ছোট গল্পটি ||| একজন করিম মিয়া পর্ব-০৫।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা এবং বাংলার এপার ওপারের সকল বন্ধুরা আশা রাখি ভাল আছেন ও পরিবারসহ সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার করুণায় পরিবারসহ সুস্থ আছি এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছি।

IMG_20240214_204042.jpg
Source
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "একজন করিম মিয়া পর্ব-০৫" নিয়ে হাজির হয়েছি। জানি আমার গল্পের প্রতিটি পর্ব আপনারা অনেক মনোযোগের সহিত পড়েছেন এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে কাজের গতি অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।আশা করি আজকের এই পর্বটিও আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পড়বেন।তবে এই গল্প পড়ে যদি আপনাদের কেউ কোন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আমি আমার এই গল্প লেখার সার্থকতা খুঁজে পাবো।

এই কথা শোনার পরে তার মা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং তার বোন অনেক বকাবকি করে করিমের সঙ্গে যে তোমার এখন টাকা হয়েছে দেখে তুমি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেলে। আমরা কি করবো তুমি একটু ভাবলা না তাহলে এতদিন কষ্টের সময় কেন আমাদেরকে তোমার পাশে রাখলা।তখন এসব কোন প্রশ্নের উত্তর করিম মিয়া না তার বোনকে দেয় না এবং কোন কথা না বলে সেখান থেকে তার স্ত্রী ও মহারাজাকে নিয়ে উঠে যায় তাদের সেই স্বপ্নের দালান কোটায়।এরপর করিম মিয়া তার স্ত্রী ও মহারাজা মিলে তাদের স্বপ্নের দালান কোটায় অনেক সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করা শুরু করলেন।একসময় তার স্ত্রী তাকে বলে তুমি একটি ব্যবসায় নিজেকে আবদ্ধ করো যে ব্যবসা করে আমরা আরো অনেক অনেক টাকার মালিক হব।তখন করিম মিয়া বিভিন্নজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মাছ চাষের ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন স্বামী স্ত্রী মিলে।

করিম মিয়া মাছ চাষের জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুকুর লিজ নেওয়া থেকে শুরু করে মাছের খাদ্য, মাছের পোনা সংগ্রহ সবকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।এবার করিম মিয়ার জীবন শুরু হল ব্যবসায়িক এবং সেটি হল মাছ চাষের ব্যবসা।সে প্রথমেই শুরু করলেন পাঁচটি পুকুর লিজ নিয়ে এবং পাঁচটি পুকুরেই মাছের পোনা ছাড়েন।প্রথম ছয় মাসে এই পাঁচটি পুকুর থেকে যে মাছ বিক্রি করলেন তা দিয়ে তার পাঁচটি পুকুরের লিজের টাকা এবং খরচের সম্পূর্ণ টাকা উঠে আসলো। এতে সে অনেক খুশি যে তার ব্যবসা অনেক ভালো হচ্ছে এবং পরবর্তীতে সে এই পুকুর থেকে অনেক অনেক টাকা লাভ করলেন।

করিম মিয়ার মাছের ব্যবসা এতই ভালো চলছিল যে মাঝে মাঝে তার মাছের ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যেত সেই নষ্ট ডিমগুলো যদি কোন অপব্যবহারিত পুকুরে ফেলে রাখত সেখানেও সেই ডিমগুলো থেকে মাছের সৃষ্টি হত আর সেই পোনা বিক্রি করে সে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিলেন।এভাবে তার ব্যবসায়িক জীবনটা অনেক সুন্দর ভাবে কাটছিল কিন্তু তার মা এবং বোনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।এক সময় তার বোন শহরে চলে যান এবং তার মা তার দালানকোটার সামনে ছোট্ট একটি ঝোপটির ভেতরে রাত কাটাতেন এবং সেখানে থেকে অন্যান্যদের বাড়িতে কাজ করে তার জীবিকা অতিবাহিত করতেন।কিন্তু এই পরিস্থিতি দেখেও করিম মিয়া কখনো কোনদিন কোন টাকা পয়সা বা খাবার দিয়ে তার মা বোনকে সাহায্য করতেন না।

