||কাঠের তৈরি ডাল ঘুটনি||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
ডাল আমাদের সকলেরই কম বেশি প্রিয় খাবার। প্রত্যেক বাড়িতেই দেখা যায় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডাল রান্না করা হয়। একটা প্রবাদ ছিল মাছে ভাতে বাঙালি। বর্তমানে মাছের দাম এতটা বেশি হয়েছে যে মাছ এখন মানুষজন আগের মতন খেতে পারে না। বাধ্য হয়ে এখন ডাল খাওয়ার দিকে বেশি আগ্রহ সবার। ডাল রান্না করার সময় ডাল ঘুটনির প্রয়োজন হয়। ডাল পানি দিয়ে সিদ্ধ করার পর ডাল ঘুটনি দিয়ে খুব ভালোভাবে ঘুটানো হয়।
প্রত্যেক বাড়িতেই এরকম ডাল ঘুটনি রয়েছে । ডাল ঘুটনির ব্যবহার ছাড়া কখনো ডালের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। আমাদের বাড়িতে কাঠের এবং লোহার দুটি ডাল ঘুটনি রয়েছে। কাঠের ডাল ঘুটনি বেশি ব্যবহার করা হয়। এখানে যে ডাল ঘুটনি দেখতে পাচ্ছেন এটি কাঠের তৈরি। ডাল ঘুটনি শুকনো কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। এগুলো তৈরি করতে খুব একটা ভালো মানের কাঠ দেওয়া হয় না। তার কারণে অল্প কিছুদিনেই নষ্ট হয়ে যায়।
এগুলো তৈরির সাথে আমাদের এলাকার বেশ কিছু মানুষ জড়িত। একসাথে অনেকগুলো তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরবরাহ করে থাকেন। এগুলো কাঠের ছাড়াও চিকন লোহা এবং বাঁশেরও তৈরি করা হয়। আমাদের এলাকায় এখনো মাঝে মাঝে বিভিন্ন হাটে বাঁশের তৈরি ডাল ঘুটনি দেখতে পাওয়া যায়। ছোটবেলায় বাঁশের তৈরি ডাল ঘুটনি নিয়ে অনেক দেখেছি। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডাল ঘুটনির ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে।
তবে কাঠের তৈরি এই ডাল ঘুটনিগুলো এখন সব জায়গায় পাওয়া যায়। দাম তুলনামূলক অনেক কম। কাঠের তৈরি এই ডাল ঘুটনির দাম 30 টাকা। ভালো মানের গুলোর দাম আর একটু বেশি। বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে এগুলোর অনেক দোকান রয়েছে। ডাল ঘুটনি তৈরী করতে চিকন একটি লম্বা কাঠের লাঠি এবং এক টুকরো কাঠের প্রয়োজন হয়। কাঠের টুকরো টিকে তারার আকার দেওয়া হয়। তার ভিতরে লাঠিটি বসিয়ে ,একটি পিন দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে হয়তো এই ডাল ঘুটনি একসময় ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দিকে এখন সকলের আগ্রহ অনেক বেশি। ডাল ঘুটনির বিকল্প ইলেকট্রিক যন্ত্র হয়তো এক সময় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে দেখা যাবে। তখন আর এই ডাল ঘুটনি কেউ ব্যবহার করবে না।
লোকেশন: টাঙ্গাইল |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
কাঠের তৈরি ঘুটনি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিটি বাড়িতে এরকমই রয়েছে। কারণ গ্রাম অঞ্চলে মানুষেরা ডাল খেতে বেশি পছন্দ করেন। শুধু গ্রাম না বরং শহর অঞ্চলের মানুষেরাও ডাল বেশি পছন্দ করেন। তবে শহরে প্লাস্টিকের ডাল ঘুটনি ব্যবহার করে। ডাল সবারেই অনেক পছন্দের খাবার। আর ডাল শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এখন কাঠের ডাল ঘুটনি সব জায়গাতে পাওয়া যায়। এবং দামও অনেক কম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1703998655672484044
