SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 06]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 0.00 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০৫
Copyright Free Image Source : PixaBay
কম্পিতবক্ষে রমেশবাবু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন সেই মোহময়ীর দিকে । সহসা সেই রূপসী কন্যাটি মৃদু হাস্যে কথা বলে উঠলো । জলতরঙ্গের মতো শব্দ শুনতে পেলেন রমেশবাবু ।
-"বাবু, আজকে রাতের মতো আপনি আমাদের অতিথি । তাই, আপনাকে সেবা করতে পারবো ভেবেই আমার মনের মধ্যে কেমন জানি করছে । খুউব ভালো লাগছে আমার ।"
এক নিঃশ্বাসে এই কথা ক'টি বলেই বালিকা তার হাতের মোমবাতিটি টিপয়ের উপর সাবধানে রেখে দিলো ।
বুড়ো একপাশে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে হাসতে লাগলো । আর রমেশবাবুর মনে এক অসম্ভব পুলকে শিহরিত হতে লাগলেন ।
বুড়ো বললো - "মা, তুই বাবুকে নিয়ে বড় ঘরটায় বসা । বিছানা করে দিস । দেখিস বাবু কিন্তু কলকেতা শহর থেকে এয়েচে, আরাম আয়েশের যেনো কোনো ত্রুটি না হয় ।"
মেয়েটি ঘাড় নাড়লো দ্রুত । তারপর রমেশবাবুকে তার পিছুপিছু আসার জন্য অনুরোধ জানালো । রমেশবাবু স্বপ্নাবিষ্টের মতো অন্ধভাবে মেয়েটিকে অনুসরণ করলেন । বৈঠকখানা ঘরের উত্তরপ্রান্তেই একটা কাঠের রেলিংঘেরা কাঠের তৈরী সিঁড়ি দেখা গেলো ঈষৎ বাঁক নিয়ে দোতলায় উঠে গিয়েছে । কাঠের সিঁড়িতে এককালে রক্তলাল গালিচা পাতা ছিল । এখন অবশ্য ধূলি ধূসরিত জীর্ণ ছেঁড়াখোঁড়া সেই গালিচা এত বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে যে তার আসল রং ঠাহর করাই মুশকিল ।
"দেখবেন বাবু, একটু সাবধানে আসুন । কয়েকটা সিঁড়ি ভাঙা ।" - মেয়েটি রমেশবাবুকে সাবধান করে দিলো ।
ধীরে ধীরে দোতলায় উঠে এলেন রমেশবাবু । দোতলায় সার সার ঘর রয়েছে দেখা গেলো । অধিকাংশই তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে । দু'একটি ঘরের আবার দরজাই নেই । পাল্লা ভেঙে খাঁ খাঁ করছে । প্যাসেজ দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে কিছুটা ঘুরে দক্ষিণদিকে চলে এলেন রমেশবাবু ও মেয়েটি ।
দেখা গেলো এইপ্রান্তে বেশ কয়েকটি ঘর বসবাসযোগ্য আছে । তার মধ্যে একটা বড় ঘরের দরজা খোলা । ভেতরে প্রদীপের আলো জ্বলছে । খোলা দরজা দিয়ে সেই আলো এসে পড়ছে প্যাসেজে । মোমবাতি হাতে মেয়েটি সহসা ঘুরে মুখোমুখি হলো রমেশবাবুর । তারপরে কলহাস্যে বললো -
"আসুন বাবু আসুন । এই ঘরে আসুন । এটা আমার ঘর । আজ রাতে এই ঘরে আপনি থাকবেন ।"
শিউরে উঠলেন রমেশবাবু হঠাৎ । তারপরে মন্ত্রমুগ্ধের মতো মেয়েটির পিছুপিছু ঘরে গিয়ে ঢুকলেন ।
[চলবে]
বাবা ভয় কাজ করতে শুরু করেছে একটু একটু, যেমন রমেশবাবুর মনে ঠিক তেমনি আমাদের মনেও। গল্পে মাঝে কেমন অদ্ভুত একটা চিত্র ধীরে ধীরে ফুটে উঠতে শুরু করে দিয়েছি। সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা রমেশ বাবু তো কল্পনার রাজ্যে রয়েছে তাহলে। কেমন যেনো রোমান্টিক কিছু মনে হচ্ছে, আবার ভূতূড়ে টাইপেরও লাগছে। এই গল্পটা পড়ার সময় মনের মধ্যে সাসপেন্স কাজ করছে দাদা। কি না কি হবে সারাক্ষণ সেটাই মনে হচ্ছে। মোটকথা এই গল্পের রহস্য আসলেই বেড়ে চলেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই যাত্রায় রমেশ বাবু বাঁচলোনা মনে হচ্ছে ।পরের পর্ব পড়ার জন্যে যেনো তর সইছে না।
ভাই রে ভাই ঘটনা যে কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, কিছুই তো বুঝে উঠতে পারছি না। শেষমেষ কি রমেশবাবু এই মেয়ের খপ্পরেই শেষ হয়ে যায় নাকি, কে জানে?
অপেক্ষায় থাকলাম ভাই পরের পর্বের।
I lost some. It’s stuck on the internal market … can’t cancel the trade ????
রমেশ বাবু ঘোরের মধ্যে মেয়েটিকে শুধু অনুসরণ করেই যাচ্ছে। কিন্তু এই মেয়েটি কি আসলেই কোন মেয়ে নাকি ভূত-প্রেত কিছু। গল্পের নামের সঙ্গে মিলে রমেশবাবু রক্ত খেয়ে না ফেলে। ভয় লাগছে খুব।