SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 36]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 1199.435 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ৩৪
Copyright Free Image Source : PixaBay
ধার পরীক্ষা করে সেই যমদূতের মতো লোকটা সখেদে মাথা নাড়লো । খড়গের ধার যা আছে তাতে বড়জোর একটা ছাগশিশুর মস্তক ছিন্ন করা যেতে পারে, কিন্তু তা দিয়ে নরবলি চলে না । তাই লোকটা খড়গের শান দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলো । একটা পাথরের উপর কিছু বালি রেখে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা জল ঢাললো প্রথমে । তারপরে সেই ভেজা বালির উপরে খাঁড়ার ধারালো দিকটা একটু কাত করে রেখে পাথরের উপর সবেগে ঘষতে লাগলো । কিইইচ কিইইচ করে একটা তীক্ষ্ণ ঘষটানোর শব্দ উঠলো ।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে বেশ যত্নে খাঁড়ায় শান দিলো লোকটি । এ পিঠ, ও পিঠ দু'পিঠেই ভালভাবে শান দেওয়ার পর ফের লোকটি উঠে মশালের আলোর কাছে গিয়ে খুব ভালোভাবে খাঁড়ার ধার পরীক্ষা করলো । মশালের অল্প আলোতেও ঝিলিক দিয়ে উঠলো খড়গের ধারালো প্রান্তটা। এবার লোকটার ওষ্ঠের দু'প্রান্তে একটা হিংস্র হাসি ফুটে উঠলো । খাঁড়ার ধারটা এবারে তার বেশ মনঃপুত হয়েছে ।
কমলাদেবীর হঠাৎ বেশ শীত করে উঠলো । তাঁর মনোজগতে কেমন যেন আঁধারমাখা পরিবেশ এখন । তিনি এখন কোথায় রয়েছেন, কি অবস্থায় আছেন, কি করছেন কিছুই তাঁর মনে পড়ছে না । সব কিছু কেমন যেন জটপাকানো রয়েছে । ধীরে ধীরে সুস্থ মস্তিকে ভাববার ক্ষমতাটুকুও চলে গিয়েছে এখন তাঁর । বাস্তব পরিবেশ সম্পর্কেও তিনি এখন সম্পূর্ণ অসচেতন । তাঁর সমগ্র মন, সমগ্র সত্তা জুড়ে রয়েছে শুধু একজনই । তাঁর প্রভু শুধু একজনই । চন্ড । চন্ডের আদেশ পালনের জন্য তাঁর সমস্ত অন্তরাত্মা উন্মুখ হয়ে রয়েছে । কখন আসবে তাঁর প্রভু ! কখন তিনি প্রভুর আদেশ পালন করে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন এই ভাবনাই এখন তাঁকে সম্পূর্ণরূপে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ।
অর্ধ উন্মীলিত চোখে তাকিয়ে কমলাদেবীর হঠাৎ মনে হলো বুঝি বা তাঁর প্রভু চন্ড তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । কিছু একটা বলছে যেনো চন্ড । বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন কমলাদেবী । তাঁর মাথাটা বেশ ভার হয়ে আছে । দৃষ্টি অস্বচ্ছ, শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে । কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে থেকে তিনি বুঝতে পারলেন চন্ড তাঁকে হাঁড়িকাঠের সামনের মাটি দিয়ে তৈরী একটু উঁচু বেদীটায় আরোহণ করতে আদেশ করছে ।
আগে তো এই বেদীটা ছিল না মনে হয় । এই অল্প কিছুক্ষণ আগেই নির্মিত হয়েছে এটি । অন্য জায়গা থেকে শুকনো মাটি কেটে এনে এনে হাঁড়িকাঠের ঠিক সামনে মাটি থেকে ইঞ্চি ছয়েক উচ্চতার এই বেদীটি নির্মাণ করা হয়েছে । বেদীর উপর একটা ভাঙা হাঁড়ির সরার মধ্যে রাখা একটি রক্ত জবার মালা, কিছু গোলা সিঁদুর আর একটু দূরেই রাখা প্রকান্ড একটা মাটির থালা। আর বেদীর ঠিক দক্ষিণ পার্শ্বে রাখা হয়েছে একটি মাটির কলসি । কলসিটি জল ভরা অবস্থায় রাখা । শ্মশান ঘাটের জল ।
কমলাদেবী ধীরে ধীরে টলমল পায়ে উঠে দাঁড়ালেন । তারপরে টলতে টলতে বেদীর উপর এসে দাঁড়ালেন ।
[চলবে]
চন্ডের মনের আশা খুব শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। কমলাদেবীকে চন্ড যা বলবে,সে তো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। কমলাদেবীর বাঁচার কোনো আশা দেখছি না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
কমলাদেবীর অবস্থার কথা চিন্তা করে নিজের অজান্তেই শরীর ঝাকিয়ে উঠেছে ভাই। বড্ড খারাপ লাগছে।
কমলাদেবী ঘোরের মধ্যে আছে জন্য কিছুই বুঝতে পারছে। কিন্তু সে বুঝে উঠার আগেই চন্ড তার স্বপ্ন পূরণ করে ফেলবে। কি ভয়ঙ্কর।
চন্ড আসলে ওই ভাং এর সাথে কিছু মিশিয়ে দেওয়াতেই এই অবস্থা।দেখা যাক কমলাদেবীর শেষ পরিণতি কি হয়!