রেসিপি পোস্ট ||| রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখি ঝোল।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ আপনাদের মাঝে "রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখি ঝোল" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।কচু অবশ্যই দুই রকমের হয়ে থাকে একটি লম্বা কচু আর একটি ছোট কচু।কচুর ভিতরে প্রচুর আয়রন থাকে এবং অন্যান্য গুণাগুণও আছে। জানিনা এই কচুর মুখি আপনাদের কেমন লাগে তবে আমার অনেক ভালো লাগে। কচুর মুখির ভর্তা, কচুর মুখির চড়চড়ি, কচুর মুখির ঝোল অনেকভাবে রেসিপি তৈরি করা যায়। তবে যেভাবেই রেসিপি তৈরি করেন না কেন কচু সবজিটি কিন্তু খেতে ভালো লাগে।আমি আজ আপনাদের মাঝে "রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।কচুর মুখি।
২।রুই মাছ।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।হলুদ গুঁড়া।
৭।জিরা গুঁড়া।
৮।ধনিয়া গুঁড়া।
৯।লবণ।
১০।তৈল।
১১। সরিষা।
প্রথমে কচুর মুখি গুলো ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি ।
এবার রুই মাছ লবণ দিয়ে ঘসে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
সেই পরিষ্কার করা মাছগুলোতে হলুদের গুঁড়ো,মরিচের গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মেখে নিয়েছি ।
এবার একটি ফ্রাই প্যানে মাছগুলো ভেঁজে নিয়েছি।
কাঁচামরিচ পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
সরিষা শিল্পাটায় থেঁতলে নিয়েছি।
এবার ফ্রাই প্যানে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, রসুন, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়ো , জিরা গুঁড়ো, লবণ ও তৈল দিয়ে মসলার উপকরণ গুলো ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া মসলার ভিতরে কচুর মুখি গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
কচুর মুখি কষিয়ে নেওয়ার পর কিছু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে মাছগুলো দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। একটু অপেক্ষা করেছি তারপর হয়ে গেল আমার "রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল" রেসিপি।এবার এই "রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছের মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।
এমন প্রস্তুত করার রেসিপি আমারও খুব ভালো লাগে খেতে ।
ফটোগ্রাফি এবং প্রস্তুত প্রণালী দেখে সত্যি অনেক লোভে পড়ে গেছি।
খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে ।
জি ভাই খেলে অনেক মজার ছিল।
রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। যদিও কচুর মুখি দিয়ে এভাবে কখনো রুই মাছ খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই হবে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু কচুর মুখি আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। আমার সব কিছুতে অনেক ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ দিয়ে খেতে তাছাড়া বড় মাছের সাথেও খেতে ভালো লাগে। আপনি রুই মাছ দিয়ে অনেক মজার করে কচুর মুখি রান্না করলেন। আপু দেখেতো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। রেসিপি টি দারুণ ছিল আপু।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছ ও কচুর মুখী দুটো খেতেই আমি পছন্দ করি। আপনি রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখীর খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দ শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপির কালারটা অনেক সুন্দর এসেছে। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কচু তো আলাদা আর কচুমুখী আলাদা । কচুর মুখি দিয়ে যেকোন তরকারি রান্না করলে আমার কাছে খেতে ভালো লাগে । যদিও অনেক দিন খাওয়া হয় না অনেকদিন । আগে যখন বাসায় ছিলাম তখন আম্মা খুব মজা করে রান্না করত । আমার হাসবেন্ড এমন একটা পছন্দ করেনা এই জন্য আর খাওয়াও হয় না । আপনার রুই মাছের তরকারি দেখে মনে হচ্ছে মজাই হয়েছিল ।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কচুর মুখি সত্যি খুব সুন্দর একটি সবজি।রুই মাছের তো তুলনাই হবে না।রুই মাছ সব কিছুর সাথেই খুব সুন্দর ও মজাদার হয় খেতে।আপনার কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছের রেসিপিটি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।ধাপে ধাপে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
ঠিক বলেছেন আপু কচুতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কচুর মুখি আমার কাছে খেতে ভালোই লাগে। তাছাড়া কচুর মুখি দিয়ে কোন কিছু রান্না করলে বাচ্চাদের খাওয়াতে সুবিধা হয়। আপনার আজকের রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ মজাদার হয়েছিল। কালারটিও লোভনীয় এসেছে।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি ছিল।
আপু, কচুর মুখি সবজি হিসেবে খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের সাথে কচুর মুখির রেসিপিটা বেশ মানিয়ে যায়। তবে রুই মাছ দিয়েও কচুর মুখি খেতে কিন্তু মন্দ লাগেনা। আর আপনি তো সর্ষে বাটা দিয়ে ভিন্ন স্বাদের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপু আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। আর এই লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মাছের রেসিপি তৈরি করার সময় সরিষা বাটা দিলে খেতে অনেক ভালো লাগে। রুই মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। রুই মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ছিল।