আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৭"-মিকি মাউস আদলে ঘুড়ি তৈরি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন?এই গরমে সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আজ ১৭ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল,১৪৩১বঙ্গাব্দ। ৩০শেএপ্রিল,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
কারো সাথে এখন দেখা বা ফোনে কথা হলেই একটাই জিজ্ঞাসা এই মরার গরম আর কতদিন! একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে চলছে তাপমাত্রা। এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্র আজ রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩.৮ ডির্গ্রী সেলসিয়াস। গরমে সারা দেশেই জনজীবন স্থবির। ২য় বারের মত বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রচন্ড গরম এখন নীরব ঘাতক। বন্ধুরা, তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন শুধু আমাদের স্থবির হয়নি, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থাও আমাদের মত বা তার চেয়েও খারাপ। মিয়ানমারে ৪৮ ডিগ্রী পেরিয়ে গেছে তাপমাত্রা চিন্তা করা যায়। মিয়ানমার, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ভারতের উপর দিয়ে আমাদের দেশের মতই তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা আজও আশার কথা শুনিয়েছে ২রা মে থেকে বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা কমতে পারে। আমাদেরও আশায় বুক বাধা ছাড়া আপাতত উপায় কি!!
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি, ABB Contest-57 তে অংশগ্রহণের জন্য। আজ একটি পছন্দের ঘুড়িতৈরি ও ঘুড়ি তৈরির পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতা মানেই দারুণ কিছু। এবারের বিষয় দেখার পর থেকেই আমি স্মৃতিকাতর। ছোট বেলার ঘুড়ি তৈরি ও আকাশে উড়ানোর কত স্মৃতি। স্কুল থেকে ফিরে বন্ধুরা মিলে ঘুড়ি উড়িয়ে কত সময় কাটিয়েছি! আমরা ব্যবহার করা খাতার কাগজ কেটে ঘুড়ি বানাতাম। সুতা লাগিয়ে ঘুড়ি না উড়ালেও সুতা ধরে দৌড়াতাম। আহা সেই দিন গুলি। মিকি মাউস আদলে আমি আজকের ঘুড়ি বানিয়েছি প্রতিযোগিতার জন্য। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি রঙ্গিন টিসু পেপার, কাঠিসহ অন্যান্য উপকরণ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১।দু'রং এর টিসু কাগজ
২।কাঁচি
৩।গাম
৪।লাল ও কালো রং সাইন পেন
৫।ঝাড়ুর শলা
৬।সুঁই
৭।সুতা
৮।স্কচ টেপ
৯।পেন্সিল
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে মেজেন্ডা রং এর কাগজে মিকি মাউসের মুখ এঁকে নিয়েছি ঘুড়ি বানানোর জন্য।এবং দাগ বরাবর কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার মিকি মাউসের চোখ মুখ আঁকার জন্য হলুদ রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার কেটে নেয়া মেজন্ডা রং এর কাগজের উপর হলুদ রং এর কাগজ গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।ছবির মতো করে।
ধাপ-৪
এবার মিকি মাউসের চোখ মুখ এঁকে নিয়েছি এবং কালো ও লাল রং এর সাইন পেন দিয়ে রং করে নিয়েছি যাতে সুন্দর লাগে।
ধাপ-৫
এবার ঘুড়িটির মাঝখানে লম্বালম্বি ভাবে একটি কাঠি স্কচ টেপ দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। মিকিমাউসের কান যাতে সোজা থাকে,তার জন্য দু'টো কাঠি কোনাকুনি ভাবে স্কচ টেপ লাগিয়ে নিয়েছি। এবার চাঁদ শেপ করে আরেকটি কাঠি স্কচ টেপ দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার সুঁই এ সুতা পরিয়ে লম্বালম্বি করে লাগানো কাঠি চাঁদ শেপের কাঠি যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে বেঁধে নিয়েছি। এবং আরেকটি ৯ইঞ্চি নিচে বেঁধে নিয়েছি। এবা্র সুতার দু' মাথাটি গিট দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার ঘুড়ির লেজ তৈরি করার জন্য মেজেন্ডা ও হলুদ রং এর কাগজ বো শেপ করে কেটে নিয়েছি। এরপর চিকন করে মেজেন্ডা রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি। সেই চিকন কাগজটিতে পরপর বো শেপের কাগজগুলো মেজেন্ডা হলুদ ক্রমান্বয়ে লাগিয়ে ঘুড়ির লেজ বানিয়ে নিয়েছি। এবার লেজটি ঘুড়ির সাথে স্কচ টেপ দিয়ে লাগিয়ে ঘুড়ি বানানো শেষ করেছি।
উপস্থাপন
আশাকরি আমার বানানো মিকি মাউস আদলের ঘুড়িটি ভালো লেগেছে আপনাদের। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারি সকল বন্ধুর জন্য আগাম শুভ কামনা। এই গরমে সবাই নিরাপদে ও সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করি। আজ আমার ঘুড়ি বানানোর ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | প্রতিযোগিতা |
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
মিকি মাউস আদলে ঘুড়িটা দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে। প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। কাগজের কালার কম্বিনেশনটি বেশ সুন্দর ছিল। আপনি যদি উড়িয়ে একটু দেখাতেন তাহলে পোস্টটা আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠতো।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঢাকা শহরে উড়ানোর জায়গা কই ভাই? তবে উপদেশ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানতে চাই আপু। আপনি মিকি মাউস এর মুখের আদলে ঘুড়ি তৈরি করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। এই ঘুড়িটা যদি আকাশে উড়ানো যায় তাহলে দেখতে খুবই দারুণ লাগবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি বেশ চমৎকারভাবে ঘুড়িটি তৈরি করেছেন ও আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি নতুন ডিজাইন এর ঘুড়ি বানিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপনি মাউস আদলে অনেক সুন্দর একটা ঘুড়ি তৈরি করেছেন এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে। যেটা দেখে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। ঘুড়িটাকে দেখতে কিন্তু অনেক বেশি কিউট লাগতেছে। মুখের ইমোজিটা আপনি অনেক সুন্দর করে অঙ্কন করেছেন, যেটা দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হলাম। গোলাপি এবং হলুদ কালার হওয়াতে বেশি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এটা। আপনার তৈরি করা ঘুড়ি দেখে সত্যি ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে অনেক বেশি।
আমার বানানো ঘুড়ি আপনার কাছে ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মিকি মাউস আদলে ঘুড়ি তৈরি দেখতে তো কিউট লাগতেছে আপু। লেজ অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন। এজন্য দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগতেছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো ❣️
ঠিক বলেছেন সুন্দর লেজ দেয়াতে ঘুড়িটা দেখতে বেশি সুন্দর লাগছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই ইউনিক একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। এই ধরনের ঘুড়ি এর আগে কখনো দেখা হয়নি। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মিকি মাউস আদলে ঘুড়ি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক একটি ঘুড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি ভিন্ন ধরনের ঘুড়ি তৈরি করার চেস্টা করেছি।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই তাপমাত্রায় টিকে থাকা অনেক মুশকিল। তবুও ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। যাইহোক আপু মিকি মাউস ঘুড়ি দারুন হয়েছে। ভিন্ন ধরনের একটি ঘুড়ি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
জি আপু এই গরমে নিজেকে ভালো রাখাটাই জরুরী। যাইহোক আমার বানানো ঘুড়ি আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।