একা লড়াইটা বড়ই কঠিন, বিশেষ করে যখন শরীর সহযোগিতা করে না।
আজ বিকেল থেকে শরীর জবাব দিয়ে দিয়েছে, সন্ধ্যে থেকে দেখলাম ভিতরে ভিতরে জ্বর জ্বর ভাব আর সাথে ঠান্ডা লেগে গেছে।
এখন আসলে সকলেরই একই সমস্যা হচ্ছে। তবে, আর অনেকের সাথে আমার একটাই পার্থক্য আমার কোনো সহযোগী হাত নেই।
কাজেই, এমতবস্থায় ইচ্ছে না থাকলেও অনেক কাজ একা একা সমাধা করতে হয়।
বাইরের আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে দৈনন্দিন দায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে না ঠিকমতো খাওয়া আর না ঠিকমত ঘুম;
কাজেই আজকের এই দিনকে অনেকদিন আগে সাদরে আহ্বান জানিয়েছি নিজেই।
যে মানুষগুলো বাইরে থেকে বেশি হাসি খুশি তাদের জীবনের লড়াইটা ততখানি কষ্টের। তারা নিজেদের এবং পারিপার্শিক মানুষদের বোকা বানিয়ে রাখে।
কারণ তারা দুটো বিষয়ে পরিষ্কার-
(রক্তিম আকাশ ও নিজের বুকে নিঃশব্দে বহু ব্যথা বয়ে বেড়ায়) |
---|
ঘড়ির কাঁটায় এখন বাজে ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ১০টা বেজে ০৩ মিনিট।
দুটো ১০০০ পাওয়ারের প্যারাসিটামল সাথে অ্যালার্জির ওষুধ আপাতত খেয়ে লেখাটা শুরু করলাম, কারণ নিজের শরীরের ভিতরের খবর নিজের চাইতে ভালো কেউ বোঝে না।
কাজেই, লেখাটা লিখে রাখার প্রয়াস করছি, এর চাইতে বেশি শরীর খারাপ লাগলে হয়তো সেই ক্ষমতাও থাকবে না।
আজকে ভেবেছিলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখবো, কিন্তু শরীর সাথ দিল না।
যেদিন থেকে আমার মাসতুতো দাদার ওখান থেকে ফিরেছি, তারপরের দিন আবার রাতে বাজার গিয়েছি, এরপর এই প্ল্যাটফর্মের কিছু কাজ করতে প্রতিদিন ভোর বেলায় ঘুমোতে গিয়েছি, সব মিলিয়ে আজকে শরীরের এই অবস্থা।
হয়তো অনেকেই আমার চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন, কিন্তু সহযোগিতার হাত আছে তাদের সাথে কম বেশি।
কাজের পরিবেশ যদি সঠিক থাকে তবুও এক কথা, কিন্তু সেটাও যদি না থাকে তখন আসলে একা হাতে সব সামলানো খুব কঠিন।
প্রত্যেকের ব্যাক্তিগত সমস্যা আমি বোঝার চেষ্টা করি, আর সেটা বুঝতে গিয়ে নিজের সমস্যার দিকে তাকানো হয় না।
তবুও আসলে কিছু মানুষ আছেন, তাই বাঁচোয়া!
