ছোট গল্প ||| তবুও ভালোবেসে যাবো দ্বিতীয় পর্ব।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলেই তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান গুলো সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "তবুও ভালোবেসে যাব" নিয়ে হাজির হলাম।প্রথম পর্বটিতে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা পেয়ে গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।তাই খুব দ্রুত দ্বিতীয় পর্বটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দ্বিতীয় পর্বে কি আছে দেখে নেওয়া যাক।
প্রিন্স ইংরেজিতে অনেক ভালো স্টুডেন্ট।ইংলিশ মুভি গুলো দেখতো এবং গান শুনত। আর ব্যান্ডের গান ছিল প্রিন্সের অনেক প্রিয়। যখন কলেজ বন্ধ থাকতো তখন সে চলে আসতো তার বাবা মার কাছে। ছোট থেকে খালার কাছে মানুষ হলেও বাবা মার আদর থাকে আলাদা। বাবা-মার ভালোবাসার টানে যখন কলেজ বন্ধ হতো তখন ছুটে চলে আসতো বাবা-মার কাছে। প্রিন্সের কোন বন্ধু ছিল না সে একা চলতে ফিরতে অনেক ভালোবাসতো। বড় ভাই হিসেবে তার দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। তারপরেও ছোট ভাই ও বোন কোন সমস্যা করলে প্রিন্স তাদের সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলত এবং ভালোবাসা দিয়ে তাদের সব কিছু বোঝা তো।
প্রিন্সের ভিতর এতটাই ভালোবাসা ছিল যে,সে কখনো কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে কথা বলত না। এদিকে যখন প্রিন্স তার বাবা-মার বাসায় চলে আসতো তখন তার খালা ও খালু ছটফট করতো প্রিন্সের জন্য।যদিও তাদের সন্তান ছিল তারপরও প্রিন্সকে ছোটবেলা থেকেই মানুষ করেছে এজন্য প্রিন্সের প্রতি ভালোবাসাটা একটু বেশি। হঠাৎ প্রিন্সের খালু স্টক করে। আর স্টক করার পর সে তখন মারা যায়।
কিছু দিন ওখানে থাকার পর প্রিন্স নিজে থেকেই চলে আসে। কারণ প্রিন্সের মনে হচ্ছিল যে তার ভালো এ পৃথিবীতে নাই তার খালার উপর এতটা চাপ প্রয়োগ করা তার ঠিক হবে না। তাই সে খালার সঙ্গে পরামর্শ করল যে খালা অনেকদিন তোমার সঙ্গে থেকেছি একই পরিবারের মানুষ হয়েছি যদি কোন ভুল ত্রুটি করে থাকি তাহলে মাফ করে দিও।
আমি এখন আমার মা-বাবার কাছে যেতে চাই। তবে তুমি মন খারাপ করো না আমি প্রত্যেক মাসে একবার হলেও তোমার কাছে দু তিন দিন থেকে যাব। প্রিন্সের খালা একটু মন খারাপ করে প্রিন্সকে বলল। বাবা তুই এখন প্রচন্ড বড় হয়েছিস এবং তোর বোঝার ক্ষমতাও অনেক হয়েছে।আমি এখন তোকে আর আটকাতে পারবো না। কারণ একটি ছেলে ভাল মন্দ বোঝার সময় যখন হয় তখন সে নিজেরটা বুঝতে পারে।
তবে তুমি তোমর যত্ন নিও সব সময় ভালো থেকো।আর সৃষ্টিকর্তা যেন তোমাকে সব সময় ভালো রাখে। তোমাকে নিয়ে আমাদের সব সময় মনে একটি আতঙ্ক থাকে। মন খারাপ করে কখনো থাকবে না আনন্দ উল্লাসে থাকবে। এমন অনেক কথা প্রিন্সের খালা প্রিন্সকে বুঝিয়ে বলল। কারণ প্রিন্সের ছিল হার্টের রোগ। অনেক ছোটবেলায় তার একটি সমস্যা হয়েছিল।তখন তার সবকিছু আলট্রা করে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখল তার হার্ডে ছিদ্র হয়ে গেছে।
এদিকে প্রিন্সের মা ও বাকি বাচ্চা দুটোকে মানুষ করতে হিমশিম খাচ্ছিল। তাই প্রিন্সকে তার খালা অনেক আদর যত্নে মানুষ করেছে। আর প্রিন্স তো ছিল তার খালার জন্য পাগল মা কে ছাড়তো কিন্তু তার খালাকে ছাড়তো না।তারপর তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করালো এবং তাকে হার্ডে রিং পরানো হলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।তবে পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে আসবো সে পর্যন্ত শুভ বিদায়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আপনার শেয়ার করা আজকের এই গল্পটার প্রথম পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি, তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। প্রিন্সের খালুর মৃত্যুর কথা শুনে সত্যি খুব খারাপ লেগেছে। আর প্রিন্সের হার্টের প্রবলেমের কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। এখন তো সে তার খালার কাছ থেকে চলে যাচ্ছে নিজের বাবা-মায়ের কাছে। এখন দেখা যাক এরপর কি হয়। আশা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে পরবর্তী পর্বটা শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তবুও ভালোবেসে যাবো এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব টা অনেক সুন্দর ছিল। এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমি পড়িনি। কিন্তু এই পর্বটা সম্পূর্ণ পড়লাম। পড়তে তো দারুন লেগেছে। ভাবতেছি এই গল্পের পরবর্তী পর্বে কি হবে। প্রিন্স যেহেতু ছোটবেলা থেকেই নিজের খালার কাছে থাকতো, তাইতো খালা খালু তার জন্য এত বেশি পাগল ছিল। এমনকি সে নিজেও তাদের জন্য অনেক বেশি পাগল ছিল। তার খালুর মৃত্যুর কথাটা শুনে খারাপ লেগেছে। আর প্রিন্স ও দেখছি অসুস্থ। তার হার্টের ছিদ্রর কথাটা শুনে খারাপ লেগেছে।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তবু ও ভালো বেসে যাব গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে যা বুঝলাম প্রিন্সের হয়তো বড় কোন সমস্যা হবে।আসলে প্রিন্স এর খালুর মৃত্যুর হলে প্রিন্স তার খালার কাছ চলে আসে। তবে প্রিন্সের অসুস্থতার কথা জেনে অনেক খারাপ লাগলো যাইহোক প্রিন্স এর হার্ডে রিং পড়ানো হলো।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।