ছোট গল্প |||| একজন করিম মিয়া শেষ পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও ভালবাসায় এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালোভাবে সময় অতিবাহিত করছি।
Source
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো ছোট গল্প "একজন করিম মিয়ার শেষ পর্ব" নিয়ে হাজির হলাম।আপনাদের সকলের সুচিন্তিত এবং সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই পড়বে আমি কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
হঠাৎ একদিন তার ম্যানেজার সাহেব তাকে রাত্রে বেলায় ফোন করে বলছে যে স্যার আপনার পাঁচটি পুকুরে কে যেন কীটনাশক প্রয়োগ করেছে আর পুকুরের সব মাছ মারা গিয়েছে এবং পানির ওপরে ভেসে উঠেছে।তখন করিম মিয়া তার ম্যানেজার সাহেব কে বলেন যে কে এই কীটনাশক দিয়েছে তুমি এটা খুঁজে বের কর এবং থানায় একটি তার নামে কেস করে দাও।তখন ম্যানেজার সাহেব এটি খোঁজাখুঁজির পরে দেখল যে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের ছেলের নির্দেশে একজন ব্যক্তি এই কীটনাশক প্রয়োগ করেছন।
এরপর ম্যানেজার সাহেব করিম মিয়াকে ফোন করে আবার বিষয়টি জানান এবং করিম নিয়ে অনেক রাগের সুরে বলেন আমি তো তোমাকে বলেছি কেস করতে তুমি কেস করে দাও।এরপর ম্যানেজার সাহেব সেই চেয়ারম্যানের ছেলের নামে কেস করেন এবং কেসের বাদী হিসাবে করিম মিয়াকে রাখেন।এই খবর চেয়ারম্যানের ছেলে জানার পরে আরও শৃংখল হয়ে পড়েন এবং বলেন যে করিম মিয়ার সবকিছু ধ্বংস করতে কি করতে হবে আমি তাই করবো।এবার চেয়ারম্যানের ছেলে করিম মিয়ার ম্যানেজারকে বলে যে করিম মিয়া তো লেখাপড়া জানে না ওর ব্যাংক ব্যালেন্সেে তুমি আমার নাম ঢোকানোর ব্যবস্থা করো এবং ওকে আমি সর্বশ্রান্ত করে ছাড়বো।
এভাবে চেয়ারম্যানের ছেলে করিম মিয়ার ম্যানেজারকে সম্পূর্ণ তার আওতায় নিয়ে নেয়। আস্তে আস্তে করিম মিয়ার ব্যবসার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই চেয়ারম্যানের ছেলে করিম মিয়ার পুকুরগুলোতে আস্তে আস্তে বিভিন্ন কীটনাশক এবং বিভিন্নভাবে তার ব্যবসার ক্ষতি করেন।দিনের পর দিন যখন করিম মিয়ার বিভিন্ন পুকুরে কীটনাশক দেওয়ার খবর শুনতে পেল।তখন আস্তে আস্তে করিম মিয়া চিন্তায় চিন্তায় অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
কিছুদিনের মধ্যে করিম মিয়া অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লেন বুকের ব্যথায় তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরে ডাক্তার বলেন তার হার্ট ব্লক হয়ে গেছে।তখন ডাক্তারেরা তার চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।এই কথা শোনার পরে করিম মিয়া আবার তার দালানকোঠায় আসেন এবং দালানকোঠায় ঢোকার সময় সেই মায়ের ঝোপটি ঘরের সামন দিয়ে যেতে হয় আর সে সময় মা তাকে দেখে অনেক কান্নায় ভেঙে পড়েন।এরপর করিম মিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং মা বিষয়টি জানতে পেরে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রার্থনা করেন এবং ছেলের জন্য অনেক দোয়া করেন।
আর এদিকে প্রায় করিম মিয়ার ৫০ টি পুকুর থেকে প্রায় ১০ টি পুকুরে ব্যবসা নেমে আসে। ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে দেখা যাচ্ছে যে তার অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছিল।করিম মিয়া তার হাডেরচিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান আর এদিকে তার ম্যানেজার প্রায় তার সকল অর্থ চেয়ারম্যানের ছেলেরে কথায় শেষ করে দেওয়ার মুহূর্তে নিয়েছেন।বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করিম মিয়া তার ম্যানেজারকে বলেন যে তার প্রায় ৫০লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তখন তার ম্যানেজার বলেন যে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার মত টাকা আমাদের একাউন্টে নেই স্যার।এই কথা শোনার পরে করিম মিয়া এমন ভাবে অসুস্থ পড়েন যে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান।
এখানে আমার একজন করিম মিয়ার জীবনী শেষ।তবে এখান থেকে আমি আশা করব যদি আপনারা কোন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আমার এই গল্প লেখাটি সার্থক হবে।আজকের মত এখানে শেষ করছি আবারো কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "একজন করিম মিয়া শেষ পর্ব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে একটা মানুষের বেশি অর্থ হয়ে গেলে তার মধ্যে অহংকার চলে আসে। সে তখন নিজের ফ্যামিলি কেউ ছেড়ে দেয় নিজের কাছের মানুষদের কেউ ভুলে যায়। তেমনি করিম মিয়া নিজের মা এবং বোনকে দালানকোঠায় থাকতে দেয়নি তাদেরকে চলে যেতে বলেছিল। আর তার সব পাপের শাস্তি সে পেয়েছিল। তার সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছিল চেয়ারম্যানের ছেলে। করিম মিয়া চাইলেই পারতো সবাইকে নিয়ে একসাথে সুখে থাকতে এবং কি ভালোভাবে জীবন কাটাতে। একেবারে শিক্ষনীয় একটা গল্প ছিল এটা সবগুলো পর্ব ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে টাকা মানুষকে অনেক পরিবর্তন করে।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো হয়তো পড়ার সুযোগ হয়নি তবে শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। তারজন্যই বলে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। যখন কারো অতিরিক্ত টাকা পয়সা হয়ে যায় তখন সে অহংকারী হয়ে উঠে। করিম মিয়া চাইলেই পারতো পরিবারের সবাইকে একসাথে নিয়ে সুখে থাকতে। কিন্তু তা না করে মা বোনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সেই পাপের শাস্তি সে পেয়েছে। তারজন্য বলে কিছু মানুষের পাপের শাস্তি নাকি জীবিত অবস্থায়ই পেয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু শিক্ষনীয় একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি আপনার যে ভালো লেগেছে এটি জেনে অনেক ভালো লাগলো এবং গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেল।
সোর্স উল্লেখ করুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।