আজও শরীর খারাপ হলে সবচাইতে যার কথা সর্বাগ্রে মনে পড়ে সেটা হলো মা।
তারপর দিদি, কিন্তু দিদিকে আসলে বিব্রত করতে চাই না।
জীবনের শুরুটা একরকম করে হলেও, সময়ের সাথে সাথে বাস্তবিক লড়াই এর মোকাবিলা করতে গিয়ে, অনেক রুটিন অদল বদল হয়ে যায়।
(আকাশের মত জীবনের ধারাও সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল) |
---|
মনে পড়ে, ছেলেবেলায় জ্বর হলে মা, বাবার বাড়তি ভালোবাসা, সাথে প্রতিদিন হাতে করে, বাবার আমার পছন্দের জিনিষ নিয়ে বাড়ি ফেরা।
আজ ভোর তিনটের সময় ঘুমোতে গিয়েছি, তারপর যেহেতু বৃহস্পতিবার ছিল, ঘর পরিষ্কার সাথে পুজো দিয়ে উঠে দেখি দুপুর আড়াইটে বেজে গেছে।
এরপর কাল রাতের অবশিষ্ট কিউরেশনের কাজ সেরে, তারপর ডিসকর্ডে কিছু জরুরী কথা সেরে নিয়েছি, কারণ আমার তখন থেকেই ভিতর ভিতর শরীর খারাপ লাগা শুরু হয়ে গেছিলো।
যাইহোক, তখনই ওষুধ খাইনি, ভেবেছিলাম বোধহয় একটু বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাব, কিন্তু মুশকিল হলো আমার যত ফোন সব ওই দুপুরেই আসে, সে আমার দাদা হোক, আর অন্যকেউ।
তারা জানে একটু পড়ন্ত বেলায় আমি কথা বলতে পারি, কাজেই তাদের খোঁজ নেওয়া কেও উপেক্ষা করতে পারি না।
কাজেই তাদের সাথে কথা বলার পর বিকেলের চা খেয়ে,
সম্পা কে মেসেজ করলাম, কারণ সেও এখন কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছে।
তৎসত্ত্বেও নিজের দায়িত্ব পালনে খামতি রাখে নি।
ভালোলাগে আমার তাদের, যারা কাজকে সন্মান করতে জানে, যারা অনেক লড়াই এর মাঝেও দায়িত্ব পালনে পিছপা হয় না।
কঠিন কাজ তো বিশ্বাস বজায় রাখা, হেরে না যাওয়া, লোভকে জয় করতে পারা।
আজকে লেখার গতি শ্লথ, কারণ ধীরে ধীরে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, অনেক কষ্ট করে লিখছি, কারণ এটা আমার ভালোবাসা আর প্রয়োজন।
কিছু পড়ন্ত বিকেলের ছবি তুলেছিলাম আজকে, সেগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। প্রতিটি দিন শেষে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানানো উচিত, আর দিন শুরুতেও।
কারণ, কোন দিনটা আসলে অন্তিম আমাদের কারোর জানা নেই।
আজকে বিশেষ কিছু খাই নি এখনো পর্যন্ত, দুবার চা ছাড়া।
রাতের ব্যবস্থা ঠিক করিনি, ভেবেছিলাম বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে দেবো, চেষ্টা করেছিলাম কোনো কারণে পেমেন্ট ফেল দেখালো;
আর ইচ্ছে হলো না দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতে।
অনেক ক্ষেত্রেই এখন আর দ্বিতীয় চেষ্টার প্রয়াস ছেড়ে দিয়েছি।
যাক, আজ এই পর্যন্তই থাক, দেখা যাক কালকের উদিত সূর্য্য কি বয়ে আনে আমার জন্য।
ম্যাম খুবই খারাপ লাগছে আপনার শরীরের অবস্থার কথা শুনে সত্যি কথা বলছি আমার এখনই মন চাচ্ছে আপনার কাছে গিয়ে আপনাকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়েদি,আপনার পাশে দাঁড়িয়ে।
কিন্তু হতভাগা আমি,
আপনার থেকে বেশ দূরে দাঁড়িয়ে !
আপনার কথাগুলো শুধু শুনছি।
স্বার্থপর ও বটে, নিজের কাজের জন্যই শুধু আপনাকে বিরক্ত করি, আপনার শরীরের খবরটা নিলাম না কখনোই!
আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
Your comment has been successfully curated by @ripon0630 at 10%.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
Image
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে আমি মহা খুশি যা বলে বোঝাতে পারবো না!
কারণ এই প্রথমবার steemcurator এর কোন আইডি থেকে ভোট পেয়েছি।
বিশ্বাস করেন ভাই আজ আমার কাজ করার কতটা স্পিড বেড়ে গেছে তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না আপনাকে!