তবে গ্রামের অন্যান্য গরিব মানুষদেরকে বিভিন্ন অকেশনে টাকা এবং খাবার দিতেন।এভাবে করিম মিয়া অনেক টাকার মালিক হয়ে যান একসময় দেখা যায় তার টাকার হিসাব সে নিজেই জানে না।এদিকে করি মিয়ার মা অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে এবং তার বোন শহরে গিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যের বাসায় কাজ এবং টিউশনি করে তার খরচ চালিয়ে তার মাকে মাসে মাসে টাকা পাঠিয়ে দিতেন মায়ের চলার জন্য।মেয়ের সেই টাকা দিয়ে মা নিজের কোন খাবার খরচ বা পোশাক-আসা করতেন না কারণ মা একটি চিন্তায় করতে যে আমার মেয়েটা কোথায় যাবে তার তো অনেক টাকার দরকার।

মেয়ে মানুষ তাই তার মা টাকাগুলো জমিয়ে রাখতেন এবং মা অন্যের বাসায় কাজ করে নিজের জীবিকার সকল খরচ চালাইতেন।এভাবেই চলছিল করিম মিয়ার সকল সদস্যের দিন যাপন।এদিকে করিম মিয়া বিভিন্ন ব্যবসায় বিভিন্ন জায়গায় লোক নিয়োগ দিলেন এবং তাদের দেখাশোনার জন্য একজন ম্যানেজারকে নিয়োগ করলেন। সেই ম্যানেজার সকল ব্যবসার হিসাব পত্র রাখতেন।এ পর্যায়ে করিম মিয়ার প্রায় ৫০ টির উপরে পুকুরে মাছের চাষ চলছিল আর মূলধন প্রায় কয়েক শত কোটি টাকা তে দাঁড়িয়ে গেছে।

3V3rr4S3jU49uJ7YGXMfCAW8jdBAMcLpwKuDWQd3Wy8m3RekHFxfRPKJioki9L8rkjapja4Mb7D94eECZLrGjWymqaiFuhAafHyafmaKCx...Z4KvPeHqd9WSyKYLr5cUgCWeoXKYC3uzU9AG7XZCibPhjqYMguNySRGiZ2aW4KTPVTUwZ5Bo3KXN55z6Nx7BC37jdk1bfRWUEMC329RvYSZTX11rQcnAHN9idk.png

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- ছোট গল্পটি "একজন করিম মিয়া পর্ব-০৫"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WCnFCoaf77HnnjtGbxvtcZCVRGcMv32JELn7yGd7yduEbShNRxvckSFu5qxWm...4DBE7bSVB6BMULGX4TiDD37LfoKG4LDay4BF3jrUv6vvtoQgQ4ehXkDbqeAwyZ67B7q88vWNYwYe5K84y94JWzcu4Af3kiuQQ3akwFfHeiCdAEkfAf6qBTacXg.png

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WQ9FoKXR6nY3eBXCyiFUDJvfgKpLEANiBKgd7Bwzjx9dLbdyUgWA6hMA3ras9...mvabhXst56JJLqJrLgEkFMJYL2J1JjkehZ8JdUmrkYeqnLKEkC7h5MKoXUDJeoguKyAx72Ktc9j7XvAJLo3LCEogU2ZQ8wTyLQ76aXSY1SdKekLiuM5iKZAWwp.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPbqYxJcZK9JtriFPdqZV3xXxtdk9yPisUeRGZ8ozrvr2rnUXs5cagAakwsFpC...WFaaJHmXrxi5zwucUeo3mURWYKXw8Yzqstr8dvh3M1JDWxyrhGVnz8hWdG4EzTnPiDJSxmAXjGFzUJooULrkd8xDqMXzapJE9ubMNuVesQbzQucb8ksjRR8kdT.gif

Sort:  
 4 months ago 

করিম মিয়ার এই গল্পটার এর আগের দুইটি পর্ব আমার পড়া হয়েছে। দেখতে দেখতে করিম মিয়া গল্পটার পঞ্চম পর্ব শেষ হয়ে গেল। করিম মিয়া দেখছি নিজের মা বোনের কোন খোঁজ খবরই রাখেনি তাদেরকে বের করে দেওয়ার পর থেকে। আর তার মা বোন শহরে গিয়ে উঠেছিল এবং মানুষের বাড়িতে কাজ করে নিজেদের জীবন চলাচ্ছিল। করিম মিয়া দেখছি মাসে অনেক টাকা আয় করছিল মাছ চাষের মাধ্যমে। দেখা যাক এই গল্পটার শেষ পর্যায়ে কি হয়। আশা করছি আপনি শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে।

 4 months ago 

সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 65439.84
ETH 3570.73
USDT 1.00
SBD 2.47