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন গ্রামের কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই কাঠের কিংবা বাঁশের তৈরি ঘুটনি গুলো দেখতে পাওয়া যায়। ডাল রান্না করার ক্ষেত্রে এই ঘুটনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তুলনামূলক কম দামেই তো এই ঘুটনি গুলো বগুড়ায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমাদের বাড়িতে ব্যবহার করা এই ঘুটনি আমার বাবা নিজেই বানিয়েছেন। শুধু ডাল নয় বরং যে কোন ঘন্ট রান্না করার ক্ষেত্রেও এই ঘুটনি প্রয়োজন পড়ে।চমৎকার লিখেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আগে এমন ডাল ঘাটুনি আগে লোহার পাওয়া যেত। আগে সময়কার একটি লোহার তৈরি ডা ঘাটুনি আমাদের আছে। আমরা এটি এখনও ব্যবহার করি।এখন বাজারে এমন কাঠের তৈরি ডাল ঘাটুনি দেখতে পাওয়া যায়। এখন সবাই কাঠের তৈরি এসব ঘাটুনি ব্যবহার করে। কাঠমিস্ত্রীরা এগুলো সুন্দর করে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি ঐতিহ্যমূলক বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
কাঠের তৈরি ডাল ঘুটনি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ডাল রান্না করার সময় কালাই বা আলু এটা দিয়ে নাড়া হয় যাতে কালাই বা আলু ভেঙে গুড়ো হয়ে যায়। আর তাই এটার নাম ডাল ঘুটনি। গ্রামের মানুষ সাধারণত এই কাটের ডাল ঘুটনি ব্যবহার করে থাকে। তবে দিন দিন এর ব্যবহার কমে যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতে এখনো কাঠের ডাল ঘুটনিই ব্যবহার করা হয়।
ধন্যবাদ ভাই
যত দিন যাইতেছে ততও সবকিছু হারিয়ে যাইতেছে। আগে এই ডাল ঘুটনি অনেক ব্যবহার হইতে। কিন্তু এখন কাঠের বদলে লোহার তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এখন ও এই কাঠের তৈরি ঘুটনি রয়েছে। যেটা দিয়ে আমরা ডাল , কচুশাক রান্না করে থাকি।যেটা খেতে অনেক মজা লাগে। আর বপনি সেটি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন প্রত্যেক বাড়িতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডাল রান্না করা হয়ে থাকে ডাল ঘুটনির ব্যবহার অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ঠিকই বলেছেন প্রত্যেক বাড়িতে ডাল ঘুটনি রয়েছে।কাঠের ডাল ঘুটনি বেশি ব্যবহার করা হয়।বাঁশের তৈরি ডার ঘুটনি আমিও বানানো দেখেছি।আপনি দামও উল্লেখ করেছেন।আমারও মনে হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে হয়তো এই ডাল ঘুটনি একসময় হারিয়ে যাবে।সবার ইলেকট্রনিকস জিনিসের প্রতি আগ্রহ বেশি।ডাল ঘুটনির বিকল্প যন্ত্র একসময় প্রত্যেকের ঘরে দেখা যাবে।এসব আমারও মনে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আমাদের সকলের পরিচিত হলো ডাল ঘুটনি। এই ডাল ঘুটনি প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায়। এই ডাল ঘুটনি বিশেষ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি মুলত কাঠের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এই ডাল ঘুটনি লোহা ও বাঁশের তৈরি হয়ে থাকে। এই ডাল ঘুটনি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
কাঁঠের তৈরি ডাল ঘুটনি নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। প্রত্যেকটি বাড়িতে সাপ্তাহে ২,৩ দিন ডাল রান্না করা হয়। ডাল রান্না করার জন্য অবশ্যই ঘুটনির প্রয়োজন। তাই প্রত্যেকটি বাসা বাড়িতে ঘুটনি রয়েছে। আমার বাসায় প্রায় সপ্তাহে ২,৩ দিন ডাল রান্না করা হয়। আমার বাসায় ও ডাল ঘুটনি রয়েছে, আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
কাঠের তৈরি ডাল ঘুটনি গুলো সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় গ্রাম অঞ্চলে। আমাদের এলাকায় একটি বাড়িতে এই ডাল ঘুটনি গুলো বানায়। আমাদের এলাকায় অবশ্য বাঁশের বানানো ডাল ঘুটকি গুলোও অনেক ভালো চলে। লোহার তৈরি ডাল ঘুটনি তৈরি হওয়ার পরে থেকে কাঠের বানানো ডাল ঘুটনির চাহিদা একটু কমে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই