রেসিপিঃ মজাদার পটল ভাজা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ ২৯ আষাঢ়, বর্ষাকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৩ জুলাই,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে পটল ভাজা মজাদার রেসিপি।পটল গরমের সব্জি। পটল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।পটলে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। পটল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনেও সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও পটল বেশ কার্য্যকর একটি সব্জি। পটল বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়,ভাজি,সব্জি,দোলমা ও আরও অনেকভাবে। আমি আজ একটু অন্যরকম ভাবে পটল ভাজা রেসিপিটি করেছি। এই পটল ভাজা ভাত,খিচুরী ও পোলাউ এর সাথে যেমন খাওয়া যাবে,তেমনি বিকালের নাস্তাতে বেশ মজাদার একটি তেলে ভাজা । এই রেসিপিটি তৈরি করতে মেইন উপকরণ হিসেবে পটল ,বেসন ও চালের গুড়া ব্যবহার করেছি। এছাড়া অন্যান্য উপকরণ তো আছেই, যা বিস্তারিত পোস্টে উল্লেখ আছে। বন্ধুরা, আজ আর কথা নয় চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের পটল ভাজার মজাদার রেসিপি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
রান্নার উপকরণ
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| পটল | ৪টি\ |
| বেসন | ৪ টেঃ চামচ |
| চালের গুড়া | ৪ টেঃ চামচ |
| হলুদ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
| ধনে গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
| জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
| আদা বাটা | ১/২ চাঃ চামচ |
| লবন | পরিমাণ মত |
| মরিচ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
| তেল | ২কাপ |
| চিনি | ১ চাঃ চামচ |
| কালো জিরা | ১ চাঃ চামচ |
রন্ধণ প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে পটলের খোসা ছিলে ছবির মতো করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
কেটে নেয়া পটল সামান্য হলুদ গুড়া,মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর একটি বাটিতে বেসন,চালের গুড়া,কালো জিরা ও লবন নিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার সকল মশলা দিয়ে চালের গুড়া ও বেসন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাঝারী ধরনের একটা ব্যাটার তৈরী করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার মেখে রাখা পটল একটি একটি করে তৈরী করা ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে মিডিয়াম আঁচে উভয় পিঠ বাদামী করে ভেজে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো পটল বাদামী করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে টমেটর সসের সাথে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের পটল ভাজার মজাদার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | রেসিপি |
|---|---|
| ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
| পোস্ট তৈরি | @selina75 |
| তারিখ | ১৩ জুলাই, ২০২৩ |
| লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
পটল ভাজা এমনিতেই খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার পটল ভাজার রেসিপিটা একেবারে ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া পটল যেভাবে কেটে নিয়েছেন এর কারণে বোঝাই যাচ্ছে খেতে আরও বেশি মজাদার হয়েছিল। রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং কালারও বেশি লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ চমৎকার রেসিপি করলেন আপু আপনি পটল ভাজা দেখতে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। ঠিক বলছেন এমন পটল ভাজা পোলাও কিংবা খিচুড়ির সাথে খেতে দারুন হবে। আপনি তো বেশ মজার করে ফ্রাই করলেন পটল গুলো বিকালের নাস্তায় অনেক ভালো লাগবে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
খিচুড়ি কিংবা ভাতের সাথে গরম গরম পটল ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি এত সুন্দর করে পটল ভাজা করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন। পটল ভাজার খুবই লোভনীয় একটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একটু অন্য রকমভাবে বানালে সাধারন খাবার ও বেশ মজা লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
পটল রান্না করে খাওয়ার চেয়ে এভাবে ভেজে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। দেখেই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। পরিবেশনটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সুস্বাদু ও লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
পটল ভাজি আমার খুবই প্রিয়। আর এই পটল ভাজি খেতে খুবই মজা লাগে। গরম ভাতের সাথে খেতে বেশি ভালো লাগবে। আপনার রেসিপি দেখে খেতে তাই ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এইভাবে কখনো পটল ভাজা খাওয়া হয়নি। খুবই সুন্দর লেগেছে রেসিপিটি। আমি অবশ্যই একবার ট্রাই করবো। খুব সহজ পদ্ধতিতে পটল ভাজা করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু ।
জি আপু ট্রাই করবেন একদিন। ভালো লাগবে আশাকরি।ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। পটল ভাজার এরকম মজাদার রেসিপি দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। অনেক বেশি সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা দেখতে। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে আমার তো ইচ্ছে করে খেয়ে নিতে। এই রেসিপিটা কি কখনো খাওয়া হয়নি, তাই ভাবছি একবার তৈরি করবো।
জি আপু তৈরি করবেন একদিন।ভালো লাগবে আশাকরি।অনেক ধন্যবাদ আপু।
দারুন মজার মুচমুচে পটল ভাজা রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আমিও পটল ভাজাটাই খুব পছন্দ করি।এমনিতে খুব একটা পটল ভালো লাগে না।আপনার রেসিপি খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মজার এই পটল ভাজা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।