ছোট গল্প |||| ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০৪।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা অনেক সুন্দর সময় পরিবারসহ অতিবাহিত করছেন।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব ৪" হাজির হতে চলেছি।আমার প্রতিটি পোস্টে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্দীপনায় আমার গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।আশা করি এবারের পর্বটি আপনাদের অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করবে।তাই আর দেরি না করে চলুন গল্পটি পড়ে নেওয়া যাক।
রীতিমত খোঁজাখুঁজির পর একটি ছেলে মিললো প্রিয়াঙ্কার ভাগ্যে। ছেলেটিও মেয়েটিকে পছন্দ করেছে। ছেলেটির নাম জামান।মা-বাবা ও জামান এই তিনজন মিলে একটি ছোট পরিবার। জামান বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে অনেক বড় একটি চাকরি করতো। জামানরা ছোট্ট থেকে ঢাকায় বসবাস করত তার বাবা সেখানেই চাকরি করতো। একটি সময় দুই পরিবার দুজনকে দেখেই পছন্দ করে। তারপর বিয়ের ডেট ঠিক করে।
রীতিমত সেই ডেট অনুযায়ী বিয়েও হয় তাদের। বিয়ের পর প্রিয়াঙ্কা একটি মাস বাংলাদেশের ছিল তার শ্বশুর বাড়িতে। যখন -বিদেশে যাওয়ার সময় হল তখন না গিয়ে আর উপায় নেই। এই একটি মাসে জামাল ও প্রিয়াঙ্কার অনেক ভালোবাসার কত আয়োজন কত স্বপ্ন তাদের চোখে । কিভাবে তারা তাদের নিজের জীবনকে সাজাবে কিভাবে গোছাবে।কি করলে তাদের জীবনটা সুন্দর হবে। কারণ একটি মেয়ে বিয়ের পর অন্যের ঘরে যায় তখন তার মনের যত কল্পনা সেই পরিবারকে ঘিরেই।
জামান প্রিয়াঙ্কার চলে যাওয়ার কথা শুনে প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে ছিল।তার প্রিয়াকে যেতে দিবে না।জামান প্রিয়াঙ্কাকে বলল তোমার বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই আমি বেশ ভালো আছি। অনেক সেলারি পাই আমাদের এভাবে চলে যাবে। তোমার কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার কথা জামানকেও সে দেশের বাইরে নিয়ে যাবে। কিন্তু জামান কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না সে দেশের বাইরে তাদের সাথে থাকবে না। একটি সময় প্রিয়াঙ্কা তার শ্বশুর-শাশুড়িকে বোঝায়।তার বাবা-মাকে অনেক বোঝানোর পরে জামান রাজি হয়েছে।
এরপর চলতে থাকে তাদের সাথে ফোন আলাপ। দিন রাত ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের ভালোবাসার গল্প যেন শেষ হতে চায় না। তারপর প্রিয়াঙ্কার একটি মাস কেটে গেল দেশের বাইরে জামানকে ছাড়া । জামানো তার নতুন বউকে ছাড়া নিজেকে খুব অসহায় মনে করছে। কারণ সদ্য বিয়ে হয়েছে তাদের এই মুহূর্তেই দুজন দুই জায়গায় কিছুতেই ভালোবাসার মানুষটিকে দূরে থাকার ব্যাপারটি হৃদয়ে মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা ও জিৎ ধরে আছে প্রিয়াঙ্কা বাংলাদেশে থাকবে না।
কারণ যেখানে এত আরাম আয়েসে সেখান থেকে কেউ কখনো আসতে চায় না। সবাই চায় একটু উন্নত জায়গায় থাকতে। তারপর প্রিয়াঙ্কা কিছুদিন চলে যাওয়ার পর আবারও দেশে আসে। তার শ্বশুর বাড়িতে সবার সাথে বেশ ভালোভাবে দিন যাপন করে। একটি মাসের জন্য এসেছে। এই একটি মাসে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসছে এবং সেও তাদেরকে নিজের মা-বাবার মত দেখেছে। জামানের পরিবারকে এসে নিজের পরিবার ভেবে এতটা ভালোবেসেছে যে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে চোখে হারাতে চাচ্ছেনা। এদিকে জামানেরও দেশের বাইরে যাওয়ার কাগজপত্র রেডি হয়নি।তাই তো প্রিয়াঙ্কাকে আবারও একাই চলে যেতে হল।
কিছুদিন যাওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা যখন জামানকে বলল তোমার সব কাগজপত্র রেডি হয়েছে কিনা জামান বলল যে হ্যাঁ সব কাগজ পত্র রেডি করছি তবে এখন ডাক্তারের সব টেস্ট করাতে হবে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০৪"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
প্রিয়াঙ্কার জন্য ছেলে পাওয়া গিয়েছে আর তাদের বিয়েও হয়ে যায়। তবে তাদের সংসার ভালোভাবে চললেও প্রিয়াঙ্কা যখন বিদেশে চলে যায় তখন জামানের মন খারাপ হয়। মন খারাপ হওয়ারই কথা নতুন বউ কে দূরে রাখতে কেউ চায় না।প্রিয়াঙ্কার উচিত এখন সবাইকে নিয়ে দেশেই থাকা। এরপর জামানেরও বিদেশে যাওয়ার সব কিছু রেডি হয়ে গিয়েছে। এখন দেখা যাক ডাক্তারের টেস্ট করার পর কি হয়?
