রেসিপিঃ মিস্টি কুমড়ার মজাদার ভর্তা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এইপ্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি ভর্তার রেসিপি নিয়ে। আর তাহলো মিস্টি কুমড়ার ভর্তা। এখন বাজার প্রচুর পরিমাণে মিস্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভাজি ,সব্জি ছাড়াও ভর্তা করে খেতে পারি এই মিস্টি কুমড়া।মিস্টি কুমড়ায় রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি,ভিটামিন এ। যা আমাদের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।তাছাড়া পাকা মিস্টি কুমড়াও বিচিও বেশ উপকারী আমাদের শরীরের জন্য।মিস্টি কুমড়া আমার বেশ প্রিয়। তাই বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করি। তেমনই একটি রেসিপি হলো মিস্টি কুমড়া ভর্তা। এই প্রিয় রেসিপিটি তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি মিস্টি কুমড়া।তাছাড়া আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। আর কিভাবে এই মিস্টি কুমড়ার ভর্তা তৈরি করলাম চলুন তা জেনে নেই। আশাকরি,মিস্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপিটি আমাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরমাণ |
---|---|
মিস্টি কুমড়া | ২০০ গ্রাম |
পিয়াজ | ২টি |
রসুন | ৩ কোয়া |
শুকনা মরিচ | ৩-৪টি |
সরিষার তেল | ১ টেঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
মিস্টি কুমড়া তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে মিস্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিয়েছি।
ধাপ-২
মিস্টি কুমড়ার টুকরাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে একটি প্রেসার কুকারে নিয়ে নিয়েছি। তাতে সামান্য পানি দিয়ে প্রেসার কুকার চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। একটি সিটি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে। তেল গরম হলে তাতে শুকনো মরিচগুলো ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
পিয়াজ,রসুন কেটে নিয়েছি। এবং ভাজা মরিচ লবন দিয়ে হাত দিয়ে গুড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
সিদ্ধ মিস্টি কুমড়ার সাথে পিঁয়াজ,রসুন ,শুকনো মরিচ ও পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মেখে বানিয়ে নিয়েছি মজাদার মিস্টি কুমড়া ভর্তা। কেউ চাইলে ধনেপাতাও দিতে পারেন। আমার ছিলনা ।তাই ব্যবহার করিনি।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের মিস্টি কুমড়ার ভর্তার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ২৩শে মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন ভাবে মিষ্টি কুমড়ার মজাদার ভর্তা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে এই রেসিপি আজকে আমি প্রথম দেখতে পেলাম। তবে মিষ্টি কুমড়া ঘন্ট রেসিপি খেয়েছি। মিষ্টি কুমড়া আমার বেশ প্রিয় একটি রেসিপি। চেষ্টা করব নতুন পদ্ধতিতে এই রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
একদিন মিস্টি কুমড়া ভর্তা করে খাবেন। আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
https://x.com/selina_akh/status/1793645482763583718
বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেয়েছি কিন্তু কোনদিন মিষ্টি কুমড়া ভর্তা খাইনি ।ঠিক বলেছেন আপু বাজারে এখন প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে। আপনি মিষ্টি কুমড়া ব্যবহার করে অনেক সুন্দরভাবে মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা তৈরি করেছেন ।দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন মিস্টি কুমড়া ভর্তা করে খাবেন ।আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি কুমড়া খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। এভাবে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করলে খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আপু আপনি এত সুন্দর করে এই ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। এছাড়া গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু এখন বাজারে অনেক মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে মিষ্টি কুমড়া অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সময় করে একদিন বানিয়ে খাবেন। আশাকরি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার মিষ্টি কুমড়ো সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে দেখে। চমৎকার ভাবে আপনি মিষ্টি কুমড়ো রেসিপি বানিয়ে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আমার সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল এই মিষ্টি কুমড়া রেসিপি।
জি আপু বেশ মজা হয়েছিল। আমি প্রায়ই করি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটি রেসিপি করেছেন আপু আজ আমার আম্মু দেখলাম এটা করেছে খেতে খুবই দারুন লাগলো ঝাল এবং পেয়াজ বেশি করে দিয়েছিলো তাই বেশি ভালো লাগছিলো।সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে মিষ্টি কুমড়ার প্রতিটা রেসিপি আমার অনেক বেশি প্রিয়। আর মিষ্টি কুমড়ো সেদ্ধ করে সেই সেদ্ধ কুমড়া যখন মাখানো হয় তখন তার স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যাইহোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে আজকে আমাদের মাঝে কুমড়ো মাখার প্রতিটা পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ভর্তার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও পছন্দ মিস্টি কুমড়ার ভর্তা ।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি কুমড়া আমার খুব পছন্দের। মিস্টি কুমড়ার মজাদার ভর্তা তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ভর্তা তৈরি প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। শুকনা মরিচ এবং সরিষার তেল দেওয়াতে খেতে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।