SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 08]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 0.00 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০৭
Copyright Free Image Source : PixaBay
আরো কিছুক্ষণ খোলা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে উঁকিঝুঁকি মারতে লাগলেন রমেশবাবু । কিন্তু, মৃদু আলোর শিখাটা ছাড়া আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হলো না তাঁর। অগত্যা রমেশবাবু জানালার কাছ থেকে ফিরে আসবেন ভাবছেন, ঠিক এই সময় সহসা অন্ধকার আকাশের বুক চিরে একটা বিদ্যুতের ঝলক দেখা গেলো । শোঁ শোঁ করে দমকা হাওয়া উঠে জানালার কাঁচের শার্শিতে এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো । ঝন ঝন করে একটা শব্দ উঠলো ।
হাওয়ার বেগের তীব্রতায় রমেশবাবু বাঁ হাত দিয়ে আড়াআড়ি কপালের উপরে রেখে হাওয়ার ঝাপটা সামলালেন । অসময়ের ঝড় । বৃষ্টিও হতে পারে । হেমন্তের শুরুতে এমন ঝড় তেমন বড় একটা দেখা যায় না । আবার বিদ্যুৎ চমকালো । চারিদিক অন্ধকারের চাঁদর ছিন্ন হয়ে আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো । আর সেই হঠাৎ চমকে ওঠা আলোয় রমেশবাবু দেখতে পেলেন সেই ভাঙাচোরা ফোয়ারার কাছে একটা মেয়ে হামাগুঁড়ি দিয়ে উবু হয়ে বসে আছে । মেয়েটির সামনে একটা শেয়ালের দেহ তীব্র যন্ত্রনায় ছটফট করছে । এতদূর থেকে একটা মৃদু জান্তব গোঙানিও শোনা যাচ্ছে । তবে, একটা হিংস্র জান্তব গর্জনে সেই গোঙানিটা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বারেবারে ।
মেয়েটা কে হতে পারে ? এক ঝলক বিদ্যুতের আলোয় এত দূর থেকে ভালো করে কিছু বোঝাই গেলো না । রমেশবাবু উৎকণ্ঠায় ছটফট করতে লাগলেন । সহসা আবার, আবার আলোর তীব্র ঝলকানি । সেই সাথে মেঘের গর্জন । দিনের আলোর মতো চারিদিক পরিষ্কার হয়ে গেলো এক লহমার জন্য। আর সেই আলোয় রমেশবাবু পরিষ্কার দেখতে পেলেন মেয়েটি শেয়ালটার গলায় দাঁত বসিয়ে চেপে ধরে আছে । থর থর করে কাঁপছে অসহায় জন্তুটার দেহ ।
রমেশবাবু ঘামতে শুরু করলেন । বাতাসের ঝাপটে সেই মৃদু লণ্ঠনের আলো কখন নিভে গেছে, এখন চারিদিকে শুধু নিশ্ছিদ্র আঁধার । এখন আর কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না রমেশবাবু । মেয়েটা কে হতে পারে ? পোশাক দেখে চিনতে পারেননি । এই বাড়িতে মহুয়া আর তার বাবা ছাড়া আর কেউ কি আছে ? সে কে ? মানুষ তো ? নাকী !.......
আর ভাবতে পারলেন না রমেশবাবু । গলা বুক শুকিয়ে পুরো কাঠ হয়ে গেলো । কুলকুল করে ঘেমে নেয়ে পুরো একসা হয়ে গেলেন । মাথাটা একটু টলে উঠলো তাঁর, এক হাত দিয়ে জানালার গরাদ ধরে নিজেকে সোজা করে নিলেন । আর ঠিক সেই মুহূর্তে আবার বিদ্যুৎ চমকালো । আবার দিনের আলোর মতো পরিষ্কার চারিদিক । সেই আলোয় রমেশবাবু দেখতে পেলেন মেয়েটি সহসা পেছন ফিরে দোতলার দিকে ক্ষনিকের জন্য মুখ উঁচু করে তাকালো । সে কী তাকানো ! চোখ দু'টো কয়লার আগুনের মতো ধিকি ধিকি জ্বলছে । চুলগুলো শনের মতো হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে উড়ছে । ঠোঁটের দু'পাশ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে দু'টো ঝকঝকে সাদা শ্বদন্ত । ঠোঁট রক্তমাখা । লাল টুকটুকে জিৱা বের করে সেই রক্ত চাটছে মেয়েটা ।
দেখেই ভয়ে প্রাণ উড়ে গেলো রমেশবাবুর । ভয়ঙ্করী মেয়েটাকে চিনতে পেরেছেন তিনি । এ যে. এ যে "মহুয়া !!!"