This post has been upvoted through steemcurator08. We support quality posts anywhere and with any tags. Curated by: @o1eh
প্রথমে আপনার জন্য দোয়া করি ম্যাডাম, যেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে দ্রুত সুস্থ দান করেন, দিনের শুরুতে আমরা অনেক কিছু ভাবলেও দিনশেষে যদি অসুস্থ থাকি সেই ভাবনার সাথে কাজের অমিল হয়ে যাই। অসুস্থ শরীর নিয়ে আমাদের মাঝে যেমন সময় দিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তেমনিভাবে সাংসারিক কাজগুলো আপনি গুছিয়ে নিচ্ছেন।
তবে পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ থাকে তাহলে আমাদের মনটাও ভালো থাকে না সম্পা দিদির জন্য দোয়া করি। তিনিও কঠিন খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে যেটা আমাদের ভাবনার বাইরে।
I hope you are staying healthy and full of vigor as always. I'm sure you can get through this pain just fine. Of course, I hope your situation is as beautiful as those sunset pieces.
Hopefully, the aura makes you more enthusiastic. I also hope that tomorrow's sun will bring good news to you. 🙏🙏🙏
আপনার শরীরের অবস্থা শোনার পর আসলে নিজের কাছেও খুব খারাপ লাগছে! আপনি এত অসুস্থতার মাঝে থেকেও,,,, আমাদের পাশে এসে সব সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
আসলে বর্তমান সময়ে জ্বরের পরিমাণ সব জায়গাতেই অনেক বেশি! অবশ্যই নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখবেন! আর অতিরিক্ত চা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন! অতিরিক্ত চা খাওয়া আসলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ।
আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি! সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়! এবং আমাদের মাঝে আবারও সুন্দরভাবে ফিরে আসতে পারেন! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেলো , আপনার শরীরিক অবস্থা জানার পর। কিন্তু কি আর করা! শুধুমাত্র পরম করুণাময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে।
হয়তোবা ব্যস্ততা ও শরীরের বর্তমান অবস্থার জন্য আপনার খাবার খেতে ইচ্ছা করেনি। তবে অনুরোধ করবো, একটু সুস্থ্য থাকার জন্য এবং আমাদের সবার কথা ভেবে ঠিক ঠাক খাবার খেয়ে নিবেন। কারণ এখনো কমিউনিটির অনেকে আছে, যারা আপনাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে এবং আপনার ভালো থাকাটা প্রত্যাশা করে।
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন খুব দ্রুত আপনি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেন।🙏🙏🙏
আপানার অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগছে। শুধু চা ছাড়া আর কিছুই খাননি এটা পড়ে আরো বেশি খারাপ লাগলো। প্রার্থনা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
কাজতো সবসময়ই থাকবে।কিন্তু এই অসুস্থ সময়ে নিজের প্রতি যত্ন নিন।আসলে বেশিরভাগ সময়ই আমরা মেয়েরা সবার প্রতি কেয়ার নেই কিন্তু নিজেকে খানিকটা অবহেলা করি।খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করেন।আর দ্রুত সুস্থ হয়ে ফেরত আসেন এই শুভকামনা রইলো।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগল, আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছি। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আপনি অসুস্থতার মধ্যেও খুব সুন্দর ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন।
আপনার লেখার মধ্যে অল্প কথায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ফুটে উঠেছে। আপনার লেখা থেকে আমি যা বুঝেছি তা সক্ষেপে তুলে ধরছি,
সুযোগ সন্ধানী মানুষের অভাব নেই।
যা পরিবর্তন হয় না তা নিয়ে নিজের দুঃখ বাড়ানোর কোন মানে হয় না।
অসুস্থ হলে সবার আগে মা এর কথা মনে পড়ে।
আমাদের সকলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পিছপা হওয়া যাবে না। যেমন শম্পা দিদির কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও কিছু বিষয় আপনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সেগুলো আর উল্লেখ করলাম না।
অসুস্থ হলে খাওয়ার প্রতি কোন আগ্রহ থাকে না। আপনি শুধু চা খেয়েছেন শুনে খুব খারাপ লাগল, অনলাইনের অর্ডারটাও ঠিক মত হল না।
সর্বপরি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, অবশ্যই নিজের শরীরে প্রতি জত্ন নিবেন। ধন্যবাদ।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। হয়তো এই জন্যই আপনাকে আমরা বৃহস্পতিবারে পাইনি।খুব মিস করেছি আপনাকে। দোয়া করছি আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।