আসসালামু আলাইকুম।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলে অনেক ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে নাটক রিভিউ শেয়ার করব।আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটার নাম হচ্ছে কাক্কু। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে |
নাটক | কাক্কু |
পরিচালক | জুয়েল হাসান |
চিত্রগ্রহণ | সোহাগ শরীফ |
সম্পদনা | বিশ্বজিৎ সরকার লিটন |
অভিনয়ে | আখম হাসান,ফারজানা রিক্তা,জুয়েল হাসান সহ আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ। |
ধরন | কমেডি ,শিক্ষা মূলক। |
দৈর্ঘ্য | ৩৭ মিনিট। |
রিভিউ | @selimreza1 |
আখম হাসান নাটক এ মজিদ গাছি নামে একজন বয়স্ক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকের শুরুতে দেখা যায় আখম হাসান তার গ্রামের একজন ভাতিজা জুয়েলকে নিয়ে পাত্রী দেখতে গিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার পর পাত্রী পক্ষের লোকজন ভেবেছিল।পাত্র জুয়েল হাসান কিন্তু যখন শুনে পাত্র আখম হাসান তখন পাত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন অপমান মূলক কথা বলে এবং শেষে আখম হাসানকে ধর্মের আব্বা বলে। তারপর সেখান থেকে চলে আসে। |
জুয়েল হাসান টুকটুকি নামের একটি মেয়েকে খুব পছন্দ করে কিন্তু যখন বুঝতে পারে তার সাথে এই সম্পর্ক সম্ভব নয়।তখন জুয়েল হাসান আখম হাসান কে বিভিন্ন বুদ্ধি দিয়ে টুকটুকির সাথে প্রেম করার এবং বিয়ে করার জন্য উসকে দেয়। তারপর আখম হাসান তার কথা শুনে তার পোশাক-আশাক পরিবর্তন করে ফেলে।লাল রংএর গেন্জি প্যান্ট পড়ে,চোখে চশমা পড়ে, কোমরের বেল্ট পড়ে। এই পোষাক পড়ে রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় একজন সাইকেল চালক একটি পুকুরে পড়ে যায়। তার এই অদ্ভূত পোশাক দেখে অবাক হয়ে যায় অনেকে। এরপর টুকটুকির সাথে দেখা হয়। টুকটুকিকে সে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। টুকটুকি তার ব্যাপারটা হাস্যকর ভাবে উড়িয়ে দেয় এবং তার পোশাক-আশাক নিয়ে অনেক কথা বলে। |
আ খ ম হাসান হাল ছেড়ে না দিয়ে টুকটুকির মার কাছে যায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। টুকটুকির মা ব্যাপারটা সিরিয়াসলি না নিয়ে বলে তোমার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাই না। টুকটুকির মা টুকটুকির কাছে বলে আখম হাসান এসেছিল তোর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। টুকটুকি বলে সকালে আমার সাথে দেখা হয়েছিল সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। তারপর টুকটুকির মা বলে এই ব্যাপারটা নিয়ে তোর চাচার সাথে কথা বলতে হবে। |
পরেরদিন টুকটুকির সাথে আখম হাসানের দেখা হয় সেখানে টুকটুকি সরাসরি বলে দেয় আপনার আর আমার ব্যাপারটা কখনোই সম্ভব না। তারপর আ খ ম হাসান অনেকটাই ভেঙে পড়ে। আ খ ম হাসানের ভাতিজা এসে বলে আপনি কচি কচি মেয়ে না খুঁজে বিধবা বা পঞ্চাশোর্ধ মহিলা খুঁজে বিয়ে করে নেন। এই কথা শোনার পর আ খ ম হাসান তাকে জুতা দিয়ে মারতে চায়। |
