DIY ||| এসো নিজে করি ||| মেহেদির ডিজাইন।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সবাই সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আমি আপনাদের মাঝে আজ নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি মেহেদির ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছি। মেহেদী দিয়ে হাত রাঙাতে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। একটি সময় আমারও অনেক ভালো লাগতো। প্রায় সময়ই হাতের আঙ্গুলে মেহেদি লাগাতাম। এখনো ভালো লাগে মেহেদি পড়তে তবে সময় সুযোগ সব সময় হয়ে ওঠেনা মেহেদী হাতে পড়তে। তবে ঈদ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি হাতে মেহেদি পড়ি। আমার অনেক ভালো লাগে মেহেদী পড়লে।আর মেহেদি হাতে লাগালে মনটাও আনন্দে থাকে।মনটা যদি আনন্দে থাকে সব কাজ করে শান্তি পাওয়া যায়। তাই চেষ্টা করি সব সময় মনটাকে আনন্দে রাখার জন্য।আমি আমার হাতে যখন মেহেদি পড়ছিলাম তখন আমার ছেলে এসে আমাকে বলল আমার হাতে মেহেদি পড়িয়ে দাও। যদিও হাতগুলো ছোট ছিল মেহেদির ডিজাইন সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করেছি ছোট হাতে মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মেহেদির ডিজাইন" কিভাবে করেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।মেহেদী ।
প্রথমে হাতে একটি ফুল এঁকে নিয়েছি মেহেদি দিয়ে।
এরপর ফুলের মাঝে ছোট একটি বৃত্ত ভরিয়ে দিয়েছি।
এবার একটি পাতা এঁকে নিয়েছি।
ঠিক একই ভাবে আরেকটি পাতা অংকন করেছি এবং সেই পাতার ভেতরে ডিজাইন করে নিয়েছি।
পাতা দুটোর উপরে অর্ধেক একটি ফুল এঁকে নিয়েছি।
অর্ধেক ফুলের ওপরে গোল করে নকশা করে নিয়েছি।
সেই নকশার উপরে আরেকটি বড় পাতা ডিজাইন করে নিয়েছি এবং তার সাইডে আরেকটি পাতা করে নিয়েছি।
ওপরের পাতা থেকে নখের লাস্ট পর্যন্ত আঁকাবাঁকা ডিজাইন করে নিয়েছি ।
আঁকাবাঁকা ডিজাইনের প্রত্যেকটি জায়গা ফুল করে নিয়েছি এবং তার ফাঁকে পাতা করে নিয়েছি।
এবার নিচের দিকে আরেকটি ফুল ও পাতা করে নিয়েছি।
এবার দ্বিতীয় আঙ্গুলে বাঁকা করে আরেকটি ডিজাইন করে নিয়েছি এবং সেই ডিজাইনের প্রত্যেকটি জায়গায় ছোট বড় করে পাতার সেভ করে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মেহেদির ডিজাইন"।এবার এই
"মেহেদির ডিজাইন" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ডাই পোস্ট "মেহেদির ডিজাইন"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আপনার মতো আমিও মেহেদি পড়তে খুব পছন্দ করি। কিন্তু সময়ের অভাবে পড়া হয়না। তবে এটা ঠিক বলেছেন মেহেদি পড়লে মন আনন্দে থাকে আর মন আনন্দে থাকলে যেকোনো কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর মেহেদির ডিজাইন করেছেন। আপনার এই ডিজাইন সিম্পল হলেও দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি মেহেদির ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ছেলের হাতে আপনি বেশ সুন্দরভাবে মেহেদী ডিজাইন তৈরি সম্পন্ন করেছেন। সত্যি প্রতিটা মানুষের বেশ পছন্দ করে মেহেদী হাতে দিতে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার ডাই পোস্টটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
মেহেদী পড়তে এবং কারো হাতে মেহেদি পরিয়ে দিতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনার ডিজাইনটি সিম্পল হলেও দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এত সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার সাথে একমত আপু।
বেশ সুন্দর মেহেদির ডিজাইন করেছেন। আপনার মেহেদির ডিজাইন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। হাতে মেহেদি দিতে আমারও খুব ভালো লাগে। তবে ব্যস্ততার কারণে মেহেদি দেয়া হয় না । বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং বিয়েতে হাতে মেহেদী দেওয়া হয় । আপনার মেহেদির ডিজাইন হাতে দিলে বেশ মানাবে নিশ্চই। এত চমৎকার মেহেদির ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নিজে নিজে কোন কিছু পারাটা খুবই একটা ভালো ব্যাপার। আপনি আজকে মেহেদি ডিজাইন তৈরি করেছেন। ডিজাইন তৈরির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তবে আপনার মত আমিও আগে আঙ্গুলের মধ্যে মেহেদি লাগাতাম। তবে সবাই মেহেদি লাগাতে কম বেশি অনেক পছন্দ করে। এখন ব্যস্ততার কারণে তেমন মেহেদি আমিও দিতে পারি না। তবে আজকে আপনি খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন আর্ট করেছেন। আপনার মেহেদি লাগানো দেখে আপনার ছেলেও হাতে মেহেদি লাগিয়েছে। ছোট বাচ্চাদের হাতগুলো এমনি ছোট হয়। আপনি খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক সুন্দর করে মেহেদির ডিজাইন আর্ট করেছেন। আপনার মেহেদি ডিজাইন অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। তবে সবাই কম বেশি মেহেদি হাতে লাগাতে অনেক পছন্দ করে। যদিও মেহেদি লাগাতে আপনার ছেলেও মেহেদি লাগানোর জন্য বসে পড়েছে। খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন হাতের মধ্যে লাগিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মেহেদি ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ এবং সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে একটা সময় হাতে মেহেদি প্রচুর দেওয়া হতো। আর ঈদ আসলে তো কোন কথাই নেই ।মেহেদী না দিলে যেন ঈদ হত না ।কিন্তু এখন সময় কত পরিবর্তন হয়েছে মেহেদী এখন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠেনা ।আর এখন নিতেও ভালো লাগে না ।নিলে কাজ করার জন্য রং উঠে যায় এজন্য নিতেও ইচ্ছা করে না ।তবে আপনার মেহেদির ডিজাইন টি বেশ ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।