||গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালা||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
গরমের সময় ঠান্ডা জাতীয় খাবার আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতেই ফ্রিজ রয়েছে। একটা সময় গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।কারো বাড়িতে ফ্রিজ ছিল না। আমাদের গরম লাগলে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা পানি অথবা ঠান্ডা জাতীয় কোন খাবার খাই ক্লান্তি দূর করার জন্য। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম, তখন গরমের সময় ঠান্ডা জাতীয় খাবার খুঁজতাম কিন্তু কোথাও পাওয়া যেত না। মাঝে মাঝে আইসক্রিমওয়ালারা আসতো আইসক্রিম বিক্রি করার জন্য।
বর্তমানে যেরকম ভ্যানে বা বিভিন্ন গাড়িতে করে আইসক্রিম বিক্রি করে তখন এরকম ছিল না। তখন দেখতাম কাঁধে করে আইসক্রিমের বাক্স নিয়ে আসতো আর মাঝে মাঝে বসে ঢাকনা দিয়ে শব্দ করত। সেই শব্দ শুনে সবাই আইসক্রিম কিনতে চলে আসতো। সে সময় টাকা দিয়ে আইসক্রিম কিনার প্রবণতা কম ছিল। ধানের বিনিময়ে আইসক্রিম নিতেন বেশি। তখন আইসক্রিমের দাম ছিল 50 পয়সা, ভালোটা এক টাকা। আইসক্রিমের মান তেমন একটা ভালো না থাকলেও বর্তমানের চাইতে অনেক ভালো ছিল।
আইসক্রিমের স্বাদ তখন মুখ্য বিষয় ছিল না, ঠান্ডা কিছু খাচ্ছে এটাই অনেক। সে সময়ে নারিকেল এবং দুধের আইসক্রিমটা বেশি চলতো। তবে নারিকেলের প্রতি আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আমিও ছোটবেলায় যখন বাড়িতে যেতাম এরকম নারিকেলের আইসক্রিম কিনে খেতাম। এখানে যে লোকটি আইসক্রিম নিয়ে এসেছে বিক্রি করার জন্য,তিনি টাকা ছাড়াও বিভিন্ন রকম পুরাতন জিনিসপত্রের বিনিময়ে আইসক্রিম দিয়ে থাকেন। এখন যেহেতু গরমের সময় তাই প্রচুর পরিমাণে আইসক্রিম বিক্রি হয়। তিনি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে থাকে।
তার কাছে ৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দামের পর্যন্ত আইসক্রিম আছে। তবে ১০ টাকা দামের আইসক্রিমটা বেশি চলে। এখানে একজন ভদ্রমহিলা তার ছোট মেয়েকে আইসক্রিম কিনে দিলেন। এই আইসক্রিম ওয়ালার সাথে কিছুক্ষণ কথা হলো।তিনি বলল এখন আগের মত কেমন বিক্রি হয় না কারণ বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী দোকান রয়েছে। তিনি আরো বলেন টাকা দিয়ে বিক্রি করার চাইতে পুরাতন জিনিসপত্রের বিনিময়ে বিক্রি করা অনেক লাভজনক।
যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন আর আইসক্রিম বিক্রি করতে পারে না। শীতকালের কয়েকমাস তো আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ থাকে। তখন তাকে অন্য কাজ করতে হয়। এখন আইসক্রিমওয়ালারা বিভিন্ন রকম ঘণ্টা বাজিয়ে থাকে ।আগে ঢাকনা দিয়ে শব্দ করে মানুষের কানে পৌঁছে দিত যে আইসক্রিম ওয়ালা এসেছে। সব সময় ভালো থাকুক আইসক্রিম ওয়ালারা।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1656889600584065024
অনেকদিন পর ভাই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গ্রামের আইসক্রিম আলা দেখতে পেলাম। যখন ছোট সময় ছিল এসব বাক্সে করে আইসক্রিম বিক্রি করতে আসতো আইসক্রিম আলা। ধান বা সুপারির বিনিময়ে ও আইসক্রিম দিত। অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের আইসক্রিম আলার কাছ থেকে আইসক্রিম কেনার মজাই আলাদা। কেননা বই, খাতা,টাকা, লোহা দিয়ে এই লোকের কাছে আইসক্রিম পাওয়া যায়। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালার কাছে সাধারণত দুই ধরনের আইসক্রিম সবথেকে বেশি পাওয়া যায় একটি নারিকেল আইসক্রিম এবং দুধের আইসক্রিম। অনেক আগে থেকেই খেয়েছি এখনো একই দাম রয়েছে প্রতিটি আইস্ক্রিমের দাম ৫ টাকা। অনেক সুন্দর পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালা।তারা গ্রামে গ্রামে আইসক্রিম বিক্রি করে বেড়ায়। তারা আইসক্রিম বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করে। আপনি আইসক্রিম নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।তারা এই ক্ষুদ্র দোকান করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আমি ১০ টাকার আইসক্রিমটা খেয়ে থাকি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
আইসক্রিম কার না ভাল লাগে। তবে আমার অনেক পছন্দের। আগেকার সময়ে আমরা দেখতাম গ্রামে আসতো আইসক্রিম নিয়ে সাইকেল নিয়ে। তবে এখনো সাইকেলে করে অনেকেই এসে আইসক্রিম বিক্রি করে। নারিকেলের আইসক্রিম আগে দেখা যেত বেশি বর্তমান সময়ে এই নারিকেলের তৈরি আইসক্রিম খুব কম চোখে পড়ে।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালা নিয়ে দারুণ লেখছেন আপনি, আইসক্রিম আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার, সব থেকে আমাকে নারিকেল আইসক্রিম খেতে ভালো লাগে, আপনি দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই