ছোট গল্প ||| রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৪ ||| Original story by @saymaakter.

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সুস্থ আছেন ও সুন্দরভাবে সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরিবারসহ বেশ ভাল আছি।

tree-117582_1280.jpg
source

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প নিয়ে আবারও হাজির হলাম।কারণ বিগত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৪" নিয়ে হাজির হলাম।আশা করি এবারের পর্বটিও আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে।এবার চলুন এই পর্বে কি লেখা হয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক।

হঠাৎ একদিন সালেহাকে ভর করলো সেই ভূত। ভুতে ভর করার সঙ্গে সঙ্গে মিয়া পরিবারের যত ফ্যামিলির সদস্য ছিল সবাই একসঙ্গে জরো হলো তাকে দেখার জন্য এবং উত্তপ্ত করতে লাগলো। একেক জন একেক প্রশ্ন করেছিল এবং সেই অজানা কথাগুলোর উত্তর দিচ্ছিল ভূত আর সব কথাগুলোই কেন জানি সত্য হচ্ছিল।সেখানে একজন পরীক্ষার্থী ছিল ভূতকে জিজ্ঞাসা করল কাল আমার পরীক্ষা। পরীক্ষা ভালো হবে তো!তখন ভুত সালেহার উপর ভর করে সালেহা বলছিল পরীক্ষা ভালো হবে তবে কাল তোর একটু সমস্যা হবে।

সেই ছেলেটি একটু ভয়ে পরের দিন পরীক্ষা দিতে যখন গেল তখন দেখতে পেল তার এডমিট নিয়ে আসেনি। এদিকে পরীক্ষাও শুরু হয়ে গেছে কি করে। তখন ফোন করে তার বাড়ির লোকজনকে বললে তার বাবা এডমিট নিয়ে আবার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়।সেই বিষয়টি ছেলেটিকে অনেক অবাক করেছে। রাতে ভূত যা বলল তাই ঠিক হয়ে গেল। এরপর অনেকদিন সালেহাকে আর সেই ভূত ভর করেনি। মিয়া বাড়ির লোকজনও সালেহাকে সেই গাছের নিচে যাওয়া-আসা করতে দেয়নি। সালেহাকে সবাই অনেক আদর করত। আর সবাই অনেক সতর্ক ছিল সালেহা যেন ওই পথ দিয়ে কখনো যাওয়া আসা না করে।

এদিকে সেই রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে যা শুনে রীতিমতো সবাই অবাক। মিয়া বাড়ির পাশের এলাকায় একটি ছেলে দেখতে অনেক ফর্সা ও সুন্দর ছিল। কিন্তু বয়সে বড় হয়েও সে লম্বায় ছোট ছিল। মোটকথা তাকে খাটো মানুষ বলা যায়। একদিন অনেক রাতে ও যখন বাজার থেকে এই শ্যাওলা গাছের পথ ধরে বাসায় যাচ্ছিল।তখন আনুমানিক রাত সাড়ে বারোটা বাজে। চার দিকটা প্রচন্ড অন্ধকার। পাশে ছিল বাস ঝাড়।মোটামুটি একটা ভয়ংকর পরিবেশ। সুজন সেই পরিবেশ দেখে একটু ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু সুজনের ছিল প্রচণ্ড সাহস। এত সাহসী হয়েও সে ওখানে সেই পরিবেশে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারছিল না। এর মধ্যে শ্যাওলা গাছ থেকে একটি ছোট মানুষ শাড়ি পরে গাছ থেকে নেমে ওর সামনে চলে আসলো।

সেটা খুব অদ্ভুত এক রকমের ফেস। ভয়ংকর তার কথাবার্তা। সুজন সেটি দেখে সেন্সলেস হয়ে পড়ে গেল। হঠাৎ সেই রাস্তা দিয়ে একটি গাড়ি যাচ্ছিল। সেই মুহূর্তে সুজন রাস্তায় যখন সেন্সলেস হয়ে পড়েছিল তখন লোকটি গাড়ি থামিয়ে সুজনকে অনেকক্ষণ চেষ্টা করল সেন্স আনার জন্য। আশেপাশের মানুষজনকে ডাকাডাকি শুরু করলো। তারপর লোকজন একত্রে হয়ে সুজনের মুখে পানি ঝাপটা দিয়ে তার সেন্স ফিরিয়ে নিয়ে আসলো। তখন সুজন সবকিছু সবার সামনে প্রকাশ করল। এরপর থেকে সুজন আর সেই গাছের নিচ দিয়ে কখনো বাড়ি ফেরেনি। একটু কষ্ট হলেও দূর হলেও সে অন্য বিকল্প রাস্তা দিয়ে তার বাসায় ফিরত।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPbqYxJcZK9JtriFPdqZV3xXxtdk9yPisUeRGZ8ozrvr2rnUXs5cagAakwsFpC...crnZzhhqu4WYmao4vB3RGiHNTU8GnpyKxF83dd6bSwTqRwmbSmFsvHQugwruB3kXoq8vq41Z9g3n3c9cGisLLwmNhiGFhgH3Q5gyrPfV554nn9Ypt5xRrncPbs.gif

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjW7B16raykpRBBtyTQUFW7XGr7xZVLeBTFHMesz1y1YLMaRCqSDdTKqZZEuy...UDd94nf5tGguVVRooGELhKEmtBPjAkNGMsJyyMmhVnaHysGw6KxEdaBokPwW3W6CTvkv3wdBawHctPTTTnJdnpG8WRP1AXmDvTsKP94X1E3EZ5ujgXWURN5fJ6.png

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAM3QQ7FR6kib75sNWjeyY2KuEUDi8sz6bqHr6btS4ZpMjd6ZzLZfSH89YMHKJv...3fzs3sFLFAqLELDokXmVgfJ6YVr36Qp4638DGsHpuyWTc5MpwFu6c7wPYBdkH2rWxh2Ga7BCLPL77Z7xxfhZoshrNvtpGsWzLs2U3qCa94pcxDkP5iJQ32gXxJ.png

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.034
BTC 91275.94
ETH 3099.80
USDT 1.00
SBD 2.90