SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 13]

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 196.874 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১২


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


কাঁপতে কাঁপতে সিঁড়ি দিয়ে ভগ্ন মনে দোতলায় উঠে গেলেন রমেশবাবু । পিশাচিনী মহুয়ার ঘরে ঢুকেই ধপ করে খাটে বসে পড়লেন । এখান থেকে বাঁচার কী তবে আর কোনো উপায় নেই ? রমেশবাবু খাটে বসে বসে আকাশ পাতাল ভাবতে লাগলেন । এমনভাবে কতক্ষণ যে কেটে গেলো বুঝতে পারলেন না।

দরজার কাছে হঠাৎ কিসের শব্দ হতে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন রমেশবাবু । ও কী !! কে ও ? দরজায় প্রকান্ড কিসের জানি ছায়া পড়েছে । ধীরে ধীরে ছায়ামূর্তি আরো কাছে এগিয়ে এলো । সেই বুড়োটা ! বিকট চোখ মুখ তার । দু'চোখে আগুন জ্বলছে । ঝকঝকে সাদা দু'টি শ্বদন্ত এখন উন্মুক্ত, যেনো কোষমুক্ত ঝকঝকে দুখানি খোলা তলোয়ার । মানুষের রক্তে পিপাসা মেটাবে ।

লাল লোলুপ জিহ্ববাটা বার বার বেরিয়ে আসছে, ঠোঁট দু'খানি চাটছে মাঝে মাঝে । রমেশবাবু বুঝতে পারলেন তাঁর সময় আগত । ভীষণ মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে পড়লেন তিনি । হাত পা নাড়ানোরও ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেন সহসা । শিরদাঁড়া দিয়ে বরফের মতো শীতল ভয়ের স্রোত নেমে আসছে । গলা শুকিয়ে কাঠ । চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত ।

বুড়োটা খোলা দরজা দিয়ে ঢুকতে যাবে ঠিক এই মুহূর্তে কোত্থেকে জানি ঝড়ের বেগে ছুটে এলো মহুয়া । বুড়োকে পাশ কাটিয়ে ঠেলে সেই আগে ঢুকে গেলো ঘরের মধ্যে । মুহূর্তের মধ্যে বুড়োর মুখখানি ভয়ানক আশাহতের মতো দেখালো । হতাশ হয়ে সে দাঁড়িয়ে রইলো খোলা দরজার মুখে ।

মহুয়াই কথা বললো প্রথম -

"বাবু, চলুন আপনার ভাত বেড়েছি । খাবেন চলুন ।"

কাঁপা কাঁপা শরীরে ভীষণ সাহসে বুক বেঁধে উঠে দাঁড়ালেন রমেশবাবু । বুড়োর বদলে মহুয়া নামের এই পিশাচিনীই হয়তো আগে খাবে তাঁকে । কিন্তু, মহুয়ার কোনো কথার প্রতিবাদ করার সামর্থ্য নেই রমেশবাবুর । কিসের জানি এক অদৃশ্য মায়ায় বাঁধা পড়েছেন তিনি । মহুয়ার সকল নির্দেশ তিনি তাই দম দেওয়া পুতুলের মতো করে যাচ্ছেন ।

মোহিনী মহুয়া তার মায়াজাল বিস্তার করে বশ করে ফেলেছে রমেশবাবুকে । আর তারপর কাঁচপোকা যেমন পতঙ্গকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ঠিক তেমনই অদৃশ্য কোনো এক জাদুজালে বন্দী করে রমেশবাবুকে টেনে নিয়ে চললো মহুয়া । রমেশবাবু ভুলে গেলেন একটু আগে মহুয়াকে তিনি কি করতে দেখেছিলেন । ভুলে গেলেন মহুয়া আসলে পিশাচিনী । শুধু স্বপ্নাবিষ্টের মতো ভীষণ রূপসী উদ্ভিন্ন যৌবনা মহুয়ার রূপের আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠলেন ।

সিঁড়ি দিয়ে যখন মহুয়ার পেছন পেছন নামছেন তখন রমেশবাবু স্পষ্ট টের পেলেন তার ঠিক পিছনেই নামছে বুড়োটা । দাঁত কড়মড় করার নির্ভুল আওয়াজ পেলেন তিনি । একবার শিউরে উঠলেন । তারপর আবার সব ভুলে মহুয়ার প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষণে তার পিছু পিছু চলতে লাগলেন ।

[চলবে]

Sort:  
 5 months ago 

পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপট মনে হলো মুহুর্তের মাঝে পরিবর্তন হয়ে গেলো, বেঁচে ফেরার আশা তাহলে মাটি হয়ে যাবে রমেশবাবুর, নাকি নতুন কোন সুযোগে নতুনভাবে লড়াই করার মানসিকতা ফিরে পাবেন? দারুণ জমিয়ে ফেলছেন গল্পটি দাদা।

 5 months ago 

যাক মরতে যেহেতু হবে ওই বুড়োর হাতে না মরে মহুয়ার হাতে মরাই মনে হয় ভালো হবে। মহুয়ার রূপে ডুবে যাবে টেরও পাবে না। দুঃখের মাঝেও একটু আনন্দ পাচ্ছে রমেশবাবু।

 5 months ago 

দাদা রমেশ বাবুর পরিস্থিতির কথা ভেবে তো আমার নিজেরই ভয় লাগছে। বুড়োটা কতো আশা করে রমেশ বাবুকে খেতে গিয়েছিলো, কিন্তু মহুয়ার জন্য পারলো না। রমেশ বাবু তো দেখছি মহুয়ার রূপে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছে। নিজের জীবন যে চলে যেতে পারে যেকোনো সময়, সেটা যেনো ভুলেই গিয়েছে। রমেশ বাবুর বাঁচার কোনো আশা দেখছি না আর। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমার মনে হচ্ছে রমেশ খুব করে চাইছে মায়াজালটা থেকে বের হতে।কিন্তু সে পারছেনা।তার উপর দুই পক্ষের টানাটানি। দেখা যাক খাবার টেবিলে কি হয় এবার!কি চমক আছে!

 5 months ago 

কি হতে কি চলছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। মাথাটা যেন একদম ঘুরপাক করছে ক্রমাগত। তারপরেও আশা জাগে রমেশের জন্য। বেঁচে থাকুক বেচারা, অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য ভাই।

 5 months ago 

গল্পের এই পর্বে তো আরো বেশি ভয়ংকর কাহিনী। তবে রামেশবাবু মহুয়ার পেছনে পুরোটাই আকৃষ্ট ছিল যার কারণে সবকিছু ভুলে তার পিছু পিছু যাচ্ছিল। পরবর্তী পর্বে তো আরো টানটান উত্তেজনা রয়েছে। অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Great, I lost around 550 Trx when updating Tron account on steemit, can we recover it?

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58211.02
ETH 2483.87
USDT 1.00
SBD 2.37