিবেশনটা দেখেই শিখে নিলাম।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা এই আমড়ার আচার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://x.com/selina_akh/status/1849462651942056440
বেশ কিছুদিন পর গতকাল আমড়া খেতে পেরেছি। আর আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে তার এই রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আশা করি টক ঝাল এই সুন্দর রেসিপি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটা আমাদের সব সময় খাওয়া প্রয়োজন।
জি ভাইয়া আমাদের প্রতিদিন সি ভিটামিন খাওয়া দরকার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমড়ার আচার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে টক মিষ্টি ঝাল আচারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে আচার তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই লোভনীয় লাগছে।
বেশ খেতে এই আমড়ার আচার। এই সিজনে একদিন বানিয়ে দেখতে পারেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমড়ার আচার আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে গোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা আমড়ার টক ঝাল মিষ্টি আচার রেসিপি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার তৈরি করা আচারের রেসিপি টি দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
আমারও বেশ ভালো লেগেছে এই আচারটি। আর টক মিষ্টি আচার খেতে বেশ মজা লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা কাঁচা খেতে যেমন সুস্বাদু আচার খেতেও তেমন ভালো ।আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপু আমড়ার টক ঝাল আচার দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু আমড়া এভাবে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এমন আচার দেখলেই মুখে জল চলে আসে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমরা জানি আমড়ায় অনেক পুষ্টি। আপনার পোস্টেও সে পুষ্টি গুণের কথা জানতে পেলাম।আমরা খুব লোভনীয় টক স্বাদের ফল।নানান ভাবে এই আমড়া খাওয়া যায়।আপনি গোটা আমড়ার চমৎকার সুন্দর টক রেসিপি করেছেন যা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে আমড়ার টক রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু আমড়া রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জ়ি আপু আমড়া অনেক পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফল। তাই আমড়ার সিজনে বেশি বেশি এই ফল খাওয়া দরকার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আচারের রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল এসে গেল। আজকে আপনি আমড়ার মজার রেসিপি করেছেন। তবে আচার দিয়ে ভাত খেতে বেশ মজা লাগে।আমড়ার টক ঝাল রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এই আচার দিয়ে ভাত ,খিচুরি খেতে বেশ মজা লাগে। আবার শুধু খেতেও ভালো লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে তার জন্য আমড়া খাওয়া আমাদের খুবই প্রয়োজন। আপনি আজ আমড়া দিয়ে খুবই লোভনীয় একটি আচার তৈরি করেছেন। আপু আপনার এমন আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো। এভাবে আমড়া দিয়ে কখনো আচার তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে আমড়া আচার শিখে নিলাম। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করে দেখব। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু জিভে জল চলে আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এই সিজনে একদিন বানিয়ে দেখবেন। খেতে বেশ ভালো লাগবে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।