এরপর আখম হাসান আবার টুকটুকির মার কাছে গিয়ে আবার বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার মা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সেই সময় আখম হাসান একটি গান ধরে। গান শেষ করে আ খ ম হাসান বাড়ি চলে যায়। এদিকে রাতে একজন ব্যক্তি আসে আখম হাসানের কাছে তিনি হচ্ছেন টুকটুকির সাথে যে ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে,সেই ছেলের বাবা। সে আখম হাসান কে বলে তুমি ইদানিং টুকটুকিকে রাস্তাঘাটে খুব ডিস্টার্ব করতেছো। এসব বলে আর অপমান করে। হাঁটুর বয়সী একটা মেয়ের পিছনে ঘুরঘুর করেতে তোমার লজ্জা করে না। তারপর বলে আমার ছেলে দুবাই থাকে,টুকটুকি সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। দুবাই থেকে আসলেই বিয়ে হবে। |
তার পরের দিন আখম হাসান টুকটুকিদের বাড়িতে যায়।সেখানে গিয়ে বলে আজকে আমি ক্ষমা চাইতে এসেছি।জানি আমি অনেক অন্যায় করেছি। আখম হাসান বলে অনেক ছোটবেলায় আমার বাবা মারা যায়।আমরা চার ভাই বোন ছিলাম।এক বছর পর আমার মা মারা যায়। ছোট ৩টা বোনকে নিয়ে খুব অসহায় হয়ে পড়ি। তাদের লেখাপড়া দায়িত্ব, দেখাশোনা করা এবং বিয়ে দেওয়া। এসব দায়িত্ব পালন করতে করতে আমার বয়স কখনযে বেরে গেছে বুঝতেই পারিনি। এখন ভাবলাম আমার একটা বিয়ে করা দরকার কিন্তু কেউ মেয়ে দিতে চায় না। শেষে টুকটুকির মা কে বলে আমি কি সারা জীবনে একাই থাকবো। |
আমাদের সমাজে এরকমও আছে। তাদের ছোট ভাইবোনদের বা পরিবারের দায়িত্ব নিতে যেয়ে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে থাকে। যখন তারা নিজেদের সুখের কথা চিন্তা করে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।তখন আমরা সমাজের মানুষরা অনেক অবহেলা করি।
নাটকটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। নাটক কমেডি ধাঁচের হলেও শেষদিকে অনেক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে যেটা দেখে আমার অনেক কষ্ট লেগেছে। আমাদের সমাজ ত্যাগী মানুষের মূল্যায়ন করতে জানেনা।
এই নাটকটি আমি দেখেছি। নাটকের দৃশ্যপট খুবই ভালো লেগেছে আমার। নাটক দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। সত্যি নাটকের চরিত্রগুলো খুবই অসাধারণ। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এই নাটকটি আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি। অনেক মজার একটি নাটক বিশেষ করে এ নাটকের গানটি আমার বেশ মজা লেগেছে। এবং প্রচন্ড হাসি পেয়েছিল প্রথমবার যখন গানটা শুনেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
কাক্কু নাটকটি আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি অনেক মজার নাটক। এই নাটকটি মজার নাটক হলেও নাটকটি একটি শিক্ষা মুলক নাটক। সমাজে অনেক দেখা যায় যে পরিবারের বড় ছেলেরা ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়া বিয়ে দিতে গিয়ে নিজের বিয়ের কথাই মনে থাকেনা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া নাটকটি রিভিউ করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
সত্যিই খুব এনজয় করলাম পুরো নাটকটি।
আসলে আমাদের সমাজের অবস্থা হলো এই।
কিন্তু উন্নত বিশ্বে তার অবস্থান এবং মন মানসিকতা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যাক গল্পের শিক্ষা যথেষ্ঠ ভালো ছিল।
শুভ কামনা রইলো তোমার জন্য এগিয়ে যাও ✨
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তোমার জন্য শুভ কামনা রইল
নাটকটি আমি দেখেছি তারপরও আপনার রিভিউটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকের গানটি সত্যি অনেক জোস লাগে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।