ঠিক ধরেছেন আপু বিষয়টা এই জায়গায় আমার গল্পের মূল আকর্ষণ।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকে এই গল্পের চতুর্থ পর্বটি শেয়ার করেছেন৷ এর পূর্ববর্তী পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর চতুর্থ পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো৷ শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কার জন্য একটি ছেলে পাওয়া গেল এবং সেই ছেলে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে বড় একটি পর্যায়ে চাকরি করে৷ তাদের দুজনের বিয়েও হয় এবং এক মাস তাদের খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত হয়৷ কারণ সে এই দেশেই ছিল৷ পরবর্তীতে যখন এক মাস হয়ে গেল এবং তার বিদেশ যাওয়ার সময় হয়ে গেল, তখন যেমন জামান সাহেব সে কথা শুনে অনেক মন খারাপ করলেন৷ তিনি না চাইতেও তার প্রিয়াঙ্কাকে বিদেশ চলে যেতে হল৷ তবে প্রিয়াঙ্কাকে যেভাবে জামানের পিতা-মাতা এবং জামান ভালোবাসা দিয়েছিল তা প্রিয়াঙ্কা কোন মতে ভুলতে পারছিল না৷ তাই কিছুদিন পরে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসে৷ তাদের সাথে সময় অতিবাহিত করে এবং জামানকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে, তার কাগজ তৈরি হয়েছে কিনা। তখন সে বলে রেডি হয়ে গিয়েছে৷ এখন শুধুমাত্র ডাক্তার দেখাতে হবে। পরবর্তী পর্বে কি হয় তা দেখার আশায় রইলাম৷ ধন্যবাদ৷
ভালোবাসার নীল গোলাপ গল্পটার ৪ তম পর্ব আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। প্রিয়াঙ্কার অবশেষে ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিয়েছে তার মা এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু বিয়ের এক মাসের সময় দেখছি প্রিয়াঙ্কা বিদেশে চলে এসেছিল। যদিও তার শ্বশুর শাশুড়ি এবং তার স্বামীর অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল। সে তার স্বামীকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। যদিও তিনি প্রথমে রাজি হচ্ছিল না পরবর্তীতে রাজি হয়েছে। এখন সবকিছুই রেডি হয়ে গিয়েছে। আর ডাক্তারির টেস্ট করানো প্রয়োজন, দেখা যাক ডাক্তারির রিপোর্টে কি আসে। আশা করছি তার স্বামী ও বিদেশে চলে যেতে পারবে।
সুন্দর মন্তব্য পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে বিয়ের একমাস পরেই যদি স্ত্রী বিদেশে চলে আসে, তাহলে প্রত্যেকটা স্বামীর কাছেই অনেক বেশি খারাপ লাগবে। এবং কি শ্বশুর-শাশুড়ির কাছেও খারাপ লাগবে। আর প্রিয়াংকা চলে আসার কারণেও তার স্বামী খুব কষ্ট পেয়েছিল। আবারো কয়েক মাস পরে গিয়েছিল এক মাসের জন্য, এটা শুনে ভালো লাগলো কিন্তু। প্রিয়াঙ্কা নিজের শ্বশুর-শাশুড়িকে প্রথমে রাজি করিয়েছিল, যেন সে তার হাজবেন্ডকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে। আর শ্বশুর শাশুড়িকে রাজি করানোর পরেই কিন্তু তার হাজবেন্ড রাজি হয়েছে। আবারো সে বিদেশে ফিরে আসার পর তার হাজবেন্ডের কাগজপত্র সব রেডি হয়ে গিয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। এখন তাহলে ডাক্তারের টেস্ট করানো বাকি, তারপর বিদেশ চলে আসবে তার হাজবেন্ডও।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।