সচেতন মূলক পোস্ট ||| বিপদ যখন আসে বলে কয়ে আসে না।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি জেনারেল রাইটিং "বিপদ যখন আসে বলে কয়ে আসে না"। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ব্লগটি শুরু করা যাক।
এই পৃথিবীটা বড়ই সুন্দর। সুন্দর এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে সবকিছু দিয়েছেন আমাদের ভালো থাকার জন্য। সৃষ্টিকর্তা তার বান্দাদের যতটুকু ভালোবাসেন মনে হয় না এই ভালোবাসা আর কারো কাছে আছে। তিনি আমাদের ক্ষণিকের জন্য এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।এই পৃথিবী ছেড়ে আমাদের সকলকেই একদিন চলে যেতে হবে।এটা যেমন সত্য তেমনি এই পৃথিবীতে বসবাস করার জন্য আমাদেরকে নানান রকমের পরীক্ষাও দিতে হয়।এই পরীক্ষায় হয়তো কেউ উত্তীর্ণ হয় আবার কেউ হয়তো বা বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তবে যে যেভাবেই থাকুক না কেন সৃষ্টিকর্তা সকলের ভালোর জন্যই সবকিছু করে।
আজ আমি আমার একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি এবং সেই ঘটনার পর থেকে আমার মন একটু খারাপ তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি এবং অনেকেই হয়তো বা একটু সাবধানের সঙ্গে কাজ করবে।গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল। আর বৃহস্পতিবার মানেই সব আনন্দ এটি আমাদের বাংলা ব্লগের সবারি জানা। তাইতো খুব দ্রুত সব কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করছিলাম। কারণ হ্যাংআউটে উপস্থিত না থাকতে পারলে ভালো লাগে না আমার।
আমি এ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি সবগুলো হ্যাংআউটে উপস্থিত থাকার জন্য। তাই বৃহস্পতিবার মানে সব কাজ আমি অতি নিমেষে খুব তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করি। বাসার সব কাজ কমপ্লিট করার পর। যখন দুপুরের আযান দিল তখন গোসল করে ফ্রেশ হয়ে ভেঁজা কাপড়গুলো বারান্দায় নাড়ছিলাম। তারপর মনে হল এখন অযু করে নামাজটা পড়ে নেই। তারপর ওযু করে জায়নামাজ টি পারলাম। কেন জানি মনে হচ্ছিল প্রচন্ড গরম লাগছে একটু শান্তিতে নামাজ পড়ি। বাসায় কেউ ছিল না।অযুর ওড়নাটি রেখে হিজাব পড়ে নামাজ পড়বো।
ঠিক সেই মুহূর্তে আমি ভেঁজা হাতে স্ট্যান্ড ফ্যানটির প্লাস লাগাচ্ছিলাম এবং সুইচওয়ান করা ছিল। সুইচ যে ওয়ান করা ছিল সেটা আমি খেয়াল করিনি। আর ভেঁজা চুলগুলো যখন ফ্যান ঘুরে উঠল তখন সেই ফ্যানের খাঁচার ভেতরে গিয়ে অটোমেটিক খুলেও গেল। জোরে একটি আওয়াজ হল তখন আমি বুঝতে পারলাম চুলগুলো ফ্যানের ভেতরে গিয়েছিল। আর সেই মুহূর্তটা যতবার ভেবেছি ততবার আমি কেঁদেছি হয়তোবা সৃষ্টিকর্তা আমাকে আজ একটি নতুন জীবন দান করল।
হয়তোবা সে মুহূর্তটায় আমি চলে যেতে পারতাম না ফেরার দেশে। আর আপনাদের মাঝেও হয়তোবা আর কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হতে পারতাম না। তখন জায়নামাজে বসে আমি এক ঘণ্টার মতো কেঁদেছি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছি আর বলেছি নতুন জীবন দান করার মালিক তুমিই শুধু।আসলে বিপদ কার কখন আসে কেউ বলতে পারেনা। আর বাসায় একা থাকাও ঠিক না। আর যেকোনো কাজ করতে গেলে সচেতনতার সাথে করা উচিত। আসলে সুইচটি ওয়ান করা ছিল এটা আমি বুঝতে পারিনি আর আমার দেখা উচিত ছিল। আজ হয়তোবা সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তার জন্য আপনাদের মাঝে নতুন ব্লগ নিয়ে আবারও হাজির হলাম।
তাই আমার এই বিপদের ঘটনাটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম এ জন্য যাতে আমার মত এই ধরনের ঘটনা আর কারো জীবনে না ঘটে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
যাক আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া। আপনি যে সুস্থ আছেন আল্লাহ তায়ালা নেক হায়াত দান করুক আপনাকে। আসলেই বিপদ বলে আসে না । কখন কার জন্য কোথায় অপেক্ষা করে কেউ বলতে পারে না। বড় কোনো বিপদ হয়নি শুধু চুল গুলো কেটে গেছে। আপনার পোস্ট টা আমার কাছেও খুব খারাপ লাগছিল। যাক এতে খুশি হলাম বড় কিছু হয়নি। সাবধানে দেখে শুনে কাজ করবেন আপু।
আপনাদের দোয়া ছিল বিধায় আল্লাহ বড় কিছু বিপদ দেয়নি।
অনেক সুন্দর একটি সচেতন মূলক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্ট আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বেশ দারুন ভাবে আপনি বিষয়টা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। এমনটা আমার একদিন হয়ে গেছিল আপু আমাদের বাড়ির ছোট্ট খানে। ফ্যানটা খুব দ্রুত ঘরে। তাই এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছিলাম আমিও। আসলে বিষয়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই জেনে অনেকের উপকার হবে।
জি আপু পোস্টটা করার কারণ সবাই যাতে সচেতন হয় আর কারো যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু,বিপদ যখন আসে বলে আসে না। আর বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকে আসে এইটাই প্রকৃতির বাস্তবতা। আসলে বিপদ কখন আসবে কেউ জানে না। বিপদ হঠাৎ এসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়। যাই হোক আপনি সুস্থ আছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমাদেরকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি আপু অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেছেন! চুল যখন ফ্যানের ভিতরে চলে যায় তখন কিন্তু সেটা পেঁচিয়ে যায় এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আপনি যেহেতু নিয়মিত সৃষ্টিকর্তার পথে চলার চেষ্টা করেন, এই জন্য হয়তো এই যাত্রায় বেঁচে গেছেন। তবে ভবিষ্যতে এই ব্যাপারগুলোতে একটু সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।