এ কোথায় এসে পড়লেন তিনি ? কাদের খপ্পরে পড়লেন ! এখান থেকে প্রাণ নিয়ে কি আর ফেরা হবে তাঁর ? নিদারুন আতঙ্কে ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলেন রমেশবাবু । বুকের মধ্যে হাতুড়ি পেটা চলছে যেনো । নিজের হার্টের স্পন্দনের শব্দ তিনি নিজেই শুনতে পারছেন এখন । লাব-ডুব, লাব-ডুব । ভীষণ আতঙ্কে জমে একদম পাথর হয়ে গেলেন তিনি ।
[চলবে]
Wow
Una historia tremenda.
Me atrapó de inmediato.
Espero la próxima parte. ¿Qué será de Ramesh Babu? Quiero saber.
Por favor, avísame para poder leerte.
Saludos amigo 🙋🏻
এরপর কি তবে রমেশ বাবুর পালা?মহুয়া তো আসল রূপ দেখিয়েই ফেললো।এরপর আর বিশেষ রাখঢাকের দরকার আছে বলে মনে হয়না।দারুণ আগাচ্ছে দাদা।
রমেশ বাবু তো এখন ভয়েই মারা যাবে। মহুয়ার তো আর কিছুই করতে হবে না মনে হচ্ছে। রমেশ বাবু এখান থেকে পালাতে পারবে নাকি,সেটা জানার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। এমন হরর টাইপের গল্প পড়তে আসলেই খুব ভালো লাগে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
ও বাবা গো, রমেশের এবার নিস্তার নেই। কি হতে কি হবে, কে জানে তা। বেচারার জন্য খুব খারাপ লাগছে, ভাই রমেশ কে বাঁচানো দরকার। এই মাঝরাতে গল্প পড়ে আমার ই মাথা ঘুরপাক করছে।
মেয়েটির রক্তচোষার দৃশ্য দেখে ভয় পাবারই কথা। আমার তো পড়েই ভয় লাগছিল। রমেশ বাবু পড়েছিল একেবারে বিপদে। বেচারার অবস্থা একেবারে নাজেহাল। দারুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
এবার তো ভয় লেগেই গেলো দাদা, কি হবে এখন রমেশবাবুর আর কিভাবেই বা তিনি বেঁচে ফিরবেন এখান হতে? মনে হচ্ছে গল্পের মাঝে ঢুকে পড়েছি, একটা ভীতি নিজের মাঝেও চলে আসছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রমেশবাবু এই বুঝি অজ্ঞান হয়ে যাবে।
এমন ভয়ংকর দৃশ্য দেখে রমেশবাবুর অবস্থা কি যে হবে!!
এমনটা নয়তো, মহুয়া নামের মেয়টা আসলে.........।
কি ভয়ংকর দাদা। আমিও প্রথম থেকে ভাবছিলাম যে মেয়েটি হয়তো মহুয়ায় হবে। শেষমেশ তাই হল। রমেশ বাবু যাকে দেখে এত ভালো লেগেছিল তার এরকম ভয়ংকর চেহারা দেখে ভয় তো পাবারই কথা। শুনে তো আমারই লোম দাঁড়িয়ে গেল। এখন রমেশবাবু এই মৃত্যুপুরী থেকে কিভাবে বের হবে সেটাই চিন্তা।